/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/06/hamid-ahadad-east-bengal-2025-08-06-22-51-31.jpg)
দুরবীণ দিয়ে কী দেখছেন হামিদ আহদাদ?
East Bengal FC: শুরু হয়ে গেল কলকাতা ফুটবলের মহাযুদ্ধ। ২০২৫ আইএফএ শিল্ড (IFA Shield 2025) ফাইনালে খেলতে নেমেছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট এবং ইস্টবেঙ্গল এফসি। বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এই ম্য়াচের আয়োজন করা হয়েছে। শুরু থেকেই দুই যুযুধান প্রতিপক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝড় তুলতে শুরু করে। তবে প্রথম গোলের দরজাটি খুলে দিতেই পারতেন জেসন কামিংস (Jason Cummings)। ৩৪ মিনিটে একটি পেনাল্টি শট মিস করলেন তিনি। আর সেইসঙ্গে স্টেডিয়ামে উপস্থিত বাগান সমর্থকরা তীব্র রোষানলে ফেটে পড়ে। আর এই মানসিক দুর্বলতার সুযোগ নিল ইস্টবেঙ্গল। ২ মিনিটের মধ্যে হামিদ আহদাদের (Hamid Ahadad) গোল এগিয়ে দিল ইস্টবেঙ্গলকে।
East Bengal FC: 'মাঠের খেলাটা মাঠেই থাকে...', ডার্বির আগে চরম 'হুঙ্কার' ইস্টবেঙ্গলের
আগুন গোল আহদাদের
এবার গোলের কথায় আসা যাক। মাঠের বাঁ প্রান্ত থেকে মহেশকে লক্ষ্য করে বলটা বাড়িয়েছিলেন রশিদ। মহেশ বলটাকে নিয়ে ফাইনাল থার্ড পর্যন্ত যান। এরপর মহেশের একটি লো-ক্রসে লেখা ছিল আহদাদের ঠিকানা। মরক্কোর এই ফুটবলার নিশ্চিন্তে বাগানের জালে বলটাকে জড়িয়ে দেন। বলা ভাল, বাগানের রক্ষণ কার্যত ঘুমোচ্ছিল। মাত্র ২ মিনিটের মধ্যে দুটো দলই গোল করার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল। অবশেষে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোলের দরজা খুলে দিলেন হামিদ আহদাদ।
East Bengal FC Win: উড়ে গেল নামধারী, দাপুটে পারফরম্য়ান্সে শিল্ড ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল
মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল দুটো দলই শুরুতে গোল করার সুযোগ মিস করেছিল। ৮ মিনিটে সুযোগ আসে মোহনবাগানের কাছে। একটি থ্রু বল বাড়িয়েছিলেন সাহাল আবদুল সামাদ। সেই বল পেয়েছিলেন ম্য়াকলারেন।ষ বাঁ-দিকে কামিংসকে লক্ষ্য করে পাস বাড়ান তিনি। কিন্তু, এই অস্ট্রেলিয়ান ফরোয়ার্ডকে কার্যত ঘিরে রেখেছিলেন রশিদ এবং কেভিন। এরপর তিনি ফের ম্য়াকলারেনকে লক্ষ্য করে পাস বাড়ান। অবশেষে ম্য়াকলারেন গোলমুখী শট নিলেও, প্রভসুখন গিলের দূর্ভেদ্য প্রাচীরে তা প্রতিহত হয়। এর থেকে ভাল সুবর্ণ সুযোগ মোহনবাগান আর পাবে কি না, তা নিয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করছেন।
ঠিক ২ মিনিট পর গোল করার সুযোগ আসে ইস্টবেঙ্গলের কাছেও। একটা থ্রু বল ফাইনাল থার্ডে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন মহেশ নাওরেম সিং। লক্ষ্য ছিলেন আহদাদ। লাল-হলুদের এই বিদেশি ফরোয়ার্ড বিশাল কাইথকে পরাস্ত করার চেষ্টা করলেও, শেষপর্যন্ত ব্যর্থ হলেন। অবশেষে পতাকা তুলে ধরলেন লাইন্সম্য়ান।
১৯ মিনিটে আরও একটি গোল করার সুযোগ এসেছিল ইস্টবেঙ্গলের কাছে। বলটাকে ঠিকঠাক বিপদমুক্ত করতে পারেননি বাগান অধিনায়ক শুভাশিস বসু। সেইসময় বলটা সেই মহেশের কাছে চলে যায়। অনিরুদ্ধ থাপা বলের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করলেও, শেষপর্যন্ত পারেননি। এরপর মহেশ গোলমুখী একটি শট মারেন। শটটা নির্দিষ্ট লক্ষ্যে থাকলেও বিশাল কাইথ শেষপর্যন্ত দুরন্ত দক্ষতায় সেটা বাঁচিয়ে দেন।
East Bengal FC Goal Update: আগুন ফর্মে ইস্টবেঙ্গল, গোল করলেন রশিদ-বিষ্ণু
২৫ মিনিটে ফের গোল করার সুযোগ হাতছাড়া করল মোহনবাগান। মহেশের ওই দুরপাল্লা শটের কিছুক্ষণের মধ্যেই পালটা আক্রমণের রাস্তায় হাঁটে মোহনবাগান। ডান দিক থেকে সাহালকে বলটা বাড়িয়েছিলেন আপুইয়া। গিল বলটাকে বিপদমুক্ত করার জন্য এবং খেলাটাকে কর্নার শটে পাঠানোর জন্য কিছুটা হলেও এগিয়ে এসেছিলেন।
কর্নার শট নেন কামিংস। বাঁ-পায়ে অনবদ্য একটি বাঁকানো শট ভাসালেন তিনি। ইস্টবেঙ্গল প্রাথমিকভাবে বলটাকে বিপদমুক্ত করেছিল। কিন্তু, এই অজি ফরোয়ার্ডের আরও একটি বাঁকানো শট ইস্টবেঙ্গল দূর্গে বিপদ তৈরি করেছিল। শেষপর্যন্ত বল বিপদ সীমার বাইরে চলে যায় এবং গোল-কিক করে ফেল শুরু হয় খেলা।