Banana Cholesterol Lifestyle: কলা খেলে কি কোলেস্টেরল কমে যায়? এনিয়ে বেশিরভাগ মানুষের মনেই ধন্দ আছে। তবে একথা ঠিক যে কলার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আঁশ বা ফাইবার থাকে। যা সহজে শরীরের সঙ্গে মিশে যায়। পাশাপাশি, সব ঋতুতে পাওয়া যায় কলা। অন্যান্য ফলের তুলনায় এর দাম কম। এতে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম এবং ফাইবার থাকে। এই কথাগুলো সবাই জানে।
কলায় হৃদরোগের ঝুঁকি কমে
এমন একটা ধারণাও আছে যে, কলাকে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়। সেই সব ধারণাকে উসকে দিয়ে ইনস্টাগ্রাম পেজে একদল চিকিৎসক দাবি করেছেন যে, কলা কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে। তাঁরা জানিয়েছেন যে কলায় প্রচুর পরিমাণে দ্রবণীয় ফাইবার থাকে। এই সব ফাইবার জলে দ্রবীভূত হয়। তাই এই ফাইবার সমৃদ্ধ ফল খেলে অন্ত্রের পক্ষে মলত্যাগ করা সহজ হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন- অর্শ কি একেবারে সারে, নাকি বারবার হয়? কী বললেন চিকিৎসক, জানুন মেডিক্যাল সায়েন্স কী বলছে
কলা মলের মাধ্যমে কোলেস্টেরল দূর করে
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কলা চর্বি টেনে নেয়। এটি মলের মাধ্যমে কোলেস্টেরল দূর করতে সাহায্যে করে। তার ফলে, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রিত হয়। ওই চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কলায় থাকা ফাইবার একটি মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট। যা খারাপ কোলেস্টেরল (LDL)-এর মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। সেই কারণে দৈনন্দিন তালিকায় কলা থাকলে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়। এই প্রসঙ্গে চিকিৎসকরা কলার পাশাপাশি, ওটস, বিন, ফল, এবং শাক-সবজির মত ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার দৈনন্দিন তালিকায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন- থাইরয়েড রোগীদের জন্য বাঁধাকপি ও ফুলকপি কি নিরাপদ? পরামর্শ বিশেষজ্ঞের
স্বাস্থ্যকর চর্বিসমৃদ্ধ খাবার
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রতিদিন স্বাস্থ্যকর চর্বিসমৃদ্ধ খাবার খেলে হৃদরোগ এবং স্ট্রোক প্রতিরোধ করা সহজ হয়ে ওঠে। তাঁরা জানিয়েছেন, অ্যাভোকাডো, বাদাম বীজ এবং জলপাই তেল হল স্বাস্থ্যকর চর্বি সমৃদ্ধ খাবার। এই সব স্বাস্থ্যকর চর্বিসমৃদ্ধ খাবার কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের সমস্যা থেকে বাঁচিয়ে স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন- ওজন নিয়ন্ত্রণের দাওয়াই! পেটের চর্বি কমাতে তুলসী খাওয়ার সেরা ৩টি কায়দা জেনে নিন
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড
এই সব কথা মাথায় রেখেই চিকিৎসকরা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। এই ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড দৈনিক পেতে তাঁরা স্যামন, ম্যাকেরেল এবং সার্ডিনের মত সুপারফুড খাবার পরামর্শ দিয়েছেন। ওই সব মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। যা ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায় বলেই চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন- মাসের পর মাস টাটকা রাখুন পেঁয়াজ ও আলু, জানুন ৫ দুর্দান্ত কায়দা!
স্যাচুরেটেড এবং ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত খাবার
এর পাশাপাশি চিকিৎসকরা স্যাচুরেটেড এবং ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত খাবার কম খাওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট মানুষের হৃদপিণ্ডের জন্য ভালো হলেও স্যাচুরেটেড এবং ট্রান্স ফ্যাট উলটো প্রভাব ফেলে। এই ফ্যাটগুলো প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ভাজা খাবারে থাকে। যা খারাপ কোলেস্টেরল (LDL)-এর মাত্রা বাড়াতে পারে। পাশাপাশি বাড়াতে পারে হৃদরোগের ঝুঁকি।