/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/31/east-bengal-fc-11-2025-08-31-19-29-33.jpg)
গোল করার পর উচ্ছ্বাস সঙ্গীতার
East Bengal FC: ইতিহাস গড়ল ইস্টবেঙ্গলের মহিলা ফুটবল দল। রবিবার (৩১ অগাস্ট) এএফসি উইমেন্স চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় প্রিলিমিনারি ম্য়াচে কিচি এফসি-র বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল। এই ম্য়াচে তারা ১-১ গোলে ড্র করেছে। ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে একমাত্র গোলটি করেছেন সঙ্গীতা বাসফোরে। অন্যদিকে, বিপক্ষ শিবির অর্থাৎ কিচি এফসি-র হয়ে সমতা ফেরালেন হো মুই মেই। এই জয়ের পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গল টুর্নামেন্টের মূলপর্বে পৌঁছে গেল। এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, গত মরশুমে ওড়িশা এফসি ভারতের প্রথম মহিলা ফুটবল দল হিসেবে এএফসি উইমেন্স চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মূলপর্বে উঠতে পেরেছিল। এবার সেই পথেই পা বাড়ালও ইস্টবেঙ্গলও। লাল-হলুদ ব্রিগেডের এই ফলাফলে সমর্থকরাও যারপরনাই খুশি।
East Bengal FC: কীভাবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মূলপর্বে উঠবে ইস্টবেঙ্গল? দেখে নিন জটিল অঙ্ক
ইস্টবেঙ্গলকে লিড এনে দিয়েছিলেন সঙ্গীতা বাসফোরে
কিচি এফসি-র বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে ইস্টবেঙ্গল মহিলা ফুটবল দলের কোচ অ্যান্থনি অ্যান্ড্রিউস বলেছিলেন যে এই ম্য়াচে তিনি জয় ছাড়া আর কিছুই ভাবছেন না। খেলার মধ্যেও এই ভাবনারই প্রতিফলন দেখতে পাওয়া গেল। যদিও শেষপর্যন্ত ম্য়াচটা ড্র হয়ে যায়। যাইহোক, মাত্র ৯ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলকে ১-০ গোলে এগিয়ে দিলেন বাঙালি ফুটবলার সঙ্গীতা বাসফোরে। যদিও এই গোলের পিছনে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে ফাজিলা ইকওয়াপুটের। তিনি কার্যত বলটা একেবারে সাজিয়ে দিয়েছিলেন। সেখান থেকে এই ভারতীয় ফরোয়ার্ড অবশ্য কোনও ভুল করেননি।
East Bengal FC: জ্বলে উঠল লাল-হলুদ মশাল, কলকাতা ফুটবল লিগের সুপার সিক্সে ইস্টবেঙ্গল
এরপর কিচি এফসি কিছুটা হলেও খোলসের মধ্যে ঢুকে যায়। তারা ইস্টবেঙ্গলের প্লেয়ার মার্কিং করতে শুরু করে দেয়। যদিও তাতে কিছু লাভ অবশ্য হয়নি। প্রথমার্ধের একেবারে শেষবেলায় খেলার ৩৯ মিনিটে কিচি এফসি একটা কামব্যাক করার চেষ্টা করেছিল বটে, কিন্তু লাল-হলুদের দূর্ভেদ্য প্রাচীরে তারা আটকে যায়। এক্ষেত্রে আলাদা করে পান্থোই চানুর নাম উল্লেখ করতেই হবে। আন্তর্জাতিক ফুটবলে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে চানুর। অস্ট্রেলিয়ার মেট্রো ইউনাইটেড দলের হয়ে খেলেন তিনি। যাইহোক, প্রথমার্ধে কোনও দলই আর গোল করতে পারেনি।
East Bengal FC: 'আজও টোটো-রিকশায় চাপলে...', কলকাতার ভালবাসায় আজও মুগ্ধ লাল-হলুদের প্রাক্তন ফুটবলার
তবে ম্য়াচের দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতে না হতেই সমতা ফেরাল হংকংয়ের এই ফুটবল দলটি। ৫৯ মিনিটে দুরন্ত একটি গোল করলেন হো মুই মেই। প্রথম ৪৫ মিনিটে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের মুখে যে হাসি ছিল, তা কিছুটা হলেও মলিন হয়ে যায়। যদিও একটাই স্বস্তির বিষয় ছিল যে ইস্টবেঙ্গল যদি এই ম্য়াচটা ড্র'ও করে, তাহলেও তারা পরের রাউন্ডের যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে। শেষপর্যন্ত তাই হল। ম্যাচটা ১-১ গোলে ড্র হল। তবে এই ম্য়াচে লাল-হলুদ ব্রিগেডের রক্ষণভাগ আলাদা করে প্রশংসার দাবি রাখে। কিচি এফসি বেশ কয়েকটা গোল করার সুযোগ তৈরি করলেও, শেষপর্যন্ত ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্সে তারা প্রতিহত হয়।