/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/21/abhishek-banerjee-and-diamond-harbour-fc-2025-08-21-03-18-35.jpg)
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডায়মন্ড হারবার এফসি
Diamond Harbour FC: ধুলোয় মিশে গেল ইস্টবেঙ্গল এফসি-র (East Bengal FC) ২০২৫ ডুরান্ড (Durand Cup 2025) জয়ের স্বপ্ন। টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে হারানোর পর, লাল-হলুদ সমর্থকরা স্বপ্নের জাল বুনতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু, বুধবার (২০ অগাস্ট) ডায়মন্ড হারবার এফসি-র বিরুদ্ধে খেলতে নেমে যাবতীয় স্বপ্ন চুরমার হয়ে যায়। ডুরান্ডে ডেবিউ সিজন খেলতে নেমে কার্যত ইতিহাসের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে রয়েছে ডায়মন্ড হারবার এফসি। দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্য়াচে তারা ইস্টবেঙ্গলকে ২-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছে।
East Bengal FC: লাল-হলুদের প্রাক্তনীর গোলেই পরাস্ত ইস্টবেঙ্গল, চুরমার ফাইনালের স্বপ্ন
নৈশভোজের আয়োজন করেছিলেন অভিষেক
ম্যাচের শেষে উচ্ছ্বাসের জোয়ারে ভাসলেন ডায়মন্ড হারবার এফসি দলের অন্যতম শীর্ষকর্তা মানস ভট্টাচার্য। তিনি বললেন, 'আমরা যখন মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের বিরুদ্ধে পাঁচ গোলে হারলাম, সেইসময় আমাদের দলের প্রেসিডেন্ট অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ফুটবলারদের জন্য একটি নৈশভোজের আয়োজন করেছিলেন। ফুটবলারদের পাশাপাশি সেখানে শুধুমাত্র আমাদের কর্মকর্তারাই ছিল। সেখানে আমাদের বলা হয়েছিল, আমরা তো একেবারে নতুন এসেছি। না হয় একটা ম্য়াচে হেরেই গেলাম! কিন্তু, মনোবল হারালে চলবে না। যদি মনোবল ঠিক রাখা যায়, যদি আত্মবিশ্বাস ধরে রাখা যায়, তাহলে জয় একেবারে অবশ্যম্ভাবী।' আর এই একটা পেপ-টকেই গোটা দল একেবারে ঘুরে দাঁড়ায়। কোয়ার্টার ফাইনালে জামশেদপুর এফসি-কে হারানোর পর তারা সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে দেয়।
East Bengal FC: লাল-হলুদের আগুন পাখি, ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ম্যাচ ঘোরালেন এই ভারতীয় ফুটবলার!
একনজরে ম্য়াচের হাল-হকিকত
এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, ম্যাচের ৬৬ মিনিটে ডায়মন্ড হারবার এফসি-র স্প্যানিশ ডিফেন্ডার মিকেল কোর্তাজার একটি চোখধাঁধানো বাইসাইকেল কিকে প্রথম গোলটি করেছিলেন। কিন্তু, এক মিনিটের মধ্যে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে সমতা ফেরালেন ডিফেন্ডার আনোয়ার আলি। দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্য়াচ দেখার জন্য সল্টলেক স্টেডিয়ামে প্রায় ১৯,০০০ দর্শক উপস্থিত হয়েছিলেন। ৮৩ মিনিটে এই দর্শকদের একাংশকে চুপ করিয়ে দেন DHFC-র তারকা ফুটবলার জবি জাস্টিন। জয়সূচক গোলটি তিনি করলেন।
East Bengal FC: সেমির লড়াইয়ে 'বড় ধাক্কা' ইস্টবেঙ্গলে, মাথায় হাত অস্কারের!
'নাম দিয়ে আর ফুটবল হবে না', খোঁচা মানসের
এই জয়ের পর ইস্টবেঙ্গল এফসি-কে খানিক খোঁচা দিলেন মানস ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, 'নাম দিয়ে আর ফুটবল হবে না। ভারতীয় ফুটবলে উপরের সারির যে দলগুলো রয়েছে, তাদের সঙ্গে পরেরদিকে থাকা দলগুলোর খুব একটা বেশি পার্থক্য নেই। এটা আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল।' সঙ্গে তিনি যোগ করেন, 'এই মাঠেই ইস্টবেঙ্গল ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালে ৪-১ গোলে মোহনবাগানকে হারিয়েছিল। সেকথা তোমরা হয়ত অনেকেই জান না। কিন্তু, ফাইনালে তারা সালগাঁওকরের কাছে হেরে গিয়েছিল। মোহনবাগানকে হারানোর পর ইস্টবেঙ্গল ভেবেছিল যে ফাইনালেও হয়ত বাজিমাত করে দেব। সেদিন তারা জিততে পারেনি। আজও ডায়মন্ড হারবার এফসি-র বিরুদ্ধে জিততে পারল না।'