/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/23/north-east-goal-2025-08-23-18-15-28.jpg)
গোল করার পর নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড এফসি-র ফুটবলারদের উল্লাস
Durand Cup 2025: চলতি ডুরান্ড কাপ আপাতত গোধূলিলগ্নে এসে দাঁড়িয়েছে। ফাইনাল ম্য়াচে খেলতে নেমেছে নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড এফসি (NorthEast United FC) এবং ডায়মন্ড হারবার এফসি (Diamond Harbour FC)। ম্যাচের প্রথমার্ধে দুটো দলের মধ্যেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখতে পাওয়া গেল। যদিও ম্যাচের প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে রয়েছে। একটি করে গোল করেছেন আশির আখতার এবং পার্থিব গগৈ।
Diamond Harbour FC: জবির গতি, 'চাণক্য' কিবুর রণনীতি! কীভাবে আক্রমণ সাজাচ্ছে ডায়মন্ড হারবার এফসি?
ঠিক বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ এই ফাইনাল ম্য়াচ শুরু হয়। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ফুটবলে লাথি মেরে খেলা শুরু করেন। শুরু থেকেই দুটো দলের মধ্যে আক্রমণাত্মক মনোভাব দেখতে পাওয়া যায়। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড কিছুটা হলেও অ্যাডভান্টেজ পজিশনে ছিল। তবে ডায়মন্ড হারবার এফসি-ও দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই শুরু করে। ১৬ মিনিটে গিরিক মহেশ খোসলাকে ফাউল করার কারণে হলুদ কার্ড দেখেন হৃদিম লাং।
ম্যাচের ২১ মিনিটে ভাল জায়গা থেকে ফ্রি-কিক করার সুযোগ পেয়েছিল ডায়মন্ড হারবার। যথেষ্ট চাপে পড়েছিল নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড এফসি-র ডিফেন্স। কিন্তু, এই সুবর্ণ সুযোগ তারা মিস করে। স্যামুয়েল বলটা নিয়ে বক্সের মধ্যে ঢুকেছিলেন ঠিক, কিন্তু শটের গতি অনেকটা বেশি হওয়ায় তা বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়।
এগিয়ে গেল নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড এফসি
এরপর ম্যাচের ৩০ মিনিটে আসে নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড এফসি-র কাঙ্খিত গোল। ডায়মন্ড হারবার এফসি-র বক্সে দুই দলের ফুটবলারদের হুড়োহুড়ি দেখতে পাওয়া যায়। এই ভিড়ের মধ্যে থেকেই একটি শট ডায়মন্ড হারবার এফসি-র গোলকিপার মিরশাদের দিকে ধেয়ে আসে। শটটা তিনি প্রাথমিকভাবে আটকালেও, শেষপর্যন্ত বলটা তাঁর হাত থেকে বেরিয়ে যায়। সেখান থেকে বলটা আশিরের পায়ে আসে। তিনি শট নিতে কোনও ভুল করলেন না। আপাতত ১-০ গোলে এগিয়ে রয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন।
প্রথম গোলটা করার পর নর্থ-ইস্টের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে যায়। তারা আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়িয়ে দেয়। প্রথমার্ধের সংযোজিত সময়ে (৪৫+১ মিনিট) দ্বিতীয় গোল করলেন পার্থিব গগৈ। দুরপাল্লার শটে একেবারে নজরকাড়া গোল।
প্রথমার্ধের একেবারে শেষবেলায় নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড এফসি-র লিড বাড়িয়ে দিলেন পার্থিব। একেবারে ফাইনাল থার্ডে বলটা পেয়েছিলেন তিনি। বাঁ-প্রান্ত ধরে তিনি বক্সের মধ্যে প্রবেশ করেন। এরপর শেষবেলায় বুটের মুখটা খোলেন তিনি। টপ-রাইট কর্নার দিয়ে বলটা তিনি ডায়মন্ড হারবারের জালে জড়িয়ে দেন। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে বাংলার ফুটবল ক্লাব কামব্যাক করতে পারে কি না, সেটাই এখন দেখার।