East Bengal FC: চলতি মরশুমের (CFL 2025-26) প্রথম ডার্বি (Kolkata Derby) ম্য়চে বেশ জমজমাট লড়াই দেখতে পাওয়া গেল। সত্যি কথা বলতে কী, এই হাইভোল্টেজ ম্য়াচে কিছুটা হলেও 'আন্ডারডগ' হিসেবে খেলতে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল এফসি। ডার্বির আগে গত ৪ ম্য়াচে তারা মাত্র ৫ পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পেরেছিল। পয়েন্ট টেবিলেও দাঁড়িয়েছিল আট নম্বরে। অন্যদিকে, মোহনবাগান (Mohun Bagan Super Giant) ১০ পয়েন্ট সংগ্রহ করে এই তালিকায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেছিল। কিন্তু, বাংলায় একটি প্রচলিত প্রবাদ রয়েছে। ওস্তাদের মার শেষ রাতে! এদিন ইস্টবেঙ্গলের পারফরম্য়ান্স দেখার পর এই কথাটাই বলা যেতে পারে। শুরু থেকে যে দাপুটে পারফরম্য়ান্স তারা করছিল, শেষপর্যন্ত তা বজায় রাখল। আর সেই সুবাদে মোহনবাগানকে তারা ৩-২ গোলে পরাস্ত করল।
East Bengal Fan Viral: পিতৃবিয়োগের যন্ত্রণা ভোলাবে ইস্টবেঙ্গলের জয়, ধরাকাছা পরেই মাঠে হাজির লাল-হলুদ সমর্থক
৩-২ গোলে জয়লাভ ইস্টবেঙ্গলের
শনিবার (২৬ জুলাই) কল্যাণী স্টেডিয়ামে এই ডার্বি ম্য়াচ আয়োজন করা হয়েছিল। ম্যাচের শুরু থেকেই লাল-হলুদ ব্রিগেডকে একেবারে বিধ্বংসী মেজাজে দেখতে পাওয়া যায়। মাত্র ৯ মিনিটের মধ্যে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোলের দরজা খুলে দিয়েছিলেন লাল-হলুদ অধিনায়ক জেসিন টিকে। এরপর মোহনবাগান ফুটবলাররা বেশ কয়েকটা গোল করার সুযোগ পেলেও, তা কাজে লাগাতে পারেনি। প্রথমার্ধের একেবারে গোধূলিলগ্নে (৪৫+৬ মিনিট) সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় দুরন্ত গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় মশালবাহিনী।
East Bengal Goal: পোলা নয়, একেবারে আগুনের গোলা! জোড়া গোলে বাগান তছনছ করল ইস্টবেঙ্গল
মোহনবাগান জ্বলে উঠলেও জিততে পারেনি
অনেকেই আশা করেছিলেন, প্রথমার্ধের নিষ্প্রভ পারফরম্য়ান্সের পর দ্বিতীয়ার্ধেও মোহনবাগান কার্যত গুটিয়েই থাকবে। কিন্তু, তেমনটা একেবারেই হয়নি। বরং তারা গা ঝেড়ে ওঠে এবং একের পর এক গোল করে এই ম্যাচের উত্তেজনা একেবারে আকাশছোঁয়া করে দেয়। ৫৫ মিনিটে বাগানের হয়ে প্রথম গোলটি করলেন লিওয়ান কাসান্থা। এরপর মোহনবাগান সমর্থকদের গর্জন যাবতীয় ডেসিবল ছাপিয়ে যায়। এই একটা গোলই মোহনবাগানের শরীরী ভাষা একেবারে বদলে দিয়েছিল। গোটা মাঠ জুড়ে কার্যত দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল তারা। কিন্তু, পুরনো রোগ সারাতে পারেনি। বেশ কয়েকটি সুযোগ আবারও তারা মিস করে।
Kolkata Derby 2025 Live Streaming: কোথায় দেখা যাবে কলকাতা ডার্বির মহারণ? না জানলে হাত কামড়াবেন
জয়সূচক গোলটি করলেন ডেভিড
অবশেষে ৬৭ মিনিটে বাগানের হয়ে সমতা ফেরালেন কিয়ান নাসিরি। সবুজ-মেরুন ব্রিগেডে কামব্যাক করে ফের একবার নিজের প্রতিভার প্রতি সুবিচার করলেন তিনি। ডানদিক থেকে একটা ক্রস তাঁর কাছে আসে। এরপর ফ্লিক করে বলটা তিনি ইস্টবেঙ্গলের জালে জড়িয়ে দিলেন। তবে মোহনবাগানের কপালে এই সুখ দীর্ঘস্থায়ী হল না। ৬৯ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলকে ফের এগিয়ে দিলেন ডেভিড লালনসাঙ্গা। ডানদিক থেকে একটা নিখুঁত ক্রস বাড়িয়েছিলেন আমন সিকে। ডেভিড সেইসময় একেবারে আনমার্কড ছিলেন। বলে মাথা ঠেকাতে না ঠেকাতেই ডেভিড ইস্টবেঙ্গলকে আবারও এগিয়ে দিয়েছে। সেলিব্রেশন করার সময় আচমকাই তিনি নিজের জার্সি খুলে ফেলেন। সেকারণে হলুদ কার্ডও দেখতে হয়। যাইহোক, এই গোলটাই যে ইস্টবেঙ্গলকে শেষপর্যন্ত জয় এনে দিল, তা নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে।