ইস্টবেঙ্গলের কার্যকরী কমিটির বৈঠক শেষ হয়ে গিয়েছে একদিন আগেই। সেই বৈঠকের সিদ্ধান্ত এখন হাহাকার তুলে দিয়েছে সদস্য সমর্থকদের মধ্যে। তবে জানা গিয়েছে, ইস্টবেঙ্গল সই না করার সিদ্ধান্ত এখনো সরকারিভাবে জানায়নি বিনিয়োগকারী সংস্থাকে। সেই প্রক্রিয়া চলছে।
মূল চুক্তিপত্রে ঠিক কোথায় আপত্তি ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের? ক্লাবে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, প্রাথমিকভাবে শ্রী সিমেন্টের পক্ষ থেকে যে চুক্তিপত্র পাঠানো হয়েছিল, সেখানে বেশ কিছু বিষয়ে আপত্তি ছিল কর্মকর্তাদের। তবে সেই 'আপত্তিকর' পয়েন্টগুলো সমাধান করার বদলে আরো নাকি নতুন 'অপমানজনক' পয়েন্ট সংযোজন করা হয়। ঠিক এখানেই আপত্তি ইস্টবেঙ্গলের। বলা হচ্ছে, নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে ক্লাবে সদস্য সমর্থকরা প্রবেশ করতে পারবেন না। ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে ক্ষোভ সদস্য সমর্থকরা ক্লাবের হৃদপিন্ড! তাঁদের 'ট্রেসপাসার্স' বলা হলে তা ক্লাবকেই অসম্মান করা হয়।
আরো পড়ুন: টার্মশিটে সই করা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত ইস্টবেঙ্গলের! আরো অন্ধকারে ডুবে গেল ক্লাব
ঘটনা হল, এক্সিট ক্লজ নিয়ে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে এক্সজিকিউটিভ কমিটির বৈঠকে অনেকক্ষণ আলোচনা হয়েছে। 'এগজিট ক্লজ' নিয়ে সাফ বলা হয়েছে, বিনিয়োগকারী সংস্থা বাজারদর অনুযায়ী নিজেদের শেয়ার তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রয় করতেই পারে। বিচ্ছেদের আগে ক্লাবকে প্রথমে শেয়ার কিনে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হবে। তা নাহলে অন্য কোনো সংস্থাকে তা বিক্রি করতে পারবে শ্রী সিমেন্ট। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের মারাত্মক আপত্তি এখানেই।
আরো পড়ুন: আরো ভাঙল ইস্টবেঙ্গল স্কোয়াড, চলে গেলেন বাঙালি তারকা! ধোঁয়াশা জিইয়ে রাখলেন ফাউলার
শ্রী সিমেন্টের পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ক্লাবকে সেই শেয়ার অর্থ দিয়ে কিনতে হবে। তবে লাল হলুদ কর্মকর্তাদের যুক্তি, ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে বিনিয়োগ করার সময় মেধাস্বত্ত্ব বাবদ আলাদা অর্থ খরচ করেনি শ্রী সিমেন্ট। শুধুমাত্র বিনিয়োগ বাবদ নির্দিষ্ট অর্থ লগ্নি করেছে। তাই বাজারদর মেপে নিজেদের শেয়ার বিক্রি করা- এই পয়েন্ট কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। যদি একদম শুরুতেই মেধাস্বত্ত্ব বাবদ অর্থ খরচ করত, তাহলে তৃতীয় পক্ষকে নিজেদের শেয়ার কেনাবেচার প্রসঙ্গ উঠত।
আরো পড়ুন: কলকাতা লিগে না খেললে কড়া শাস্তির মুখে ইস্টবেঙ্গল, এবার হুমকি আইএফএ-র
জানা যাচ্ছে, ইস্টবেঙ্গল কর্মকর্তারা নিজেদের কার্যকরী কমিটির সিদ্ধান্ত সরকারিভাবে জানানোর পরেও আলোচনা চালিয়ে যাবে বিনিয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে। ক্লাব কর্তারা আশাবাদী জট খুলবেই। তবে কবে? সমর্থকরা যে হাপিত্যেশ করে বসে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন