/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/18/netaji-subhash-chandra-bose-2025-08-18-02-40-27.jpg)
Subhas Chandra Bose: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু।
Subhasish Bose: আজ, ১৮ আগস্ট। ভারত তথা বাংলা ইতিহাসে এই দিনটির গুরুত্ব অপরিসীম। ১৯৪৫ সালের এই তারিখে কথিত আছে, তাইওয়ানের তাইহোকু বিমানবন্দরে এক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। অনেকের দাবি, সেই দুর্ঘটনাতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছিল। তবে সত্যিই কি তাই ঘটেছিল? নাকি এটি শুধুই একটি প্রচলিত কাহিনি?
আজাদ হিন্দ ফৌজের ভবিষ্যৎ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ সময়ে, জাপানের পরাজয় নিশ্চিত হয়ে ওঠে। নেতাজি তখন আজাদ হিন্দ ফৌজের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন। ১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট তিনি মাঞ্চুরিয়ার উদ্দেশ্যে বিমানে রওনা দেন। কথিত আছে, সেই বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়ে গুরুতর আহত হন নেতাজি। পরে নানমন সামরিক হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয় বলে দাবি করা হয়। জাপানে তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া হয়েছিল বলেও অনেকে জানান।
আরও পড়ুন- পিঁয়াজকলি-ইলিশ, মশলা মেখে খান, ভাত হবে আরও সুস্বাদু
নেতাজির পরিবারের একাংশ বরাবরই এই বিমান দুর্ঘটনার তত্ত্ব মানতে চাননি। তাঁদের মতে, কোনও বিমান দুর্ঘটনাই ঘটেনি। ভ্রাতুষ্পুত্র অশোকনাথ বসুর বংশধরেরা দাবি করেছেন, আসলে নেতাজি সন্ন্যাসী ‘ভগবানজি’ রূপে ভারতে ছিলেন।
আরও পড়ুন- ড্রাগন ফল কারা খাবেন, কারা এড়িয়ে চলবেন, কতটা খাওয়া নিরাপদ, জানুন বিস্তারিত
শুধু পরিবারই নয়, মহাত্মা গান্ধিও নেতাজির মৃত্যু নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন। ১৯৪৫ সালের ডিসেম্বরে দমদম জেলে বন্দিদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি বলেছিলেন—'সুভাষচন্দ্রের মৃতদেহের ছবিও যদি কেউ দেখায়, তাহলেও আমি বিশ্বাস করব না।'
আরও পড়ুন- আজকের দিনে! ১৯১০ সালে বাংলায় প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অমর সৃষ্টি 'গীতাঞ্জলি'
১৯৪৩ সালে নেতাজি আজাদ হিন্দ সরকার প্রতিষ্ঠার ঘোষণা করেছিলেন। জাপানের সহায়তায় আজাদ হিন্দ ফৌজ ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করলেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের পরাজয়ের পর ফৌজও ধীরে ধীরে ভেঙে পড়ে। ইতিহাসবিদদের মতে, সেই প্রেক্ষাপটেই নেতাজির বিমানে অন্যত্র যাওয়ার চেষ্টা ছিল।
আরও পড়ুন- ৭৪ বছর বয়সেও যুবকের মত সচল! রজনীকান্তের ফিটনেসের রহস্য কী?
ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছরের বেশি সময় পরও নেতাজির মৃত্যু রহস্য ইতিহাসের অন্যতম বড় অমীমাংসিত প্রশ্ন হয়ে রয়ে গেছে। সরকারি কমিশন, রিপোর্ট এবং তদন্ত সত্ত্বেও এখনও যার কিনারা হয়নি। আজও কোটি কোটি ভারতবাসী বিশ্বাস করেন যে নেতাজি হয়তো জীবিত ছিলেন। আর তাঁর গল্প ইতিহাসের আড়ালে লুকিয়ে আছে।