Gyanendra Pandey in Team India: প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার, যিনি গাঙ্গুলি, দ্রাবিড়, শেওয়াগের সঙ্গে খেলেছেন, ২টি একদিনের ম্যাচ খেলার জন্য পরে ক্রিকেটার মাঠ থেকে। এখন সেই ক্রিকেটার ক্রিকেটের মাঠ থেকে দূরে এসবিআইয়ে চাকরি করেন। ওই ভারতীয় ক্রিকেটারের অভিযোগ, 'তাঁর মানহানি ঘটেছিল।' বীরেন্দ্র শেওয়াগের সঙ্গে তাঁর একই সিরিজে অভিষেক ঘটেছিল। কিন্তু, প্রাক্তন এই ভারতীয় অলরাউন্ডার নিজেকে প্রমাণ করার জন্য মাত্র দুটি ওয়ানডে ম্যাচের বেশি খেলার সুযোগ পাননি।
১৯৯০-এর দশকের শেষের দিকে এবং ২০০০-এর দশকের শুরুর সময়টা ছিল ভারতীয় ক্রিকেটের কাছে এক অদ্ভুত সময়। এই সময় ভারতীয় দল কুখ্যাত ম্যাচ ফিক্সিং কেলেঙ্কারি থেকে বেরিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা চালাচ্ছে। মহম্মদ আজহারউদ্দিন এবং অজয় জাদেজাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি থাকায় টিম ইন্ডিয়ার তখন নতুন সুপারস্টারের প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। সেই সময় সৌরভ গাঙ্গুলি ছিলেন টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক।
রোহিত শর্মার জন্য ৫০ কোটির স্পেশ্যাল প্যাকেজ? বিস্ফোরক জল্পনায় সরাসরি মুখ খুললেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা
যুবরাজ সিং, বীরেন্দ্র শেওয়াগ ও জাহির খানরা সেই সময়েই উঠে এসেছেন। নিজেদের কিংবদন্তি পর্যায়ে তুলে ধরেছেন। সেই সময় আরও কিছু খেলোয়াড় জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু, বেশিদিন স্থায়ী হননি। যেমন- টিনু ইয়োহান্নান, ইকবাল আবদুল্লাহ, অজয়রাত্র, এসএস দাস, দীশ দাশগুপ্ত। এরাঁ প্রত্যেকেই বাদ পড়ার আগে হাতেগোনা ম্যাচ খেলেছেন। তারপর, আর ফিরে আসেননি। এই খেলোয়াড়দের মধ্যেই ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে হারিয়ে যাওয়া আরেকটি নাম ছিল- জ্ঞানেন্দ্র পাণ্ডে।
ICC-তে পাকিস্তানের বাগড়া সত্ত্বেও সিংহাসনে জয় শাহ! গোটা ক্রিকেটবিশ্বই দাঁড়াল ভারতীয় কর্তার পাশে
বাঁ-হাতি স্পিনার এবং দক্ষ ব্যাটার জ্ঞানেন্দ্র পাণ্ডে ভারতীয় ঘরোয়া সার্কিটে উত্তরপ্রদেশের হয়ে দুর্দান্ত খেলেছেন। প্রথম-শ্রেণি এবং এ তালিকাভুক্ত ক্রিকেটে ১৯৯টি ম্যাচে তিনি ২৫৪টি উইকেট নিয়েছিলেন। ৯৭ রঞ্জি ম্যাচে পাণ্ডে ৪,৪২৫ রান করেছেন। ১৪৮টি উইকেট নিয়েছেন। পরপর দুই মরশুমে ৪০০-এর বেশি রান করার পর, পাণ্ডে জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ পান। ১৯৯৯ সালের পেপসি কাপ ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ভারতীয় দলে তাঁর অভিষেক হয়। রাহুল দ্রাবিড়, সৌরভ গাঙ্গুলি এবং শেওয়াগদের সঙ্গে পাণ্ডে একই ড্রেসিংরুমের পার্টনার ছিলেন।
পাণ্ডে আরও বলেছেন, 'চ্যালেঞ্জার ট্রফিতে আমি রবিন সিং এবং অময় খুরাসিয়াকে আউট করেছিলাম। ইন্ডিয়া এ-এর হয়ে, আমি ২৬ রানে দুটি উইকেট নিয়েছিলাম। তারপরে ১৯৯৯-এ জাতীয় দলে ডাক পাই।' ভারত এবং নিউজিল্যান্ডের মধ্যে ১৯৯৯ সালের টেস্ট সিরিজে পাণ্ডের ফের জাতীয় দলে ফেরার সুযোগ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু, তাতে বাধ সেধেছিলেন বিসিসিআইয়ের তৎকালীন সেক্রেটারি জয়ন্ত লেলে। তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, 'কুম্বলেকে যদি বিশ্রাম দেওয়া হয়, তবে সুনীশ যোশীকে কেন পরখ করা হবে না?' বিসিসিআই সেক্রেটারি একথা বলার পর পাণ্ডের নাম আর নির্বাচকদের আলোচনায় এগোয়নি।
আরও পড়ুন- ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ে ছারখার বিশ্বকাপগামী টিম ইন্ডিয়ার তারকা! প্রাণ বাঁচাল উদ্ধারকারী দল
সেই কথা মনে করিয়ে দিয়ে পাণ্ডে বলেছেন, 'মিস্টার লেলের একটু চিন্তা করে কথাটা বলা উচিত ছিল। উনি একজন আম্পায়ার ছিলেন। ওঁর ওসব বলার আগে আমার পারফরম্যান্সটা দেখে নেওয়ার দরকার ছিল। আমি এখন বুঝতে পারি, ব্যাপারটা আমারই দোষ। আমিই কায়দাটা জানতাম না। বুঝতে পারিনি কীভাবে এসব সামলাতে হয়। মিডিয়াও আমার কাছে সেই সময় কিছু জানতে আসেনি।'
ICC চেয়ারম্যান হতেই জয় শাহকে তীব্র অপমান লঙ্কান সাংবাদিকের, ক্ষোভে ফুঁসে উঠল ক্রিকেটমহল
পাণ্ডে বর্তমানে এসবিআইয়ে কাজ করেন। জানিয়েছেন, তিনি নিজের কাজে খুশি। পাণ্ডের কথায়, 'ব্যাঙ্কিং নিয়ে নানা রসিকতা চালু আছে। কিন্তু, আমি ওসব নিয়ে মাথা ঘামাই না। আমি আমার কাজে খুশি।'