/indian-express-bangla/media/media_files/2025/04/19/BonsSyBRJRgGL8p6ohe2.jpg)
Mint: টাঁকশাল। (ছবি- এএনআই)
India's Coin Mints and Currency Printing Presses: Everything You Should Know: বাকি দেশগুলোর মতই ভারতেও কয়েন এবং নোট তৈরি হওয়া শুধুমাত্র একটি কারিগরি প্রক্রিয়া নয়, এটি দেশের আর্থিক কাঠামোর গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। প্রতিদিন আমরা যে কয়েন ও নোট ব্যবহার করি, সেগুলি কোথায় তৈরি হয় জানেন কি? চলুন জেনে নেওয়া যাক ভারতের টাঁকশাল ও নোট ছাপার কেন্দ্রগুলি কোথায় অবস্থিত এবং কীভাবে এই ছাপানো এবং তৈরির প্রক্রিয়া চলে।
ভারতের টাঁকশাল (Mints) কোথায়?
ভারতে মোট চারটি সরকারি টাঁকশাল রয়েছে। সেগুলি ভারত সরকারের অধীনস্থ India Government Mint দ্বারা পরিচালিত। এই চারটি টাঁকশাল হল:
আরও পড়ুন- তরমুজ কিনছেন! ইঞ্জেকশন দেওয়া কি না, বুঝবেন কীভাবে? এগুলো দেখে জেনে নিন
মুম্বই (Mumbai, Maharashtra)
এটি ভারতের সবচেয়ে পুরনো টাঁকশাল।
এখানে কয়েন (coins) ছাড়াও মেডেল, টোকেন, ব্যাজ ইত্যাদিও তৈরি হয়।
কলকাতা (Kolkata, West Bengal)
এটি একমাত্র টাঁকশাল যেখানে কয়েনে কোনো মুদ্রণ চিহ্ন থাকে না।
১৯২৯ সাল থেকে এটি সরকারি কয়েন তৈরি করে আসছে।
আরও পড়ুন- আপনি কি বারবার দিবাস্বপ্নে ডুবে যান, এর পিছনে বড় বিপদের ইঙ্গিত নেই তো?
হায়দরাবাদ (Hyderabad, Telangana)
কয়েনের নিচে ★ (তারকা চিহ্ন) থাকলে বুঝবেন এটি হায়দরাবাদে তৈরি।
আধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত একটি গুরুত্বপূর্ণ টাঁকশাল রয়েছে এখানে।
নয়ডা (Noida, Uttar Pradesh)
ভারতের সবচেয়ে আধুনিক মুদ্রণ কেন্দ্রগুলির একটি এখানে রয়েছে।
কয়েনের নিচে ● (ডট চিহ্ন) থাকলে বুঝতে হবে যে এটি নয়ডায় তৈরি।
আরও পড়ুন- গরম থেকে বাঁচতে প্রতিদিন বরফ-ঠান্ডা জল খাচ্ছেন, জানেন আপনার কী হতে পারে?
টাকা ছাপার কেন্দ্র (Currency Printing Presses):
ভারতীয় নোট ছাপা হয় দুটি সংস্থার মাধ্যমে—
Security Printing and Minting Corporation of India Ltd. (SPMCIL)
এটি অর্থ মন্ত্রকের অধীন একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান।
এর আওতায় রয়েছে ২টি মুদ্রণ কেন্দ্র:
নাসিক (Maharashtra)
দেওয়াস (Madhya Pradesh)
Bharatiya Reserve Bank Note Mudran Pvt. Ltd. (BRBNMPL)
এটি RBI-র সহায়তায় গঠিত একটি সাবসিডিয়ারি বা সহায়ক সংস্থা, অর্থাৎ অধীনস্ত প্রতিষ্ঠান।
এদের দুটি কেন্দ্র:
মাইসুরু (Karnataka)
শালবোনি (West Bengal)
মুদ্রণ চিহ্ন (Mint Marks) কীভাবে চিনবেন?
মুম্বই: ₹ এর নিচে ♦ (হিরে চিহ্ন)
হায়দরাবাদ:★ বা অন্য চিহ্ন
নয়ডা:● (ডট) চিহ্ন
কলকাতা: কোনও চিহ্ন নেই
আরও পড়ুন- গরমে কী খাবেন, কী এড়াবেন? সুস্থ থাকতে মেনে চলুন এই খাদ্যতালিকা
নিরাপত্তা ও প্রযুক্তি:
এই সমস্ত কেন্দ্রে উচ্চস্তরের নিরাপত্তা এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়। সিকিউরিটি থ্রেড, ওয়াটারমার্ক, মাইক্রো প্রিন্টিং, কালার শিফটিং ইনক ইত্যাদি ব্যবহার করে নোটগুলি নিরাপদ করা হয়।
দেশের আর্থিক ব্যবস্থার নির্ভরযোগ্যতা বজায় রাখতে এই সমস্ত টাঁকশাল ও মুদ্রণ কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পরবর্তীতে যদি আপনার হাতে থাকা কয়েন বা নোটের উৎস জানতে চান, চিহ্ন দেখে সহজেই বুঝে নিতে পারবেন এটি ভারতের কোন কেন্দ্র থেকে এসেছে।