East Bengal FC: কলকাতা ডার্বি (Kolkata Derby) ম্য়াচে শুরু থেকেই কার্যত আগুন পারফরম্য়ান্স দেখাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল এফসি। এতদিন ধরে যত অপমান তাদের সহ্য করতে হয়েছে, এবার যেন তারা গুনে গুনে বদলা নিচ্ছে। শুরু থেকেই লাল-হলুদ ব্রিগেডের দাপট ছিল চোখে পড়ার মতো। মাত্র ৯ মিনিটের মাথায় মশালবাহিনীর হয়ে প্রথম গোলটি করলেন জেসন টিকে। গোল বললে বোধহয় সামান্য ভুল হবে, এটাকে আগুনের গোলা বলাই ভাল। আর প্রথমার্ধের একেবারে শেষবেলায় লাল-হলুদ ব্রিগেডকে ২-০ গোলে এগিয়ে দিলেন সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। হাফ-টাইমের শেষে বিনো জর্জের দল যে অনেকটাই স্বস্তিতে থাকবে, তা বলা যেতেই পারে।
Kolkata Derby 2025 Live Streaming: কোথায় দেখা যাবে কলকাতা ডার্বির মহারণ? না জানলে হাত কামড়াবেন
তখন সবেমাত্র ম্য়াচ শুরু হয়েছে। একেবারে কানায় কানায় ভর্তি কল্যাণী স্টেডিয়াম। আড় ভাঙেনি মোহনবাগান (Mohun Bagan Super Giant) ডিফেন্সেরও। আর সেই সুযোগেই দলকে লিড এনে দিলেন ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক। বক্সের ঠিক বাইরে এডমান্ড এবং সায়ন একে অপরের মধ্যে বলটা সুন্দরভাবে আদান-প্রদান করছিলেন। আচমকা সায়ন সামান্য বাঁক নিয়ে বলটা জেসনের দিকে ঠেলে দেন। শেষপর্যন্ত বলটা কার্যত ট্যাপ করে মেরিনার্সদের জালে জড়িয়ে দেন লাল-হলুদের এই তারকা ফুটবলার। সঙ্গে সঙ্গে গোটা স্টেডিয়াম 'জয় ইস্টবেঙ্গল' বলে চিৎকার করে ওঠে।
Mohun Bagan Kolkata Derby: ডার্বির আগে ইস্টবেঙ্গলকে নিয়ে 'হেলাফেলা'! আত্ম-অহমিকায় ভুগছেন না তো বাগান কোচ?
এই ম্য়াচের প্রথমার্ধে আর কোনও গোল দেখতে পাওয়া যায়নি। তবে একটা ব্যাপার অস্বীকার করা যায় না। শনিবাসরীয় ডার্বির প্রথম ৪৫ মিনিটে বিনোর দলের দাপট একেবারে চোখে পড়ার মতো ছিল। আর সেকারণে মোহনবাগান দলকে অধিকাংশ সময়ই লং বলে খেলতে হয়েছে। ২৩ মিনিটে মোহনবাগানের সামনে গোল করার একটা সুযোগ এসেছিল বটে, কিন্তু প্রভাত লাকরার নিখুঁত দক্ষতায় করণ রাই সেই সুযোগটা কাজে লাগাতে পারলেন না। ২৬ মিনিটে সুহেল ভাটকে লক্ষ্য করে বলটা বাড়িয়েছিলেন কিয়ান নাসিরি। তবে লাল-হলুদ রক্ষণে আবারও বলটা প্রতিহত হয়।
East Bengal in Kolkata Derby: ডার্বি ম্য়াচের আগে ভয় পাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল? এ কী বলে ফেললেন বিনো জর্জ!
মারাত্মক চোট পেলেন সালাউদ্দিন
ম্যাচের ৩৫ মিনিটে ঘটে গেল একটি মারাত্মক দুর্ঘটনা। বল দখলের লড়াইয়ে ইস্টবেঙ্গলের বিক্রমকে ট্যাকল করতে গিয়েছিলেন সালাউদ্দিন। সেইসময় তাঁর মারাত্মক চোট লেগেছে। মাঠে স্ট্রেচার নিয়ে এসে এই সবুজ-মেরুন ফুটবলারকে বের করে নিয়ে যাওয়া হল। দেখেই মনে হচ্ছিল যে সালাউদ্দিন হয়ত আজকের ডার্বি ম্য়াচে আর খেলতে পারবেন না। শেষপর্যন্ত আশঙ্কাই সত্যি হল। ৩৮ মিনিটে পাসাং দোরজি তামাংকে মাঠে নামালেন ডেগি কার্ডোজো।
East Bengal Fan Viral: পিতৃবিয়োগের যন্ত্রণা ভোলাবে ইস্টবেঙ্গলের জয়, ধরাকাছা পরেই মাঠে হাজির লাল-হলুদ সমর্থক
এরপর বেশ কয়েকটি গোল করার সুযোগ মোহনবাগানের কাছে এলেও, সেগুলো তারা হাতছাড়া করে। প্রথমার্ধে রেগুলেশন টাইমের পর আরও ৬ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। আর সেই সময়কে কাজে লাগিয়েই কেল্লাফতে করলেন সায়ন। ৪৫+৬ মিনিটে তাঁর পা থেকে ইস্টবেঙ্গলের সোনায় মোড়ানো দ্বিতীয় গোলটি বেরিয়ে আসে। সায়নের এই গোলের প্রশংসা আপাতত সর্বত্র হচ্ছে। এডমান্ড-সায়ন জুটিই এই গোলের আসল রসায়ন। এডমান্ডের পা থেকে বলটা সায়নকে খুঁজে নিতে না নিতেই তা বাগানের গোলকিপারকে পরাস্ত করে এবং হাসতে হাসতে মোহনবাগানের জালে জড়িয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে মোহনবাগান এই ম্য়াচে কামব্যাক করতে পারে কি না, সেটাই আপাতত দেখার।