New Update
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/05/13/Qj5h9uWavNDyt9lkOCKA.jpg)
ইস্টবেঙ্গলের দলগঠন নিয়ে মন্তব্য করলেন দেবব্রত সরকার
East Bengal FC: ইন্ডিয়ান সুপার লিগে লাল-হলুদ ব্রিগেডের 'আচ্ছে দিন' কবে আসবে, তা দেখার জন্য সমর্থকরা চাতক পাখির মতো অপেক্ষা করছেন। দলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার জানালেন, আগামী মরশুমে দলগঠনের জন্য ঢালাও বাজেটের বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
ইস্টবেঙ্গলের দলগঠন নিয়ে মন্তব্য করলেন দেবব্রত সরকার
East Bengal: একটা সময় বাংলার ফুটবল নিয়ে আলোচনা হলে মূলত দুটো ক্লাবের নামই উঠে আসত। মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল। এই ইলিশ-চিংড়ির লড়াই যে প্রত্যেক বাঙালির রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গিয়েছে, সেটা আলাদা করে বলার প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু, ইন্ডিয়ান সুপার লিগের চাদর গায়ে জড়াতেই ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সেই কৌলিন্য আজ কার্যত ধুলোয় গড়াগড়ি খাচ্ছে। কর্পোরেটের আভিজাত্যে মোড়া এই টুর্নামেন্টে মোহনবাগান যেখানে জোড়া খেতাব আর লিগ শিল্ড জয় করে ফেলেছে, সেখানে ইস্টবেঙ্গল কার্যত প্রতি বছরই পয়েন্ট টেবিলের নীচে দাঁড়িয়ে গড়াগড়ি খাচ্ছে।
প্রথম কয়েক বছর মনে করা হচ্ছিল, যেহেতু লাল-হলুদ একেবারে নতুন আঙিনায় (আই-লিগ এবং কলকাতা ফুটবল লিগ থেকে সোজা আইএসএল) পা রেখেছে, সেকারণেই হয়ত খাপ খাওয়াতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু, বছর ঘুরলেও ফলাফলে কোনও উন্নতি চোখে পড়েনি। ইতিমধ্যে একাধিকবার বদল করা হয়েছে দলের কোচ। অনেক বিদেশি ফুটবলার নিজেদের ভাগ্য যাচাই করতে এসেছিলেন। কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি। প্রতি বছর ক্লাব কর্তাদের মুখে সেই একই কথা শুনতে পাওয়া যায়, 'আমরা আশাবাদী'। এখন পরিস্থিতি এতটাই কঠিন হয়ে গিয়েছে যে এই প্রতিশ্রুতির ফানুসে আগুন ধরাচ্ছে সমর্থকদের মনে জমে থাকা এত বছরের ক্ষোভ এবং হতাশা। এমনকী, কয়েকদিন আগে তো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের প্রশ্ন করেছিলেন, 'মোহনবাগান সাফল্য আনতে পারলে, আপনারা কেন পারবেন না?'
যদিও আশা ছাড়তে নারাজ ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। তিনি বললেন, ইমামি কর্তারা ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন বাজেট কোনও ইস্যু নয়। একটা ভাল দলগঠন করার জন্য যা যা করা দরকার, সেগুলোই করতে হবে। কোন কোন বিদেশি ফুটবলারকে নেওয়া হবে, সেই ব্যাপারে কোচের পরামর্শ মেনেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে ফুটবলার সই করানোর জন্য বিদেশেও যেতে পারেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা।
দেবব্রত সরকার বললেন, 'দলের একটা মেডিক্যাল টিম খুব দরকার। গত মরশুমে এই চোট-আঘাতের কারণেই আমাদের সবথেকে বেশি ভুগতে হয়েছে। আমরা এভাবেই আলোচনা করতে থাকব। আশা করব যে ধীরে ধীরে কাজ হবে।' ইতিমধ্যে একজন সাংবাদিক তাঁকে প্রশ্ন করেন, 'এবার কি সাফল্য আসবে?' জবাবে দেবব্রত সরকার বললেন, 'অবশ্যই আশাবাদী।' এই কথা বলে তিনি হনহনিয়ে হেঁটে বেরিয়ে যান।
Bipin Singh East Bengal: বিপিনকে দলে নিয়ে আদৌ লাভ হবে ইস্টবেঙ্গলের? উত্তর খুঁজছেন সমর্থকরাই
প্রসঙ্গত, ২০২০-২১ মরশুমে আই-লিগ ছেড়ে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের দিকে পা বাড়িয়েছে ইস্টবেঙ্গল এফসি। এই টুর্নামেন্টের ১১ নম্বর দল হিসেবে তারা যোগদান করেছিল। প্রথম মরশুমে তারা সেই অর্থে নজর কাড়তে পারেনি। নবম স্থানে ইন্ডিয়ান সুপার লিগ অভিযান শেষ করেছিল। ২০২১-২২ মরশুমে তারা ১১ নম্বরে অভিযান শেষ করে। এই মরশুমে তাদের কোচ সমস্যায় যথেষ্ট ভুগতে হয়েছিল। ২০২২-২৩ মরশুমে পারফরম্য়ান্স তুলনামূলক কিছুটা উন্নত হয়। কিন্তু, ৯ নম্বরেই তারা শেষ করে। ২০২৩-২৪ মরশুমে নতুন কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত কিছুটা হলেও আশার আলো দেখাতে পেরেছিলেন। যদিও দলটা প্লে-অফের যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি।
আর গত মরশুমে (ISL 2024-25) তারা ফের ৯ নম্বরেই শেষ করে। ২৪ ম্যাচ থেকে সংগ্রহ করতে পেরেছে মাত্র ২৮ পয়েন্ট। এরমধ্যে ৮ ম্য়াচ জিতলেও, ১২ ম্য়াচে হেরে গিয়েছে। আর ৪ ম্য়াচ ড্র করেছে। এই পরিস্থিতিতে আগামী মরশুমে ইস্টবেঙ্গল কেমন দলগঠন করে, সেদিকেই সকলের নজর থাকবে।