East Bengal FC: শুক্রবার (১ অগাস্ট) গোটা দেশজুড়ে পালন করা হচ্ছে ইস্টবেঙ্গলের প্রতিষ্ঠা দিবস। এই উপলক্ষ্যে বিকেলবেলা ক্লাব প্রাঙ্গনে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হবে। বাংলার এই শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবের ইতিহাস যে যথেষ্ট সমৃদ্ধ, সেকথা আর আলদা করে উল্লেখ করার দরকার নেই। বাঙালির কাছে ফুটবল আবেগ মানেই ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান। কলকাতার ডার্বির চিরন্তন লড়াই। কিন্তু, আপনারা কী জানেন, ইস্টবেঙ্গল ফুটবল দলের প্রথম অধিনায়ক কে ছিলেন? কে'ই বা করেছিলেন প্রথম হ্যাটট্রিক। আসুন, তাহলে এই ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করে নেওয়া যাক।
East Bengal Transfer News: ঘুম উড়ে যাবে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের, ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিলেন মরোক্কান 'গোলমেশিন'
সালটা ছিল ১৯২০। সুরেশ চন্দ্র চৌধুরির হাত ধরে প্রতিষ্ঠা হল ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের। দলের প্রথম অধিনায়কের নাম ছিল রমেশ চন্দ্র সেন। তখনও লাল-হলুদ ব্রিগেডের ক্লাব তাঁবু প্রতিষ্ঠা করা হয়নি। যাইহোক, ১৯২২ সালে কলকাতা ফুটবল লিগের একটি দ্বিতীয় ডিভিশিনের ম্য়াচ খেলতে নেমেছিল মশালবাহিনী। প্রতিপক্ষ সেন্ট জেভিয়ার্স। আর এই ম্যাচেই অসাধ্যসাধন করেছিলেন ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাবের প্রথম অধিনায়ক রমেশ চন্দ্র সেন।
রমেশ চন্দ্র সেন। লাল-হলুদ সমর্থকরা তাঁকে ভালবেসে 'নসা সেন ' বলে ডাকতেন। ইস্টবেঙ্গল মাঠে (তৎকালীন নাম ছিল মোহনবাগান গ্রাউন্ড) আয়োজন করা হয়েছিল এই ম্য়াচের। বলা হয়, এটাই নাকি ইস্টবেঙ্গলের প্রথম অফিশিয়াল ম্য়াচ যেখানে মশালবাহিনী হ্যাটট্রিক করেছিল। ১০ মে আয়োজিত ওই ম্য়াচে রমেশ চন্দ্র সেন মোট তিনটে গোল করেছিলেন। আর একটি গোল করেছিলেন ননী গোঁসাই। সেন্ট জেভিয়ার্স মোট ৪-০ গোলে পরাস্ত হয়েছিল।
East Bengal FC: ডার্বির পরেও দুরন্ত ইস্টবেঙ্গল, বেহালাকে হাফ ডজন গোলে উড়িয়ে দিল লাল-হলুদ
কী হয়েছিল সেই ম্য়াচে?
সেইসময় একটি ইংরেজি দৈনিকে ম্যাচের সম্পূর্ণ বিবরণী উল্লেখ করা হয়েছিল। প্রতিবেদন অনুসারে, এই ম্য়াচের শুরু থেকেই ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের গতি ছিল চোখে পড়ার মতো। ইস্টবেঙ্গল দলের 'ইনার রাইট' ফুটবলার রমেশ চন্দ্র সেনের পারফরম্য়ান্স সকলেরই নজর কেড়েছিল। একাই তিনটে গোল করেছিলেন। আর প্রত্যেকটা গোলই এসেছিল ম্য়াচের প্রথমার্ধে। বিরতির পর গোঁসাইয়ের পা থেকে একটি গোল হয়েছিল।
East Bengal FC Transfer Update: আদৌ ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিলেন তারকা ফুটবলার? সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
এই ম্য়াচ বাংলা ফুটবলে এক মর্মস্পর্শী ইতিহাস বহন করে। ১০৩ বছর আগে রমেশ চন্দ্র সেন যে রেকর্ড কায়েম করেছিলেন, আজও তা ইস্টবেঙ্গল ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে। বর্তমানে ইস্টবেঙ্গল দলের পারফরম্য়ান্স নিয়ে হয়ত অনেকেই সমালোচনা করছেন। গত কয়েক বছরে এই দলটা হয়ত সেভাবে কোনও সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। কিন্তু, এই সমৃদ্ধ ইতিহাসকে অস্বীকার করার ধৃষ্টতা গোটা বাঙালিকূলের নেই।