ভোটে অতিরিক্ত হিংসা হলে বেতন কাটা হবে আধিকারিকদের, বাজেয়াপ্ত হতে পারে সম্পত্তিও, জানিয়ে দিল আদালত

কবে পঞ্চায়েত ভোট হবে, তা ঠিক করবে নির্বাচন কমিশন, জানিয়ে দিল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। অন্যদিকে ই-মনোনয়ন মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট।

কবে পঞ্চায়েত ভোট হবে, তা ঠিক করবে নির্বাচন কমিশন, জানিয়ে দিল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। অন্যদিকে ই-মনোনয়ন মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
kolkata highcourt, কলকাতা হাইকোর্ট

কলকাতা হাইকোর্ট। ফাইল ছবি- ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

ভোটে অতিরিক্ত হিংসা হলে বেতন কাটা হবে আধিকারিকদের, বাজেয়াপ্ত হতে পারে সম্পত্তিও, জানিয়ে দিল আদালত। একই সঙ্গে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে ভোটের দিন ঠিক করবে কমিশনই।

Advertisment

পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে কমিশনের কোর্টেই বল ঠেলে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। কবে পঞ্চায়েত ভোট হবে, তা ঠিক করবে নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়ে দিল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। শুধু তাই নয়, ভোটে নাগরিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে এদিন চাঞ্চল্যকর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। ২০১৩ সালে পঞ্চায়েত ভোটের থেকে বেশি সন্ত্রাস হলে, সে ব্যাপারে যাঁরা  নিরাপত্তা সংক্রান্ত রিপোর্ট  দিয়েছেন, তাঁরাই দায়ী থাকবেন বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে হাইকোর্ট। ভোটে ক্ষয়ক্ষতি হলে, জীবনহানির মতো ঘটনা ঘটলে আধিকারিকদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। আধিকারিকদের বেতন থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এমনকি, বেতনে না হলে, আধিকারিকদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

আরও পড়ুন, পঞ্চায়েত ভোট: হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ নির্বাচন কমিশন

অন্যদিকে ই-মনোনয়ন মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। ই-মেলে পাঠানো সিপিএমের মনোনয়নপত্রকে গ্রহণ করতে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতে গিয়েছিল কমিশন। সেই মামলায় কার্যত জয় হল কমিশনের। ১৪ মে ভোট করাতে কোনও বাধা নেই বলেও এদিন জানিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। এমনকি, রাজ্যের যে ৩৪ শতাংশ আসনে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে না, সেই আসনের ফলপ্রকাশ করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এ নিয়ে পরবর্তী শুনানি ৩ জুলাই।

Advertisment

আরও পড়ুন, পঞ্চায়েত ভোট: এবার মমতার লেখা নাটকের মাধ্যমে তৃণমূলের অভিনব প্রচার কৌশল

এদিন নিরাপত্তার মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানায় যে, রাজ্য সরকার ও কমিশন ভোটের নিরাপত্তার জন্য যে ব্যবস্থা করেছে, তার উপর আদালত আস্থা রাখছে। নিরাপত্তা নিয়ে কমিশন সন্তুষ্ট হলে যে কোনও দিন ভোটের দিন ঘোষণা করতে পারে কমিশন, এমনটাই এদিন বলেছে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।

আরও পড়ুন, পঞ্চায়েত ভোট: ই-মনোনয়ন নিয়ে সওয়াল দিলীপের, হিংসা নিয়ে সরব হর্ষ বর্ধন

১৪ মে-র বদলে কমিশন পঞ্চায়েত ভোটের তারিখ অন্যদিন ঘোষণা করবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন অন্যতম মামলাকারী দল পিডিএসর নেতা সমীর পূততুণ্ড। অবাধ ভোটের জন্য একদফার বদলে দু’দফায় ভোট করা হোক বলেও দাবি তুলেছেন পিডিএস নেতা। সিভিক ভলান্টিয়ার দিয়ে ভোট যাতে না করানো হয়, সে ব্যাপারেও সোচ্চার হযেছেন সমীর পূততুণ্ড। এদিনের রায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অবাধ ভোট না হলে, বা জীবনহানি হলে ক্ষতিপূরণের যে রায়, তা এক নতুন সংযোজন। আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের এমন ভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে, যাতে ক্ষয়ক্ষতি না হয়।

আরও পড়ুন, পঞ্চায়েতঃ তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপি, কংগ্রেস এবং বামফ্রন্টের অলিখিত জোট

হাইকোর্টের রায়ে খুশি নন বলে মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘হাইকোর্ট স্বীকার করে নিয়েছে যে ভোটে হিংসা হবে। কিন্তু হিংসার মাপকাঠি কী, তা ব্যাখ্যা করা হয়নি।’’ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে ভোট হোক বলে দাবি করেন বিজেপি নেতা।

তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন যে, আদালতের রায়ে মানুষ খুশি। বিরোধীদের আক্রমণ করে এদিন পার্থ বলেন যে, ভোটকে ৩ বিরোধী বন্ধু বিলম্বিত করছে।

panchayat vote kolkata highcourt