Hamid Ahadad: গত কয়েকবছর ধরেই ইস্টবেঙ্গল ক্লাব (East Bengal FC) ভাল পারফরম্য়ান্স করতে পারছে না। শেষ সাফল্য বলতে, ২০২৪-এর শুরুতে কলিঙ্গ সুপার কাপ জয়। তারপর থেকে কার্যত ব্যর্থতার নিকষ কালো ছায়া নেমে এসেছিল লেসলি ক্লসিয়াড সরণীর এই ক্লাবে। দলের এহেন পারফরম্য়ান্স নিয়ে ম্যানেজমেন্ট যতটা হতাশ ছিল, তার থেকেও বেশি ক্ষুব্ধ ছিলেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। এক কথায় বলতে গেলে, দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের। এই পরিস্থিতি থেকে সাফল্য ছাড়া দলটার সামনে আর কোনও রাস্তা খোলা ছিল না।
East Bengal Vs Namdhari FC Highlights: মাঠে নেমেই জাত চেনালেন হামিদ, আগুন গোলে জেতালেন ইস্টবেঙ্গলকে
এই ব্যর্থতার আঁধার কাটাতেই চলতি মরশুম শুরুর আগে লাল-হলুদ ম্য়ানেজমেন্ট দলগঠনের উপর একটু বেশিই জোর দিয়েছিল। মেসি বাউলি, রিচার্ড সেলিসের মতো বিদেশি ফুটবলারদের যখন ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল, তখন সমর্থকদের একাংশই দলের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিলেন। তবে নতুন যে বিদেশিদের নেওয়া হয়েছে, সেই তালিকায় নাম রয়েছে মরোক্কোর ফুটবলার হামিদ আহদাদের।
East Bengal FC: ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে খেলবেন লাল-হলুদের প্রাক্তন যোদ্ধা? জল্পনা আপাতত তুঙ্গে
বুধবার (৬ অগাস্ট) নামধারী এফসি-র বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিলেন হামিদ। শুধুমাত্র খেলতে নেমেছিলেন বললে হয়ত কিছুটা সম্মানহানি হতে পারে! এদিন বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে তিনি কার্যত এলেন, দেখলেন এবং জয় করে চলে গেলেন। হ্যাঁ, তাঁর মাথার নিখুঁত ছোঁয়াতেই এসেছে লাল-হলুদ ব্রিগেডের জয়সূচক গোল। একটা সময় যখন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের মনের ভিতর অনিশ্চয়তার কালবৈশাখী সবকিছু লন্ডভন্ড করে দিচ্ছিল, যখন মনে হচ্ছিল যে নামধারীর বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করবে তাদের প্রিয় দল; ঠিক সেইসময় আক্ষরিক অর্থেই এক পশলা বৃষ্টি নিয়ে এলেন এই মরোক্কান ফুটবলার। ৬৮ মিনিটে বুঝিয়ে দিলেন, 'ম্যায় হুঁ না...।'
Sanjay Sen East Bengal: 'সুদে-আসলে মিটিয়ে দেব...', ইস্টবেঙ্গলে সম্মান পেয়ে আবেগে ভাসলেন সঞ্জয়
ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন ইস্টবেঙ্গল সমর্থক হামিদকে 'স্বপ্নের ফেরিওয়ালা' বলতে শুরু করেছেন। প্রথম ম্য়াচেই যেভাবে তিনি সোনার কাঠি ছুঁইয়ে মশাল জ্বালালেন, তাতে এই প্রত্যাশা একেবারেই অমূলক নয়। মরোক্কোর ফুটবল বলতেই মনে পড়ে যায় সোফিয়ান বাউফলের কথা মনে পড়ে যায়। কাতার বিশ্বকাপে পর্তুগালকে হারানোর পর তিনি মাঠের মাঝখানে মায়ের সঙ্গে সেই জয় সেলিব্রেট করেছিলেন। চোখের নিমেষে ভাইরাল হয়েছিল সেই ছবি। জয়ের আনন্দ মায়ের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার আনন্দ যে কতটা স্বর্গীয়, সেটা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন বাউফল। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব যে সমর্থকদের কাছে মায়ের সমান, সেটা আর নতুন করে বলে দেওয়ার অপেক্ষা রাখে না। আর বুধবার সন্ধ্যায় শহর কলকাতা আরও এক মরোক্কোর ফুটবলারের ম্য়াজিক দেখল। আর সেটাও মাতৃসম ক্লাবের জন্য! এরথেকে বড় সাফল্য আর কীই বা হতে পারে।