New Update
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/07/17/read-food-labels-2025-07-17-20-07-46.jpg)
Read Food Labels: খাবারের উপাদান চেনার উপায়।
Read Food Labels: চিনির নামে সুক্র্যালোজ বা HFCS খাচ্ছেন না তো? কেন খাবারের প্যাকেটের লেবেল পড়া জরুরি, কীভাবে পড়তে হয়, এই প্রতিবেদনে জেনে নিন।
Read Food Labels: খাবারের উপাদান চেনার উপায়।
Read Food Labels: আমরা প্রতিদিন কত রকমের প্যাকেটজাত খাবার খাই—চিপস, বিস্কুট, চকলেট, সফট ড্রিংকস, প্রোটিন বার, দই ইত্যাদি। তবে আপনি কি কখনও প্যাকেটের পিছনে থাকা খাবারের লেবেল (Food Label) পড়েছেন? যদি উত্তর ‘না’ হয়, তাহলে আপনি হয়তো অজান্তেই বেশি চিনি, ট্রান্স ফ্যাট, বা সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেয়ে ফেলছেন। যা ধীরে ধীরে আপনার ওজন বাড়িয়ে তুলছে এবং স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি করছে।
চলুন জেনে নিই, খাবারের প্যাকেটের লেবেল কেন পড়া উচিত, কীভাবে পড়বেন, এবং কোন ব্যাপারগুলো লক্ষ্য রাখবেন!
খাবারের প্যাকেটের লেবেল হল একটি প্যাকেটজাত খাবারের উপাদান ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যের তালিকা। এটি সাধারণত প্যাকেটের পিছনে বা পাশে দেওয়া থাকে। আপনি এর মাধ্যমে জানতে পারবেন:
ওই খাবারে কত ক্যালোরি রয়েছে
কতটা ফ্যাট, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ওই খাবারে আছে
কোন খাবারে সবচেয়ে বেশি কোন উপাদান আছে
আরও পড়ুন- রক্তচাপ আদৌ ঠিকঠাক মাপছেন তো? জানেন কি, এই ১০টি সাধারণ ভুলেই বদলে যেতে পারে রিপোর্ট!
খাবারের প্যাকেজিং অনেক সময় বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে। 'সুগার ফ্রি', 'লো ফ্যাট' বা 'হেলদি চয়েস' লেখা মানেই তা স্বাস্থ্যকর নয়। লেবেলে উপাদান সম্পর্কে লেখা না পড়ে আপনি হয়তো প্রতিদিন নিচ্ছেন:
হাই ফ্রুক্টোজ কর্ন সিরাপ (HFCS)
সুক্র্যালোজ, অ্যাসপারটেম (কৃত্রিম মিষ্টি)
হাই সোডিয়াম বা লুকানো লবণ
ট্রান্স ফ্যাট বা হাইড্রোজেনেটেড অয়েল
আরও পড়ুন- মুখের কালো দাগ দূর করতে কাজে লাগান ৭টি ঘরোয়া উপায়, দেখে নিন কীভাবে সবাইকে চমকে দেবেন!
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ এটি। উপাদানগুলো বড় থেকে ছোট অনুপাতে সাজানো থাকে। প্রথম ৩টি উপাদান দেখে বুঝে নিন সবটা। চিনি, তেল বা সিরাপ থাকলে সাবধান।
অনেক সময় ১ প্যাকেটে ২-৩ রকম সার্ভিং সাইজ লেখা থাকে। অর্থাৎ, পুরো প্যাকেট খেলেই সব গুণফল গুণতে হবে।
ওজন কমাতে চাইলে ক্যালোরির সংখ্যার দিকে নজর দিন। কমপক্ষে ১০০–১৫০ ক্যালোরির মধ্যে খাবারের পরিমাণ রাখার চেষ্টা করুন।
যদি 'added sugar' বা 'sucrose, glucose, HFCS' লেখা থাকে, বুঝবেন এটি প্রাকৃতিক নয়। দিনে added sugar ২৫ গ্রাম-এর বেশি খাওয়া উচিত নয়।
ট্রান্স ফ্যাট একেবারেই এড়িয়ে চলুন। সোডিয়ামের পরিমাণ ৫%-এর বেশি হলে সেটা নিয়মিত খাবার হিসেবে না রাখাই ভালো।
আরও পড়ুন- ২টি সিঙ্গারা ও ১টি জিলেবি খাওয়ার পর কতটা ব্যায়াম শরীরের জন্য ভালো? জানুন, শরীরচর্চার ঠিকুজি-কুষ্ঠি!
হাই ফ্রুক্টোজ কর্ন সিরাপ (HFCS)
ডেক্সট্রোজ
ইনভার্ট সুগার
অ্যাগাভ সিরাপ
মল্টোজ
ব্রাউন রাইস সিরাপ
আরও পড়ুন- রসুন-পেঁয়াজ ছাড়াই তৈরি করুন বেসন দিয়ে টমেটোর এই দুর্দান্ত পদ, বারবার খেতে চাইবে সকলে
ওজন কমাতে সাহায্য করে
সুস্থ খাদ্যাভ্যাস গড়ে ওঠে
রক্তে শর্করা ও প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে
গ্লুটেন, দুধ, সয়ার মত এলার্জেন উপাদান চিহ্নিত করা যায়
শিশুদের খাবারে ক্ষতিকর উপাদান এড়ানো যায়
আপনি যদি স্বাস্থ্য সচেতন হন এবং ওজন বা সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে চান, তাহলে এখন থেকেই খাদ্য লেবেল পড়ার অভ্যাস করুন। সব প্যাকেটজাত খাবার নয়— কিন্তু যেটাকে আপনি 'হেলদি' ভাবছেন, সেটা হয়তো আসলে আপনার শরীরের জন্য 'সাইলেন্ট কিলার'। তাই আজই শপিং ব্যাগে খাবার রাখার আগে একবার খাবারের প্যাকেটের লেবেলটা ভালো করে পড়ুন।