Goodbye to Ingrown Toenails: নখকুনি— শুনতে সাধারণ হলেও যাঁরা এই সমস্যায় পড়েছেন, তাঁরা জানেন এটি কতটা যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে। মূলত পায়ের নখ চামড়ার ভেতরে ঢুকে গেলে যেটিকে আমরা নখকুনি বলি, তা থেকে ব্যথা, লালচে হয়ে যাওয়া, এমনকি ইনফেকশনও হতে পারে। তবে চিন্তার কিছু নেই, ঘরোয়া কিছু উপায় (home remedies) মেনে চললে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
নখকুনির মূল কারণ কী?
১. ভুলভাবে নখ কাটা
২. টাইট বা ফিটিং জুতো পরা
৩. নখে ধাক্কা লাগা বা আঘাত
৪. হাইজিন ঠিকভাবে না মানা
৫. পায়ের ঘাম ও জীবাণু সংক্রমণ
আরও পড়ুন- ঠোঁট ফাটছে বারবার? মাত্র ৫টি ঘরোয়া উপায়েই পেতে পারেন মসৃণ ঠোঁট!
ঘরোয়া উপায়ে নখকুনি সারানোর কার্যকর পদ্ধতি
হালকা গরম জলে পা ভিজিয়ে রাখা:
প্রতিদিন ১৫-২০ মিনিট হালকা গরম জলে পা ভিজিয়ে রাখলে নখের আশপাশের অংশ নরম হয়ে যায়, ব্যথা কমে এবং ইনফেকশনের সম্ভাবনাও হ্রাস পায়। চাইলে জলে লবণ মেশাতে পারেন।
অ্যান্টিসেপ্টিক লাগানো:
পা ভিজানোর পর শুকিয়ে অ্যান্টিসেপ্টিক ক্রিম বা আইডিন লাগান। এতে জীবাণু সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
কটন বল পদ্ধতি:
নখ আর চামড়ার মাঝে হালকা করে ছোট্ট কটন বল রেখে দিন। এটি নখকে সোজা হতে সাহায্য করবে।
অ্যাপল সিডার ভিনেগার ব্যবহার:
এক কাপ জলে ২ চা চামচ অ্যাপল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে পা ভিজিয়ে রাখতে পারেন। এতে ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস ধ্বংস হয়।
আরও পড়ুন- আরশোলার উপদ্রবে টিকতে পারছেন না? ঘরোয়া টোটকায় সহজেই বিদায় দিন তেলাপোকাকে
নখকুনি প্রতিরোধে করণীয়
- পা এবং হাতের নখ নিয়মিত পরিষ্কার রাখা
- খোলা ও আরামদায়ক জুতো ব্যবহার
- নখ সোজা কাটা (কোনভাবেই গোল করে কাটা যাবে না)
- ঘাম ধরে রাখে এমন মোজা এড়িয়ে চলা
- ডায়াবেটিস থাকলে পায়ের যত্নে বিশেষ সচেতনতা
আরও পড়ুন- ঘরে মাকড়শার উৎপাত? এই ৫টি সহজ উপায়ে দূর করুন চিরতরে!
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন?
যদি ইনফেকশন বেড়ে যায়, পুঁজ জমে বা পা ফুলে যায় এবং ৫-৬ দিনের মধ্যেও আরাম না পান, তবে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
আরও পড়ুন- তাপদাহে বাড়ছে পোর্টেবল এসি-র চাহিদা! ৫০ ডিগ্রিতেও ঘর ঠান্ডা করতে পারবে এই এসি?
নখকুনি উপেক্ষা করলে ভবিষ্যতে জটিল সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই প্রথম দিকেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে যত্ন নিন এবং সঠিক নিয়ম মেনে চললে সহজেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।