Diogo Jota Death Controversy: বিমান ছেড়ে কেন ফিরছিলেন গাড়ি চালিয়ে? জোতার মৃত্যুতে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

Diogo Jota Death: গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন পর্তুগালের (Portugal Football Team) তারকা ফুটবলার দিয়েগো জোতা (Diogo Jota)। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ভাই আন্দ্রে সিলভাও। বৃহস্পতিবার ভারতীয় সময় অনুসারে দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। গোটা ফুটবল বিশ্ব আপাতত শোকস্তব্ধ। সতীর্থ ফুটবলারের মৃত্যুতে শোকবার্তা জ্ঞাপন করেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোও (Cristiano Ronaldo)।

Diogo Jota Death: ভয়াবহ দুর্ঘটনায় নিহত লিভারপুল তারকা দিয়োগো জোটা, ১০ দিন আগেই বিয়ে করেন রোনাল্ডোর সতীর্থ

প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, দিয়েগো এবং তাঁর ভাই আন্দ্রে একটি ল্যাম্বরগিনি গাড়ি চালিয়ে আসছিলেন। সারনাডিলা মিউনিসিপ্যালিটির কাছে তাঁরা অপর একটি গাড়িকে ওভারটেক করতে যান। সেইসময় আচমকা ল্যাম্বরগিনির চাকা ফেটে যায় বলে খবর। গাড়ির গতিবেগ এতটাই ছিল যে রাস্তা থেকে সেটা ছিটকে পাশে চলে আসে। আর সঙ্গে সঙ্গে গাড়িতে আগুন ধরে যায়। এই দুর্ঘটনার পর গাড়ি থেকে আর বেরোতে পারেননি দিয়েগো জোতা এবং আন্দ্রে সিলভা। অগ্নিদগ্ধ হয়েই মারা যান তাঁরা।

Diogo Jota Passed Away: মৃত্যুর খবর আগেই জানতেন দিয়েগো জোতা? শেষ পোস্ট ঘিরে বাড়ছে রহস্য

দেখে নিন ভিডিও:

Liverpool footballer Diogo Jota has died in a car crash (Lambo). pic.twitter.com/oqgWmflz5H

— deх (вall dnт lιe) (@balldntlie_) July 3, 2025

(যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা হয়নি)

এখন প্রশ্ন হল, কেন স্পেন থেকে ব্রিটেনে আসার জন্য বিমানে চড়লেন না জোতা? পয়সার তো কোনও অভাব ছিল না! তাও কেন সড়কপথই বেছে নিলেন তিনি। বেশ কয়েকটি সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, সম্প্রতি লিভারপুলের (Liverpool) এই ফুটবলারের ফুসফুসে একটি অপারেশন হয়েছিল। সেকারণে চিকিৎসকরাই তাঁকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, কয়েকটা দিন বিমানে না চড়ে যেন সড়কপথেই তিনি যাতায়াত করেন। আর চিকিৎসকের সেই পরামর্শ মানতে গিয়েই কার্যত মৃত্যুর দরজায় কড়া নাড়লেন তিনি।

Diogo Jota Death: চাকা ফেটে ছিটকে গেল গাড়ি, মুহূর্তে জ্বলে পুড়ে খাক, ঝলসে গেলেন ফুটবল তারকা

স্থানীয় সূত্রের খবর, উত্তর স্পেনের বন্দর শহর স্যান্টান্ডারের দিকে তিনি ওই গাড়ি চালিয়ে আসছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল, স্যান্টান্ডার থেকে ফেরি ধরে ইংল্যান্ডে ফিরবেন তিনি। তারপর সেখান থেকে লিভারপুলে যাবেন। কিন্তু, সেসব আপাতত অতীত। এই প্রসঙ্গে পর্তুগালের সাংবাদিক ভিক্টর পিন্টো জানিয়েছেন, 'জোতার ফুসফুসে সামান্য সমস্যা ছিল। যদি তা এমন কিছু মারাত্মক ছিল না। আর সেকারণেই তিনি গাড়িতে চেপে মাঝমধ্যে জায়গায় যাতায়াত করতেন। আর স্পেন এবং ইংল্যান্ডের মধ্যে ফেরি পরিষেবা থাকার কারণে, ওই পথটাই বেছে নিয়েছিলেন তিনি।'

Diogo Jota Death: পর্তুগাল তারকার বীভৎস মৃত্যু, সতীর্থের শোকে ভেঙে পড়লেন রোনাল্ডো, কী বললেন CR7?

মাত্র ২৮ বছর বয়সে জোতা যেভাবে চলে গেলেন, তা দেখে কার্যত বাকরুদ্ধ গোটা ফুটবল বিশ্ব। পর্তুগালের জাতীয় ফুটবল দল ছাড়াও লিভারপুল ফুটবল ক্লাবের হয়ে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছিলেন তিনি। সম্প্রতি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে একজন প্রতিভাবান ফরোয়ার্ড হিসেবে নিজের জাত চিনিয়েছিলেন তিনি। জোতার এই অকাল প্রয়াণ যে ফুটবল বিশ্বে এক অপূরণীয় ক্ষতি, সেটা আলাদা করে বলার দরকার লাগে না।