/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/15/cricketer-death-2-2025-08-15-16-25-28.jpg)
প্রয়াত মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন ক্রিকেটার নিকোলাস সালদানহা
Bob Simpson: শনিবার (১৬ অগাস্ট) সাত-সকালেই একটি দুঃখের খবর, ক্রিকেট বিশ্বকে শোকস্তব্ধ করে দিয়েছে। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন অস্ট্রেলিয়ার (Australia Cricket Team) প্রাক্তন ক্রিকেটার বব সিম্পসন। বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। শুধুমাত্র একজন দক্ষ ব্যাটার হিসেবেই নন, একজন কোচ হিসেবেও অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটকে সাফল্যের এক নয়া শৃঙ্গে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন। সিম্পসনের মৃত্যু যে ক্রিকেট বিশ্বের এক অপূরণীয় ক্ষতি, সেটা আর আলাদা করে বলার দরকার নেই। উল্লেখ্য, সিম্পসনকে ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট হল অফ ফেম এবং ২০১৩ সালে আইসিসি হল অফ ফেম সম্মান দেওয়া হয়েছিল।
অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সেরা ব্যাটার ছিলেন বব সিম্পসন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ক্যাপ্টেন্সি এবং কোচিংয়ের পাশাপাশি তিনি নির্বাচকের ভূমিকাও পালন করেছিলেন। প্রসঙ্গত, তাঁর কোচিংয়েই অস্ট্রেলিয়া ১৯৮৭ সালে বিশ্বকাপ টুর্নামেন্ট এবং ১৯৮৯ সালে ঘরের মাটিতে অ্যাশেজ সিরিজ জয় করেছিল। সিম্পসনের সঙ্গে ভারতেরও একটি নিবিড় সম্পর্ক ছিল। আসুন জেনে নেওয়া যাক, তাঁর ক্রিকেটীয় যাত্রা এবং কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডের ব্যাপারে...
RIP to a true cricket legend.
— Cricket Australia (@CricketAus) August 16, 2025
A Test cricketer, captain, coach and national selector - Bob Simpson was a mighty figure in Australian cricket, giving everything to our game.
Cricket Australia extends our thoughts and sympathies to Bob’s family and friends. pic.twitter.com/U8yGeZNmCb
১৩ ঘণ্টা করেছিলেন টানা ব্যাটিং
১৯৫৭ সালে ক্রিকেট কেরিয়ার শুরু হয়েছিল বব সিম্পসনের। ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত তিনি অস্ট্রেলিয়ার হয়ে চুটিয়ে খেলেন। ইতিমধ্যে ৬২ টেস্ট ম্য়াচে ৪৬.৮১ ব্যাটিং গড়ে মোট ৪,৮৬৯ রান করেছিলেন। এছাড়াও শিকার করেছিলেন ৭১ উইকেট। যদিও প্রথম সেঞ্চুরিটা ৩০ ম্য়াচ পরে এসেছিল। কেরিয়ারের ৩০ নম্বর টেস্ট ম্য়াচে তিনি প্রথম শতরান করেন। তবে এখানেই থেমে থাকেননি। সেটাকে ত্রিশতরানে রূপান্তরিত করেন। ওল্ড ট্রাফোর্ডে সিম্পসন টানা ১৩ ঘণ্টা ব্যাট করে মোট ৩১১ রান করেছিলেন। এটা অবশ্যই একটি স্পেশাল রেকর্ড ছিল।
Cricketer Death: চোখের নিমেষে শেষ সবকিছু, ছটফট করতে করতে মৃত্যু বাঙালি ক্রিকেটারের
৬১ বছর পর্যন্ত অক্ষত ছিল এই রেকর্ড
বব সিম্পসনই ক্রিকেট বিশ্বের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক, যিনি ট্রিপল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। পাশাপাশি সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেট অধিনায়ক হিসেবেও টেস্ট ফরম্য়াটে তিনি ৩০০ রান করেন। সিম্পসনের এই রেকর্ডটি ৬১ বছর পর্যন্ত অক্ষত ছিল। সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার বিয়ান মুল্ডার এই রেকর্ডটি ভেঙে দেন। জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট ম্য়াচেই তিনি ৩৫৭ রানের ইনিংস উপহার দেন প্রোটিয়া ব্রিগেডকে।
Former Australian captain and coach Bob Simpson passed away aged 89.
— Cricketopia (@CricketopiaCom) August 16, 2025
First Test captain to record a triple century.
Team Australia Coach in World Cup 1987.
The only person to be involved in both tied tests - one as a player and one as a coach.
Wisden Cricketer of Year 1965. pic.twitter.com/Et8ZXchp4P
অধিনায়ক হিসেবে কেমন ছিল বব সিম্পসনের রেকর্ড
এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, বব সিম্পসনের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া মোট ৩৯ টেস্ট ম্য়াচ খেলেছেন। এরমধ্যে ১২ ম্য়াচে ক্যাঙারু ব্রিগেড জয়লাভ করে। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, অবসর ভেঙে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কামব্যাক করেছিলেন। আর প্রত্যাবর্তনের সময় তাঁর বয়স ছিল ৪১ বছর। তৎকালীন দুর্বল অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের হাত ধরেন। কামব্যাকের পর তিনি আরও ১০ টেস্ট ম্য়াচ খেলেছিলেন। এরমধ্যে জোড়া শতরানও করেছিলেন।
Cricketer Death News: মারা গেলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন পেস বোলার, শোকের ছায়া বিশ্বজুড়ে
জোড়া টাই টেস্ট ম্যাচেরও সাক্ষী ছিলেন সিম্পসন
সিম্পসনকে ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট হল অফ ফেম এবং ২০১৩ সালে আইসিসি হল অফ ফেম সম্মান দেওয়া হয়েছিল। মজার ব্যাপার হল, ক্রিকেট ইতিহাসের জোড়া টাই টেস্ট ম্যাচেরও সাক্ষী ছিলেন তিনি। ১৯৬০ সালে ব্রিসবেনে আয়োজিত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে। এই ম্য়াচে তিনি ওপেনিং ব্যাটার হিসেবে খেলতে নেমেছিলেন। আর ১৯৮৬ সালে ভারতের বিরুদ্ধে। চেন্নাইয়ে আয়োজিত এই ম্য়াচে তিনি অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের কোচ ছিলেন।
An Australian Test captain and one of the most influential coaches ever in Australian cricket, Bob Simpson has passed away at the age of 89.
— 7Cricket (@7Cricket) August 16, 2025
Vale, Bob 🙏 pic.twitter.com/ATlk6Vfcr9
ভারতের সঙ্গে ছিল বিশেষ সম্পর্ক
ভারতীয় ক্রিকেট দলের সঙ্গে একটা বিশেষ সম্পর্ক ছিল বব সিম্পসনের। আপনাদের অনেকেরই হয়ত মনে থাকবে, নয়ের দশকে ভারতীয় ক্রিকেট দলের পরামর্শদাতা হিসেবে তিনি কাজ করেছিলেন। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে রনজি ট্রফিতে রাজস্থান ক্রিকেট দলের হয়েও তিনি এই একই ভূমিকা পালন করেছিলেন। যদিও তাঁর কার্যকালের মেয়াদ একেবারেই সংক্ষিপ্ত ছিল।