ঠিক যেন কেঁচো খুঁড়তে কেউটে। অলি রবিনসনের পুরোনো টুইট বিতর্ক নাড়া দিয়ে গিয়েছে ক্রিকেট বিশ্বকে। বিতর্কের মুখে তড়িঘড়ি তারকা পেসারকে সাসপেন্ড করেও রেহাই নেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভেসে উঠেছে একের পর এক বিতর্কিত টুইট। একাধিক ইংল্যান্ড ক্রিকেটারের। আর সেই তালিকায় জুড়ে গিয়েছেন কেকেআর কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম (Brendon McCullum), অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যানের (Eoin Morgan) তারকারাও।
২০১৮ সালে ভারতকে বিদ্রুপ করে টুইটে যে একের পর এক পোস্ট করেছিলেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম, ইয়ন মর্গ্যান, জোশ বাটলাররা (Jos Buttler)। তা হঠাৎই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ভারতীয় দর্শকদের ব্যঙ্গ করে ম্যাককালাম, বাটলাররা ভুল ইংরেজিকে পোস্ট করছিলেন। তারপর জাদেজাকে বিদ্রুপ করে 'স্যার' শব্দও লেখা হচ্ছিল। বিতর্কিত সেই টুইটগুলির অধিকাংশ ডিলিট করে দেওয়া হলেও স্ক্রিনশট রয়ে গিয়েছে নেটিজেনদের কাছে। এতে বিপাকে পড়েছেন ম্যাককালামরা।
আরো পড়ুন: ধোনির বদলে নেতা হতে চেয়েছিলেন যুবরাজ! বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি এবার তারকার
ভারতীয় দর্শক, ক্রিকেটারদের এমন বিদ্রুপ করার জন্য ব্যবস্থা কি নেবে কেকেআর? এমন প্রশ্নও ভাসিয়ে দেন ক্রিকেট সমর্থকরা। তারপরেই মুখ খুলতে বাধ্য হলেন কেকেআরের (KKR) সিইও ভেঙ্কি মাইশোর (Venky Mysore)। বুধবার রাতেই এক ওয়েবসাইটকে তিনি জানিয়েছেন, "এই মুহূর্তে ওই টুইটগুলি সম্পর্কে আমরা বিশদে কিছু জানি না। সমস্ত তথ্য প্রকাশ্যে আসুক। এখনই তড়িঘড়ি করে কোনো সিদ্ধান্তে আসার সময় উপস্থিত হয়নি। সকলকে জানিয়ে দিই, কোনো রকম বৈষম্যমূলক আচরণ বরদাস্ত করবে না নাইট রাইডার্স কর্তৃপক্ষ।"
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/06/E3VnOOpVoA42m3__copy_655x408.jpeg)
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/06/E3VnOb_VoAwxE0E-1_copy_646x311.jpeg)
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/06/E3Q0ygbUYAI6bI8_copy_1080x1496.jpeg)
বাটলার এবং মর্গ্যানের টুইট চালাচালি নিয়ে ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ.কো. ইউকে-তে লেখা হয়েছে, "সংক্ষিপ্ত টুইট-ভাষ্য নিয়ে সন্দেহ থাকলেও, সেগুলি এমন সময়ে পোস্ট করা হয়েছিল, যখন বাটলার এবং মর্গ্যান- দুজনেই ক্রিকেট জগতে প্রতিষ্ঠিত। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁরা নেতিবাচক মানসিকতার বিস্তারে সক্ষম ছিলেন তাঁরা।"
ইসিবির তরফে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট খতিয়ে দেখা হবে। ইসিবির এক কর্তা গত সপ্তাহে জানিয়েছেন, “বিদ্বেষমূলক টুইট নিয়ে আমাদের সতর্ক করার সঙ্গেই একাধিক ক্রিকেটারের পুরোনো টুইট নিয়ে সর্বসমক্ষে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। খেলায় কোনো রকম বিদ্বেষের জায়গা নেই। প্রয়োজন অনুযায়ী, সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এখন দেখা যাচ্ছে একজন নয়, এই তালিকা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। পুরোনো এই বিদ্বেষী টুইট নিয়ে ইসিবি আলোচনা করে ঠিক করবে আগামী পদক্ষেপ। সমস্ত তথ্য বিবেচনা করে প্রতিটা কেস আলাদা আলাদাভাবে বিবেচনা করা হবে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে ইসিবির সঙ্গে আলোচনায় বসব আমরা।"
চলতি মাসের ৮ তারিখেই উইজডেনের তরফে বর্তমান ইংরেজ ক্রিকেটারদের মধ্যে একজনের পুরোনো টুইট সামনে আনেন। যদিও তাঁর নাম প্রকাশ করা হয়নি। ইসিবির তরফে সেই টুইটও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর আগে ইংল্যান্ডের স্পিনার ডম বেস নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে ডাক পেয়েই নিজের টুইটার একাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছিলেন বিতর্ক এড়াতে। বৃহস্পতিবারই ইংল্যান্ড বনাম নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় টেস্টে শুরু হয়ে গেল এজবাস্টনে। তার আগে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটে বিতর্ক মেটার নাম-ই নেই।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন