/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/21/rahim-nabi-on-east-bengal-loss-2025-08-21-02-11-41.jpg)
ইস্টবেঙ্গল দলের পরাজয় নিয়ে মুখ খুললেন রহিম নবি
East Bengal FC: একদিকে নবাগত ডায়মন্ড হারবার এফসি (Diamond Harbour FC)। আর অন্যদিকে কলকাতার শতাব্দী প্রাচীন ফুটবল ক্লাব ইস্টবেঙ্গল। বুধবার (২০ অগাস্ট) বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে যে একটা অসম লড়াই হবে, তেমনটাই সকলে আশা করেছিল। কারণ এই ডায়মন্ড হারবার এফসি-কেই মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট ৫-১ গোলে পরাস্ত করেছিল। কিন্তু, দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্য়াচে ঘটল সেই চূড়ান্ত অঘটন। ইস্টবেঙ্গলকে ২-১ গোলে পরাস্ত করে ফাইনালের টিকিট কনফার্ম করে ফেলল ডায়মন্ড হারবার এফসি।
East Bengal FC: লাল-হলুদের প্রাক্তনীর গোলেই পরাস্ত ইস্টবেঙ্গল, চুরমার ফাইনালের স্বপ্ন
ম্যাচের ৬৬ মিনিটে ডায়মন্ড হারবার এফসি-র স্প্যানিশ ডিফেন্ডার মিকেল কোর্তাজার একটি চোখধাঁধানো বাইসাইকেল কিকে প্রথম গোলটি করেছিলেন। কিন্তু, এক মিনিটের মধ্যে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে সমতা ফেরালেন ডিফেন্ডার আনোয়ার আলি। দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্য়াচ দেখার জন্য সল্টলেক স্টেডিয়ামে প্রায় ১৯,০০০ দর্শক উপস্থিত হয়েছিলেন। ৮৩ মিনিটে এই দর্শকদের একাংশকে চুপ করিয়ে দেন DHFC-র তারকা ফুটবলার জবি জাস্টিন। জয়সূচক গোলটি তিনি করলেন।
East Bengal FC: লাল-হলুদের আগুন পাখি, ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ম্যাচ ঘোরালেন এই ভারতীয় ফুটবলার!
ম্যাচের পর ইস্টবেঙ্গল দলের গোলরক্ষক প্রভসুখন গিলের বিরুদ্ধে কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়লেন লাল-হলুদ ব্রিগেডের প্রাক্তন ফুটবলার রহিম নবি (Rahim Nabi)। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে তিনি ফোন মারফৎ জানালেন, 'এই গোলকিপারকে এখনই তাড়ানো উচিত। কোন ক্লাবের জার্সি পরে ও কী খেলছে, সেটাই এখনও বোঝে না।'
প্রথমার্ধে কোনও দলই গোল করতে পারেনি
ম্যাচের প্রথমার্ধেও দুটো দলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখা গিয়েছিল। যদিও দুটো দলের মধ্যে কেউই গোলের দরজা খুলতে পারেনি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলের মধ্যেই গোল করার তাগিদ দেখতে পাওয়া যায়। তবে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের একাংশ মনে করছেন, বুধবার যে দুটো গোল মশালবাহিনী হজম করেছে, সেগুলো অনায়াসেই আটকানো সম্ভব ছিল। একমাত্র প্রত্যুৎপন্নমতিত্বের অভাবেই প্রভসুখন গিল মাত খেয়ে গিয়েছেন।
East Bengal FC: সেমির লড়াইয়ে 'বড় ধাক্কা' ইস্টবেঙ্গলে, মাথায় হাত অস্কারের!
রহিম নবির কথায়, 'ডায়মন্ড হারবার এফসি-কে এরা একেবারে হালকাভাবে নিয়েছিল। আমরা সকলেই জানি, ডার্বি ম্যাচে যে দল জয়লাভ করে, তার পরের ম্য়াচটা ঠিক কোনও না কোনওভাবে আটকে যায়। আজও আমরা সেই একই ঘটনা দেখলাম। তবে এই হারের দায় একমাত্র গোলকিপারের। গোটা টুর্নামেন্টে যে গোল করার সুযোগ মিস করেছে, তাদের নিয়ে আমি একটাও কথা বলব না। কিন্তু যারা এভাবে গোল খায়, তাদের একেবারেই ক্ষমা করা যায় না।'
একাধিক গোলের সুযোগ মিস করলেন দিয়ামান্তাকোস
ইস্টবেঙ্গলের গ্রিক স্ট্রাইকার দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকোস ডার্বি ম্য়াচে জোড়া গোল করলেও, সেমিফাইনাল ম্য়াচে তাঁকে একেবারেই নিষ্প্রভ লাগছিল। তিনি কমপক্ষে চারটে গোল করার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু, প্রতিবারই লক্ষ্যভ্রষ্ট হলেন। অন্যদিকে, ম্য়াচের ৭৯ মিনিটে ব্রাজিলিয়ান প্লে-মেকার মিগুয়েল ফিগুয়েরার শটটা গোলপোস্টে লেগে ফেরত না এলে এই ম্য়াচের ফলাফল আলাদা হতেই পারত। কারণ, সেইসময় যদি ইস্টবেঙ্গল ২-১ গোলে এগিয়ে যেত, তাহলে তাঁদের আত্মবিশ্বাসও অনেকটাই উপরের দিকে থাকত। ১৫ মিনিটেও তিনি একটি গোল করার সুযোগ মিস করেছিলেন।
পাশাপাশি ডায়মন্ড হারবার এফসি'র প্রশংসাও শুনতে পাওয়া গেল রহিম নবির গলায়। তিনি বললেন, 'ডায়মন্ড হারবারের কোচ ইতিপূর্বে আই-লিগের মতো বড় টুর্নামেন্ট জয় করেছেন। উনি যে পরিকল্পনা করে মাঠে নেমেছিলেন, তাতে কিন্তু সফল হয়েছে। প্রথমে ডিফেন্স করেছে। পরে প্রতি-আক্রমণের পথে হেঁটেছে। আর এভাবেই সাফল্য এসেছে। কিবু ভিকুনা যেভাবে এই দলটাকে গড়ে তুলেছেন, তাতে ওঁকে চূড়ান্ত সফল বলা যেতেই পারে। আমি আবারও বলব যে একমাত্র গোলকিপারই ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে দিল।'