/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/21/east-bengal-fan-3-2025-09-21-18-26-08.jpg)
জোড়া আনন্দ সংবাদে মাতোয়ারা ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা
East Bengal FC: হাতে আর একেবারেই বেশি সময় বাকি নেই। আগামী শনিবার (২৫ অক্টোবর) থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে ২০২৫ সুপার কাপের (Super Cup 2025) মহাযুদ্ধ। একে তো আইএফএ শিল্ড ইতিমধ্যে হাতছাড়া হয়েছে লাল-হলুদ ব্রিগেডের। তার উপর অস্কার ব্রুজোঁ (Oscar Bruzon) বনাম সন্দীপ নন্দী (Sandip Nandy) দ্বৈরথ যেন কিছুতেই থামতে চাইছে না। এবার সেই কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিলেন সুরুচি সংঘের কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্য (Ranjan Bhattacharya)।
স্পোর্টস অ্যাডিকশন সংবাদমাধ্যমকে রঞ্জন ভট্টাচার্য বললেন, 'আজ ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাবে যে কাদা ছোড়াছুড়ি হচ্ছে, সেটার জন্য অস্কার ব্রুজোঁ নিজেই দায়ী। আমি একটা সহজ কথা বলছি। আজ সন্দীপ নন্দীকে যদি কাঠগড়ায় তোলা হয়, সেক্ষেত্রে আরও একটা কথা তো উঠতেই পারে। এই ম্য়াচটা যে টাইব্রেকারে গিয়েছে সেটা তো অস্কার ব্রুজোঁর জন্যই।'
East Bengal FC News: ইস্টবেঙ্গলের 'গৃহযুদ্ধে' ঘৃতাহুতি, ভয়ঙ্কর পরিণতির আশঙ্কা সংগ্রামের
সঙ্গে তিনি আরও যোগ করেছেন, 'এই ম্য়াচের ফয়সালা তো ৯০ মিনিটে হওয়াই উচিত ছিল। ইস্টবেঙ্গল এই ম্য়াচে হারার পর সন্দীপকে কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে। এই অভিযোগ আমি একেবারেই মানতে পারছি না। যদি কাউকে কাঠগড়ায় তুলতে হয়, তাহলে সেটা অবশ্যই অস্কার ব্রুজোঁকে তোলা উচিত।'
কী নিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত?
এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, সম্প্রতি আইএফএ শিল্ড ফাইনালে যখন টাইব্রেকার পর্ব শুরু হয়, সেইসময় সন্দীপ নন্দীর পরামর্শেই প্রভসুখন সিং গিলের পরিবর্তে দেবজিৎ মজুমদারকে মাঠে নামানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন অস্কার। এই ম্য়াচে ইস্টবেঙ্গল শেষ পর্যন্ত ৫-৪ গোলে পরাস্ত হয়। তারপর থেকেই অস্কারের যাবতীয় আক্রোশ এসে পড়ে সন্দীপের উপর। এমনকী, গোয়ায় জুনিয়র ফুটবলারদের সামনে ভারতের এই প্রাক্তন গোলকিপারকে চূড়ান্ত দুর্ব্যবহারের শিকার হতে হয়।
East Bengal FC Controversy: 'ইস্টবেঙ্গলকে শেষ করে দেবে অস্কার...', বিস্ফোরক বাংলার তারকা ফুটবলার
রঞ্জন ভট্টাচার্য আরও যোগ করেছেন, 'আইএফএ শিল্ড ফাইনালে যে প্রথম একাদশ নিয়ে ইস্টবেঙ্গল এফসি খেলতে নেমেছিল, সেখানেই ভুল করেছেন অস্কার ব্রুজোঁ। আমি একজন কোচ হিসেবে জোর গলায় বলতে পারি, মিগুয়েলকে কোনও অবস্থাতেই প্রথম একাদশের বাইরে রাখা উচিত হয়নি। মিগুয়েলকে কীভাবে খেলাবে, সেটাই তো একজন কোচের কাজ। সাউল ক্রেসপোকে কখন ব্যবহার করব, সেটাও কোচকেই জানতে হবে।'
East Bengal FC: চরম গৃহযুদ্ধ ইস্টবেঙ্গলে, দায়িত্ব ছাড়লেন গোলকিপার কোচ
সবশেষে তিনি বললেন, 'বর্তমানে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা চূড়ান্ত কনফিউজড হয়ে রয়েছে। লাল-হলুদ সমর্থকরা আমাকে গালাগালি দিতেই পারেন। তাতে আমার কোনও ক্ষতি নেই। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান এবং মহমেডান বাংলার ক্লাব তো! সুতরাং, এই তিনটে ক্লাবের ভাল হোক, তা আমরা সকলেই চাই।'