/indian-express-bangla/media/media_files/2025/07/22/oscar-bruzon-east-bengal-2025-07-22-23-43-22.jpg)
ইস্টবেঙ্গল দলের হেড কোচ অস্কার ব্রুজোঁ
East Bengal FC: শেষ হল ২০২৫ আইএফএ শিল্ডের ফাইনাল। অন্তিম ম্য়াচে খেলতে নেমেছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট এবং ইস্টবেঙ্গল এফসি। নির্ধারিত এবং অতিরিক্ত সময়ে এই ম্য়াচে দুটো দলই একটি করে গোল করে। কিন্তু, টাই-ব্রেকারে মোহনবাগান ৫-৪ গোলে জয়লাভ করেছিল। তবে টাইব্রেকার পর্ব শুরু হওয়ার আগে ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজোঁ (Oscar Bruzon) একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন। গোল পোস্টের সামনে প্রভসুখন সিং গিলের পরিবর্তে দেবজিৎ মজুমদারকে মাঠে নামানো হয়। বাগান ফুটবলারদের একটা শটও দেবজিৎ আটকাতে পারেননি। ম্য়াচের শেষে অস্কার ব্রুজোঁ স্বীকার করেছেন যে কোচিং স্টাফের পরামর্শেই তিনি গোলকিপার পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
East Bengal FC: চরম গৃহযুদ্ধ ইস্টবেঙ্গলে, দায়িত্ব ছাড়লেন গোলকিপার কোচ
পদত্যাগ করলেন ইস্টবেঙ্গলের গোলকিপার কোচ
আর এখানেই বাধে গোলযোগ। অস্কারকে এই পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের গোলকিপার কোচ সন্দীপ নন্দী (Sandip Nandy)। আর সেকারণে ম্য়াচের শেষে অস্কারের যাবতীয় রাগ সন্দীপের উপর এসেই পড়ে। আর সেই গনগনে রাগের আঁচ ২ দিন পরও ছিল অব্যাহত। গোয়া বিমানবন্দরে বাংলার অন্যতম তারকা গোলকিপার সন্দীপ নন্দীকে যা নয় তাই বলে অপমান করেন অস্কার। সেই অপমান সহ্য করতে পারেননি সন্দীপ। অবশেষে তিনি যাবতীয় দায়িত্ব ছেড়ে কলকাতায় ফিরে আসার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।
East Bengal FC News: ইস্টবেঙ্গলকে নিয়ে 'দুর্দান্ত খবর', ভুলে যাবেন ডার্বি হারের যন্ত্রণা
কী বললেন সন্দীপ নন্দী?
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে একান্ত সাক্ষাৎকারে সন্দীপ নন্দী বললেন, 'আমি মানছি যে গোটা সিদ্ধান্তটাই আমার ছিল। একজন গোলকিপার কোচ তার দলের হেড কোচকে পরামর্শ দিতেই পারে। কিন্তু, শেষপর্যন্ত কী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে, সেটা একেবারেই হেড কোচের উপর নির্ভর করবে। আমি ইতিপূর্বে বহুবার অস্কারকে বলেছি যে এটা আমার ভুল, আমার মিসটেক। আজ যখন গোয়ায় এসে ওকে গুড মর্নিং জানিয়েছি, তখনও সেই পুরনো প্রসঙ্গ টেনে আমার উপর ব্যক্তিগত আক্রোশ দেখিয়েছে। অস্কারের কথা একটাই। আমি নিশ্চয়ই কারোর পরামর্শে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছি।'
East Bengal Goal Miss: মোক্ষম সময়ে গোল মিস! ইস্টবেঙ্গলের হারের জন্য দায়ী জয় গুপ্তাই?
তিনি আরও যোগ করেছেন, 'আমি তখন স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছি, এই গোটা সিদ্ধান্তটাই আমার ছিল। কারোর পরামর্শে আমি প্রভাবিত হইনি। কেন পরিবর্তনটা করেছিলাম? আমার মনে হয়েছিল, টাইব্রেকারে দেবজিৎ ভাল। কারণ ইতিপূর্বে ও এটিকে মোহনবাগানকে এই টাইব্রেকারেই ট্রফি এনে দিয়েছিল। কিন্তু, গিল আমাকে টাইব্রেকারে অতটাও প্রভাবিত করতে পারেনি। একমাত্র এই একটা অ্যাঙ্গল থেকেই আমি পরামর্শ দিয়েছিলাম। আমার আর কোনও অভিপ্রায় ছিল না।'