"দুনিয়ায় কাউকে জানানোর কিছু নেই। শুধু নিজের কাছেই প্রমাণ করার ছিল যে এখনও ওয়ান ডে ক্রিকেট খেলতে পারি।" কটকে দেশের নতুন ফিনিশার দলকে জিতিয়ে উঠিয়েই জানিয়ে দিলেন তাঁর বক্তব্য। বেশ কিছুদিন ধরেই চরমভাবে সমালোচিত হতে হচ্ছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ফিল্ডিং অলরাউন্ডার বিশেষণে তাঁকে কটাক্ষও করা হচ্ছিল। তারপরেই জাদেজার ব্যাট থেকে বেরোল ম্যাচ জেতানো ৩১ বলে ৩৭ রান।
দেশকে জিতিয়ে উঠিয়েই সমালোচকদের একহাত নিয়ে জাদেজা আরও বলেছেন, "ইনিংসটা দারুণ প্রয়োজন ছিল, কারণ ম্যাচটা ছিল সিরিজ নির্ণায়ক। পিচ ব্যাট করার পক্ষে বেশ উপযোগী ছিল। আমরা কেবল সিঙ্গল নিয়ে এগোচ্ছিলাম। বলের উপযোগিতা অনুযায়ী আমরা ব্যাটিং করছিলাম।"
বেশ কয়েক বছর ধরেই ওয়ান ডে ক্রিকেটের বৃত্তের বাইরে ছিলেন জাদেজা। তবে বিশ্বকাপের শেষ লগ্নে জাদেজাকে জাতীয় দলে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছিল। বিশ্বকাপ চলাকালীন সঞ্জয় মঞ্জরেকরের 'খণ্ড-বিখণ্ড ক্রিকেটার' বিশেষণের জবাবও দিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে। কঠিন পিচে জাদেজা একা লড়ে ৫৯ বলে ৭৭ করলেও তা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না।
জাদেজা ইংল্যান্ডকে দেশকে ফাইনালের দরজা দেখাতে না পারলেও সাম্প্রতিককালে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ফের প্রত্যাবর্তন ঘটেছে তাঁর। চলতি বছরে ভারতের ২৮টি ওয়ান ডে ম্যাচের মধ্যে জাদেজা খেলেছেন ১৫টিতে। সেই কথা স্মরণ করে দিয়েই জাড্ডু জানিয়ে দিয়েছেন, "এই বছরে খুব একটা ওয়ান ডে ক্রিকেট খেলিনি। তবে সুযোগ পেলেই ব্যাট, বল কিংবা ফিল্ডিংয়ে নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।"
বরাবটির উইকেটে কোহলির সঙ্গে দলকে টানছিলেন জাদেজা। তবে কোহলি আউট হয়ে যাওয়ার পরে দলনেতা বার্তা দিয়েছিলেন, অহেতুক তাড়াহুড়ো করার প্রয়োজন নেই। ভি-এর মধ্যে খেল। অধিনায়কের বার্তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে শার্দুল ঠাকুরকে সঙ্গী করে জয় ছিনিয়ে আনেন জাদেজা। সঙ্গীর ভূয়সী প্রশংসা করে তারকা অলরাউন্ডার আরও জানিয়েছেন, "কেবল শেষ বল পর্যন্ত খেলতে হত। আমরা জানতাম তাহলেই আমরা জিতব। এমনটাই ছিল পরিকল্পনা।" এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করেই হাতে চার উইকেট নিয়ে আট বল বাকি থাকতে ম্যাচ জেতে ভারত। সেই সঙ্গে সিরিজও।
তারপরেই সমালোচকদের বিঁধতে ছাড়লেন না জাদেজা।
Read the full article in ENGLISH