Unite the Kingdom Rally: পরিযায়ীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে উত্তাল ব্রিটেন, কারণটা ভয় পাওয়ার মতই!

Unite the Kingdom Rally: লন্ডনে Unite the Kingdom Rally-তে হিংসা, গ্রেফতার ২৪ জন। কেন এই সমাবেশ, কে টমি রবিনসন, আর কেন এত ক্ষোভ? জানুন ৩টি গুরুত্বপূর্ণ মূল বিষয়।

Unite the Kingdom Rally: লন্ডনে Unite the Kingdom Rally-তে হিংসা, গ্রেফতার ২৪ জন। কেন এই সমাবেশ, কে টমি রবিনসন, আর কেন এত ক্ষোভ? জানুন ৩টি গুরুত্বপূর্ণ মূল বিষয়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Unite the Kingdom Rally

Unite the Kingdom Rally: ব্রিটেনে পরিযায়ীদের বিরুদ্ধে বিরাট বিক্ষোভ।

Britain Rally: লন্ডনে শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) আয়োজিত Unite the Kingdom Rally বর্তমানে যুক্তরাজ্যের রাজনীতি ও সমাজে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। প্রায় এক লক্ষেরও বেশি মানুষ রাস্তায় নেমেছিলেন, যাঁদের মধ্যে অনেকে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। গ্রেফতার হয়েছেন অন্তত ২৪ জন এবং আহত হয়েছেন ২৬ পুলিশ অফিসার। সমাবেশের ডাক দিয়েছিলেন বিতর্কিত ডানপন্থী নেতা টমি রবিনসন। প্রশ্ন উঠছে—এই আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য কী?

Advertisment

আয়োজকদের দাবি

আয়োজকদের দাবি ছিল, এটি 'মুক্ত বাকের সমাবেশ'। কিন্তু বাস্তবে সেখানে স্পষ্টভাবে অভিবাসন বিরোধী ও মুসলিম বিরোধী স্লোগান শোনা গিয়েছে। প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল— 'Stop the Boats', 'Send them Home'। অংশগ্রহণকারীরা ইংল্যান্ডের সেন্ট জর্জ পতাকা ও যুক্তরাজ্যের পতাকা হাতে মিছিল করেন। অভিবাসীদের বিশেষত সমুদ্রপথে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে আসা অননুমোদিত শরণার্থীদের লক্ষ্য করে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয় মিছিল থেকে। এছাড়া এই সমাবেশ ব্রিটেনের বাইরে থেকেও সমর্থন পেয়েছে। টেসলার মালিক ইলন মাস্ক ভিডিও বার্তায় সরকারের পরিবর্তনের ডাক দিয়েছেন। ফরাসি ডানপন্থী নেতা এরিক জম্মুর বলেছেন, 'আমরা আমাদের প্রাক্তন উপনিবেশগুলোর দ্বারা এবার উপনিবেশ হয়ে উঠছি।' উলটোদিকে অভিবাসী সমর্থক ও ঘৃণাবিরোধী একটি পালটা র‍্যালিও বের হয়েছিল। সেখানে প্রায় ৫,০০০ মানুষ যোগ দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন- পারকিনসনস রোগ, বৃদ্ধি ঠেকাতে কাজে লাগান এই অভ্যাসগুলো!

টমি রবিনসনের আসল নাম স্টিফেন ইয়াক্সলে-লেনন। একসময় লুটনে ট্যানিং স্যালুন চালাতেন। ২০০৯ সালে তিনি গড়ে তোলেন English Defence League (EDL), যা মুসলিমবিরোধী ও জাতীয়তাবাদী সংগঠন হিসেবে দ্রুত কুখ্যাতি লাভ করে। সহিংস মিছিল ও ইসলামবিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে দলটি ভেঙে যায়, তবে রবিনসন জনপ্রিয়তা ধরে রাখেন।

Advertisment

আরও পড়ুন- জীবনে সফল হতে চান? তবে এইটা অবশ্যই করুন, পরামর্শ সানিয়া মির্জার

তিনি বারবার জেলে গেছেন, সম্প্রতি একটি সিরিয়ান শরণার্থীর বিরুদ্ধে মানহানিকর মন্তব্য বারবার করার জন্য সাজা ভোগ করেছেন। অনলাইনে তাঁর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী, বিশেষত ইলন মাস্ক ও স্টিভ ব্যাননের সমর্থনের পর, তা আরও বেড়েছে। আজকের দিনে তিনি ব্রিটেনের সবচেয়ে আলোচিত ডানপন্থী মুখগুলোর একজন।

আরও পড়ুন- তিনি নাকি প্রেমে পজেসিভ? অভিনেত্রী তারা সুতারিয়ার জবাব অনেককেই চিন্তায় ফেলবে!

যুক্তরাজ্যের বা ব্রিটেনের চলতি আর্থিক সংকট ও অভিবাসী ইস্যু এই ক্ষোভের পিছনে বড় ভূমিকা নিয়েছে। সরকার আশ্রয়প্রার্থীদের হোটেলে রাখছে, যা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে। জুলাই মাসে একটি হোটেলে থাকা শরণার্থীর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে, যা জনরোষে আগুন ঢেলেছে। জনমতের বড় একটি অংশ বিশ্বাস করে, অভিবাসীরা অর্থনীতি ও অপরাধ পরিস্থিতি আরও খারাপ করছে। রবিনসন-সহ ডানপন্থী নেতারা এই ক্ষোভকে পুঁজি করে নিজেদের সমর্থন বাড়াচ্ছেন।

আরও পড়ুন-  'এটা বাড়ি না মিউজিয়াম!' শিল্পা শেট্টির বাড়িতে ঢুকে বিস্ময়ে হতবাক ফারহা

ইউনাইটেড দ্য কিংডম ব়্যালি (Unite the Kingdom Rally) শুধু একটি সমাবেশ নয়, বরং যুক্তরাজ্যের সমাজে বিভাজনের এক স্পষ্ট প্রতিচ্ছবি। অর্থনৈতিক চাপ, অভিবাসন নীতি এবং সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্ব মিলিয়ে ব্রিটেনে এক অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। সামনে এই ইস্যু আরও রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে বিস্তৃত আকার নিতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Britain rally