Advertisment

One Nation, One Election: 'ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন'! চলতি মেয়াদেই বিরাট পদক্ষেপ মোদী সরকারের?

One Nation, One Election: 'এক দেশ, এক নির্বাচন' নিয়ে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দের সভাপতিত্বে গঠিত একটি কমিটি ইতিমধ্যে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে তাদের সুপারিশ জমা দিয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
আপডেট করা হয়েছে
New Update
one nation one election

২০২৯ সাল থেকে দেশে একযোগে সব নির্বাচন হতে পারে বলেই জল্পনা!

One Nation, One Election: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার বর্তমান মেয়াদেই 'এক দেশ, এক নির্বাচন' বাস্তবায়ন করতে  চলেছে। সূত্রের খবর, শীঘ্রই আইন কমিশন এ বিষয়ে সুপারিশ গ্রহণ করবে। 'এক দেশ, এক নির্বাচন' নিয়ে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দের সভাপতিত্বে গঠিত একটি কমিটি ইতিমধ্যে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে তাদের সুপারিশ জমা দিয়েছে। গত মাসে লাল কেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদীও 'এক দেশ, এক নির্বাচন'-এর উপর জোর দিয়েছিলেন। ২০২৯ সাল থেকে দেশে একযোগে সব নির্বাচন হতে পারে বলেই জল্পনা! সূত্রের খবর'এক দেশ-এক নির্বাচনের' প্রস্তুতি নিচ্ছে মোদী সরকার । 

Advertisment

গত মাসে স্বাধীনতা দিবসে লালা কেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদী 'এক দেশ, এক নির্বাচনের' পক্ষে জোরালো সওয়াল করেছিলেন। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সভাপতিত্বে এ বিষয় নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন বর্তমান জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) সরকার তার বর্তমান মেয়াদে 'এক দেশ, এক নির্বাচন' বাস্তবায়ন করবে বলেই জানা গিয়েছে। বিজেপি আত্মবিশ্বাসী যে এই সংস্কারে তারা সব দলের সমর্থন পাবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার তার তৃতীয় মেয়াদে ১০০ দিন পূর্ণ করেছে। সূত্র জানিয়েছে, 'ক্ষমতাসীন জোটের মধ্যে ঐক্য বাকি মেয়াদেও অটূট থাকবে।

ভাড়া মাত্র ৩০ টাকা! মোদীর হাত ধরেই চালু হতে চলেছে দেশের প্রথম বন্দে ভারত মেট্রো

লাল কেল্লা থেকে এক দেশ, এক নির্বাচনের কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী

একটি সূত্র জানিয়েছে, "অবশ্যই, এক দেশ, এক নির্বাচনের ধারণা মোদী সরকারের তৃতীয় মেয়াদেই বাস্তবায়িত হবে।" গত মাসে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লাল কেল্লার থেকে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মোদী 'এক দেশ, এক নির্বাচনের' পক্ষে জোরালো সওয়াল করেন। পাশাপাশি তিনি বলেছিলেন, 'ঘন ঘন নির্বাচন দেশের উন্নয়নের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে'।  তথ্য অনুযায়ী, শীঘ্রই দেশ জুড়ে জাতশুমারি শুরু করতে পারে মোদী সরকার। পাশাপাশি মোদী সরকারও 'ওয়ান নেশন, ওয়ান ইলেকশনের' জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিতেও শুরু করেছে। 

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত লোকসভা নির্বাচনে  বিজেপি ২০১৪ এবং ২০১৯ এর তুলনায় অনেক কম আসন পায় এবং বিজেপি ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে পারেনি। যদি শীর্ষ সূত্রের খবর বিশ্বাস করা হয় কম আসন পাওয়া সত্ত্বেও, বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার ২০১৪ সালের দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুসারে কাজ চালিয়ে যাবে। জানা গিয়েছে, যে মোদী সরকার শীঘ্রই গোটা দেশে জাতশুমারি শুরু করতে পারে। এর পাশাপাশি ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন নিয়েও বড় ধরনের আপডেট বেরিয়ে এসেছে সরকারের শীর্ষ সূত্র থেকে।

বিদায় নিয়ে গরম, এসি প্যাক করার আগে 'আসল কাজ' করতে ভুলবেন না!

এক দেশ এক নির্বাচন নিয়ে কী আপডেট?

মোদী সরকার অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ, জম্মু ও কাশ্মীরে ৯৭০ ধারা বাতিল এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বাস্তবায়নের মতো নির্বাচনী ইস্তেহারে্র প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে। একই সঙ্গে বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহারে এক দেশ-এক নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি ছিল আরেকটি বড় প্রতিশ্রুতি। স্বাধীনতা দিবসে লাল কেল্লা থেকে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মোদীও  একই সঙ্গে বিধানসভা ও সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানেরও কথা বলেছিলেন। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্র মারফত দাবি করেছে, এনডিএ সরকার একই সঙ্গে লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তৃতীয় মোদী সরকারের মেয়াদেই ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন বাস্তবে পরিণত হবে। বিজেপি অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সমর্থন আদায়ের আশা করছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন, যে জাতিকে এক দেশ, এক নির্বাচনের জন্য এগিয়ে আসতে হবে। প্রধানমন্ত্রী লাল কেল্লা থেকে তেরঙ্গাকে সাক্ষী রেখে জাতির অগ্রগতি নিশ্চিত করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলিকে আহ্বান জানিয়েছিলেন। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের আগে, বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহারে একটি দেশ, একটি নির্বাচন অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিল।  

২০২৯ সাল থেকে একযোগে নির্বাচনের সুপারিশ করা হতে পারে 

আইন কমিশন ২০২৯ সাল থেকে  লোকসভা, রাজ্য বিধানসভা এবং পৌরসভা এবং পঞ্চায়েতের মতো স্থানীয় সংস্থাগুলির জন্য একযোগে নির্বাচনের সুপারিশ করতে পারে। যদিও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ কমিটি একযোগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কোনও সময়সীমা নির্ধারণ করেনি। সূত্রের মতে, আইন কমিশন সরকারের তিনটি স্তর, লোকসভা, রাজ্য বিধানসভা এবং পৌরসভা ও পঞ্চায়েতের মতো স্থানীয় সংস্থাগুলির জন্য একযোগে নির্বাচনের সুপারিশ করতে পারে।

'হাততালি, ডিস্কো ড্যান্সে আন্দোলন সফল হয় না', ডাক্তারদের চরম কটাক্ষ তৃণমূল বিধায়কের

সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে বিজেপি আত্মবিশ্বাসী যে এই সংস্কারে তারা সব দলের সমর্থন পাবে। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার তার তৃতীয় মেয়াদের ১০০ দিন পূর্ণ করছে। সূত্রগুলি ইঙ্গিত দিয়েছে যে জোটের ঐক্য তার মেয়াদ জুড়ে অটুট থাকবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র জানিয়েছে, "অবশ্যই, এটি এই মেয়াদেই বাস্তবায়িত হবে।"

গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই নরেন্দ্র মোদী এই ব্যবস্থার পক্ষে। 'এক দেশ, এক নির্বাচন'-এর অধীনে, সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির লোকসভা এবং বিধানসভাগুলির জন্য একযোগে নির্বাচন করার প্রস্তাব রয়েছে।  প্রথম দিকের অনেক লোকসভা নির্বাচন এবং স্বাধীন ভারতের বিধানসভা নির্বাচন একযোগে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ৭০-এর দশকে, কিছু রাজ্যের বিধানসভা তাড়াতাড়ি ভেঙে দেওয়ায়, এই ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। সংসদীয় কমিটির মধ্যে অনুষ্ঠিত আলোচনায় অনুমান করা হয়েছিল যে নির্বাচন কমিশন লোকসভা ও বিধানসভার নির্বাচন পরিচালনা করতে ৪৫০০ কোটি টাকারও বেশি ব্যয় হয়। এটা প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলের ঘোষিত ও অঘোষিত নির্বাচনী ব্যয়ের বাইরে। বিজেপির যুক্তি, এক সঙ্গে নির্বাচন করলে খরচ কমবে।

সততার প্রমাণ দিতে পদত্যাগের ঘোষণা, বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ কেজরিওয়ালের

২০১৮ সালের আগস্টে, আইন কমিশন পঞ্চায়েত থেকে লোকসভা পর্যন্ত  একযোগে সমস্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত একটি খসড়া প্রতিবেদন প্রকাশ করে। কমিশন বলেছে, এর জন্য সংবিধানসহ অনেক আইনে পরিবর্তনের প্রয়োজন হবে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে, সরকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সভাপতিত্বে একটি উচ্চ স্তরের কমিটি গঠনের ঘোষণা করেছিল। এই কমিটি ২০২৪ সালের মার্চ মাসে রাষ্ট্রপতির কাছে ১৮০০ পৃষ্ঠায় তাদের সুপারিশ পেশ করে। 

‘এক দেশ, এক নির্বাচন’-এর সুবিধা-অসুবিধা

‘এক দেশ, এক নির্বাচন’-এর সমর্থকরা যুক্তি দেখান যে এটি শাসনব্যবস্থাকে কার্যকর করবে। এতে জনসাধারণের অর্থের অপচয় কম হবে এবং উন্নয়নমূলক কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে চলবে। অনেক বিরোধী দল এই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করেছে। বিরোধীদের যুক্তি, এতে অনেক আঞ্চলিক দলের ক্ষতি হবে। অনেক বিরোধী দল বলেছে এর ফলে বর্তমান  গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে রাষ্ট্রপতির শাসন ব্যবস্থা চাপিয়ে দিয়ে দেশকে বহুদলীয় গণতন্ত্র থেকে একক-দলীয় রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করার প্রচেষ্টা করার একটা চেষ্টা।  

 এনডিএ-র মধ্যে, বিজেপির দুটি প্রধান মিত্রের মধ্যে জনতা দল (ইউনাইটেড) এই পদক্ষেপের সমর্থনে রয়েছে, তবে তেলেগু দেশম পার্টির (টিডিপি) অবস্থান এখনও স্পষ্ট নয়। কোবিন্দ প্যানেল টিডিপির সাথে যোগাযোগ করলে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন কমিটি ৬২টি দলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। যে ৪৭ টি রাজনৈতিক দলের প্রতিক্রিয়া হয়েছিল, ৩২টি একযোগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ধারণাকে সমর্থন করেছিল, যখন ১৫টি দল এর বিরোধিতা করেছিল। মোট ১৫টি দল সাড়া দেয়নি।  এনডিএ সরকার তার চলতি মেয়াদে 'ওয়ান নেশন-ওয়ান ইলেকশন' নিয়ে একটি বিল আনতে পারে।

রাজপথে জুনিয়র ডাক্তারদের গর্জন, পরিকাঠামো থেকে নিরাপত্তা নিয়ে উঠল প্রশ্ন

 

NDA modi
Advertisment