/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/01/dimitrios-diamantakos-2025-09-01-18-11-56.jpg)
ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন ফুটবলার দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকোস
Dimitrios Diamantakos: গ্রিক ফরোয়ার্ড দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকোসের সঙ্গে যাবতীয় সম্পর্ক শেষ করল ইস্টবেঙ্গল এফসি (East Bengal FC)। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) লাল-হলুদ ব্রিগেডের পক্ষ থেকে এই কথা ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে।
ক্লাবের পক্ষ থেকে একটি সাংবাদিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকোস এবং ইস্টবেঙ্গল এফসি-র যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করা হল। এই ক্লাবের হয়ে খেলার জন্য দিমিকে আমরা আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।'
East Bengal FC vs Kitchee FC Highlights: জ্বলে উঠল লাল-হলুদ মশাল, ইতিহাস গড়ল ইস্টবেঙ্গল
গত বছর যোগ দিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলে
এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, গত বছর জুন মাসে দিয়ামান্তাকোস লাল-হলুদ ব্রিগেডে যোগ দিয়েছিলেন। কেরালা ব্লাস্টার্স এফসি থেকে তিনি ইস্টবেঙ্গল দলে যোগ দেন। তাঁর সঙ্গে ২ বছরের চুক্তি হয়েছিল। কলকাতার এই ফুটবল ক্লাবের হয়ে দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকোস মোট ৩২ ম্য়াচ খেলেছেন। এরমধ্যে তিনি ১২ গোল করেছেন। আর চারটি গোলের ক্ষেত্রে অ্যাসিস্ট করেছিলেন।
East Bengal FC: জ্বলে উঠল লাল-হলুদ মশাল, কলকাতা ফুটবল লিগের সুপার সিক্সে ইস্টবেঙ্গল
অন্য়দিকে, আন্তর্জাতিক স্তরে গ্রিক স্কোয়াডের সদস্য ছিলেন দিয়ামান্তাকোস। ২০১২ সালে উয়েফা ইউরোপিয়ান অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপে রানার্স আপ হয়েছিলেন তিনি। এর পাশাপাশি গ্রিসের সিনিয়র ফুটবল দলের হয়েও তিনি পাঁচটি ম্য়াচ খেলেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে কেরালা ব্লাস্টার্স এফসি দলে যোগ দিয়েছিলেন দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকোস। সেই বছর ফুটবল পায়ে কার্যত ধামাকা করেন তিনি। ১৭ ম্য়াচে করেছিলেন ১৩ গোল। টুর্নামেন্টের সেরা ফুটবলারের তকমাও তাঁকেই দেওয়া হয়েছিল। এরপরই ইস্টবেঙ্গলের নজরে পড়ে যান তিনি। সেইসময় লাল-হলুদ ব্রিগেডের কোচ ছিলেন কার্লেস কুয়াদ্রাত।
East Bengal FC: 'আজও টোটো-রিকশায় চাপলে...', কলকাতার ভালবাসায় আজও মুগ্ধ লাল-হলুদের প্রাক্তন ফুটবলার
শুরুর দিকে খানিকটা প্রত্যাশা পূরণ করতে পারলেও, গত আইএসএল মরশুম যত সামনের দিকে এগিয়েছে, ততই দিয়ামান্তাকোসের পারফরম্য়ান্স সমালোচনায় বিদ্ধ হয়েছে। একাধিকবার সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করেছেন তিনি। সেকারণে কুড়িয়েছেন সমর্থকদের হতাশাও। একডজন গোল মন ভরাতে পারেনি লাল-হলুদ ব্রিগেডের।
তবে চলতি মরশুমে দিমির পারফরম্য়ান্স দেখে মনে হয়েছিল, আবারও সেই হারানো ফর্ম তিনি ফিরে পেয়েছেন। সেই ঝলক দেখা যায় ডুরান্ড কাপে। এমনকী, টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে আয়োজিত কলকাতা ডার্বিতে তিনি জোড়া গোল করে দলকে জিতিয়েওছিলেন। কিন্তু, শেষরক্ষা হল না। লাল-হলুদ ম্য়ানেজমেন্ট আর তাঁর উপরে ভরসা রাখতে পারল না।