/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/20/east-bengal-fc-vs-diamond-harbour-fc-4-2025-08-20-21-38-01.jpg)
East Bengal FC: বাংলা ফুটবলে একটি প্রচলিত প্রবাদ রয়েছে। যে দল ডার্বি ম্য়াচে জয়লাভ করে, তারা নাকি পরের ম্য়াচটা জিততে পারে না। চলতি ডুরান্ড কাপে (Durand Cup 2025) ইস্টবেঙ্গল এফসি-র হয়ে এই কথাটাই কার্যত 'অভিশাপ' হয়ে দেখা দিল। গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে অপরাজিত ছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। কোয়ার্টার ফাইনালে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকেও (Mohun Bagan Super Giant) হারিয়েছিল ২-১ গোলে। কিন্তু, পরবর্তী ম্য়াচে অর্থাৎ সেমিফাইনালে ডায়মন্ড হারবার এফসি-র (Diamond Harbour FC) বিরুদ্ধে ২-১ গোলে হেরে গেল। আর সেইসঙ্গে শেষ হয়ে গেল ডুরান্ড ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন। ডায়মন্ড হারবার এফসি-র হয়ে একটি করে গোল করলেন কোর্তাজার এবং জবি জাস্টিন। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে একমাত্র গোল করেন আনোয়ার আলি।
East Bengal FC: লাল-হলুদের প্রাক্তনীর গোলেই পরাস্ত ইস্টবেঙ্গল, চুরমার ফাইনালের স্বপ্ন
ডুরান্ড ফাইনালে ডায়মন্ড হারবার এফসি
অন্যদিকে, এই প্রথমবার ডুরান্ড কাপ টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেছে ডায়মন্ড হারবার এফসি। কোয়ার্টার ফাইনালে জামশেদপুর এফসি-কে হারানো যদি এই টুর্নামেন্টের সবথেকে বড় অঘটন হয়, তাহলে এই সেমির জয়কে আর কীই বা বলা যায়? এল, দেখল এবং জয় করে মাঠ ছাড়ল। কিবু ভিকুনার দল আগামী শনিবার ডুরান্ড কাপের ফাইনাল খেলতে নামবে। প্রতিপক্ষ নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড এফসি। সেই ম্য়াচে তারা ইতিহাস গড়তে পারে কি না, সেটাই আপাতত দেখার।
East Bengal FC: লাল-হলুদের আগুন পাখি, ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ম্যাচ ঘোরালেন এই ভারতীয় ফুটবলার!
দুরন্ত বাইসাইকেল কিক কোর্তাজার, সমতা ফেরান আনোয়ার
এবার ম্য়াচের কথায় আসা যাক। এই ম্য়াচের প্রথমার্ধে দুটো দলই গোল করার একাধিক সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু, তারা একটাও কাজে লাগাতে পারেনি। যাবতীয় 'খেল' ম্য়াচের দ্বিতীয়ার্ধেই দেখতে পাওয়া গেল। ৬৬ মিনিটে অসাধারণ একটি বাইসাইকেল কিকে ডায়মন্ড হারবার এফসি-কে এগিয়ে দিয়েছিলে কোর্তাজার। বিশ্বমানের সেই গোলের প্রশংসা শুরু হয়ে যায় সর্বত্র। কিন্তু, এই প্রশংসার রেশ শেষ হতে না হতেই ইস্টবেঙ্গলের হয়ে সমতা ফেরালেন আনোয়ার আলি। মাত্র ১ মিনিটের মধ্যেই একটি দুরপাল্লার শটে তিনি লাল-হলুদ সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটান।
জয়সূচক গোলটি করলেন জবি জাস্টিন
অবশেষে ম্য়াচের ৮৩ মিনিটে লাল-হলুদের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দিলেন জবি জাস্টিন। যাঁরা ইতিপূর্বে জবিকে ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে খেলতে দেখেছেন, তাঁরা হয়ত এই গোলটি দেখার পর কিছুটা হলেও হতাশ হয়ে পড়বেন। কিন্তু, এটাই তো ফুটবল! ইস্টবেঙ্গল বক্সের সামনে একাধিক ফুটবলারের হুড়োহুড়ি দেখতে পাওয়া যাচ্ছিল। আর সেই সুযোগেই জবি লাল-হলুদের জালে বলটা কোনওক্রমে জড়িয়ে দিলেন। তবে গোল করার পরও কোনও উচ্ছ্বাস দেখালেন না জবি। যেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা আজও তাঁর হৃদয়ে রয়েছে। এই গোলটা করে তিনি যেন প্রাক্তন দলকেই 'গুরুদক্ষিণা' দিলেন।
/filters:format(webp)/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/20/east-bengal-fc-vs-diamond-harbour-fc-6-2025-08-20-21-38-01.jpg)
যাইহোক, এই হারের পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গল এফসি-র ব্যর্থতার ঘড়া কার্যত উপচে পড়ল। ২০২৪ সালের শুরুতে তারা কলিঙ্গ সুপার কাপ জয় করেছিল। সেইসময় দলের কোচ ছিলেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। তারপর গঙ্গার জল অনেকদূর বয়েছে। ফুটবলার পরিবর্তন করা হয়েছে। বদল হয়েছে দলের কোচও। কুয়াদ্রাতের জায়গায় অস্কার ব্রুজোঁ এলেও তিনি লাল-হলুদ সমর্থকদের কাছে হ্যামলিনের বাঁশিওয়ালা হয়ে উঠতে পারেননি। এই পরাজয় ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের হতাশা যে আরও বাড়িয়ে দেবে, তা বলা যেতেই পারে।