কোচ নির্বাচন এখনও চূড়ান্ত নয়। কপিল দেবের নেতৃত্বাধীন ক্রিকেট অ্যাডভাইসারি কমিটি কিছুদিনের মধ্যেই হেড কোচ বেছে নেবেন। তার আগেই বোর্ডের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে গেল অ্যাডভাইসারি কমিটিকে কেন্দ্র করে। কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্টেটর্স-এর সদস্য ডায়ানা এডুলজি প্রশ্ন তুলেছিলেন কপিল দেবের ক্রিকেট অ্যাডভাইসারি কমিটির কোচ নির্বাচনের এক্তিয়ার নিয়ে। তিনি স্বার্থ সংঘাতের প্রসঙ্গ তুলে স্পষ্টই নিজের অসন্তোষ ব্যক্ত করেন। যদিও তাঁর এই যুক্তি সিওএ সদস্যদের ভোটাভুটিতে খারিজ হয়ে যায়।
গোয়ার কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্টেটর্স-এর বৈঠকের পরে ডায়ানা এডুলজি সংবাদসংস্থাকে জানান, "আমার বিপক্ষে ২-১টি ভোট পড়েছে। আমি জানিয়েছিলেন, স্বার্থ সংঘাত কিনা, তা খতিয়ে দেখার জন্য এথিক্স অফিসার ডিকে জৈন-এর কাছে যাওয়া প্রয়োজন। কারণ অ্যাড হক কমিটি মোটেই সংবিধান নয়। সেই কারণেই নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলাম।" এরপরেই এডুলজি-র উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
আরও পড়ুন
এর আগে কপিল দেবের সঙ্গে অ্যাড হক কমিটির বাকি দুই সদস্য শান্তা রঙ্গস্বামী এবং অংশুমান গায়কোয়াড় মহিলা দলের হেড কোচ হিসেবে ডব্লিউ ভি রামনকে বেছে নিয়েছিলেন। সেই সময়েও অ্যাড হক কমিটির গঠনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রামনের নির্বাচনকে বেআইনি বলে দাগিয়ে দিয়েছিলেন। ঘটনা হল, ডায়ানা এডুলজি হেড কোচ নির্বাচনের জন্য অ্যাড হক কমিটি গঠনের শুরু থেকেই বিরোধিতা করে আসছেন। তিনি চেয়েছিলেন, কোনও অ্যাড হক কমিটি গঠন না করেই রবি শাস্ত্রীকে যেন বিসিসিআইয়ের পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত কোচের পদে কাজ চালিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়।
এডুলজি জানিয়েছেন, সিওএ-এর কোনও এক্তিয়ারই নেই কে স্বার্থ সংঘাতের ঘটনায় অভিযুক্ত, "তা খতিয়ে দেখার। এটা এথিক্স অফিসারের পর্যালোচনার বিষয়। আমি আগের অবস্থানেই অনঢ় থাকছি। অ্যাড হক কমিটি কোনওভাবেই কোচ বাছাই করতে পারেন না। এটা সংবিধান বহির্ভূত।"
বিসিসিআইয়ের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, শাস্ত্রীকে বোর্ডের পরবর্তী ইলেকশন পর্যন্ত কাজ চালিয়ে নেওয়ার কথা বলে আসছেন উনি বহুদিন ধরে। বোর্ডের অন্দরমহলে এমন কথা শোনা যায় যে শাস্ত্রীকে যদি পরবর্তী ২ বছরের জন্য পুনরায় নির্বাচিত করা হয়, তাহলে ইলেকশন সম্পন্ন হওয়ার পরেও হয়তো ওঁকে হয়তো কোনওদিন সরানো যাবে না। সিওএ-র অনেক সদস্যই নাকি বোর্ডের সভাপতি পদে একজন ক্ষমতাশালী ব্যক্তিকে চাইছেন।