পিঠের চোট থেকে ফিরে আসার পরে দুঃস্বপ্নের সময় কাটাচ্ছিলেন। হারিয়ে ফেলেছিলেন পুরোনো নিজেকেই। ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের পরে টেস্ট দলের জায়গা নিয়েই সংশয় তৈরি হয়েছিল। তবে জসপ্রীত বুমরা নটিংহ্যামে প্রমাণ করে দিলেন আগুনের ফুলকি এখনও তাঁর মধ্যে জমানো রয়েছে।
ট্রেন্টব্রিজে তিনি এবং মহম্মদ শামির কাছেই অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করে বসল ইংরেজদের বহু চর্চিত ব্যাটিং লাইন আপ। ভেঙে পড়ল মাত্র ১৮৩ রানে। বুমরার চার শিকারের সঙ্গেই তিনটে শিকার শামিরও। ভারতীয় বোলিংয়ের দাপট এতটাই ছিল যে চারজন ইংরেজ ব্যাটসম্যান রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মাঠ বমিতে ভাসালেন অজি তারকা! ওগড়ানো ভিডিওয় চরম চাঞ্চল্য, দেখুন
প্রথম ওভারের পঞ্চম বলেই রোরি বার্নসকে ফিরিয়ে সূচনা করেছিলেন বুমরা। সেই শুরু। চতুর্থ উইকেটে জো রুট (৬৪) এবং জনি বেয়ারস্টোর (২৯) ৭২ রানের পার্টনারশিপ বাদ দিলে এদিন ইংল্যান্ডের ব্যাটিং নিয়ে কিছুই বলার নেই। জো রুটের দুরন্ত হাফসেঞ্চুরি না থাকলে এদিন তিন অঙ্কের রানেও পৌঁছাতে পারত কিনা ইংল্যান্ড, তা নিয়েই ঘোর সংশয় রয়েছে।
লাঞ্চের সময় ইংল্যান্ড ছিল ৬৬/২। টি ব্রেকের সময়েও পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে ছিল ইংল্যান্ডের, ১৩৮/৪। তবে তৃতীয় সেশনে যেন একদম নুইয়ে পড়ল ইংরেজরা। ১৩৮/৪ থেকে মাত্র ১৮৩ রানেই অলআউট ইংল্যান্ড। শেষ ছয় উইকেট ইংল্যান্ড হারাল মাত্র ৪৫ রানে।
আরো পড়ুন: অশ্বিন-ইশান্তকে বাদ দিলেন কোহলি! প্রথম টেস্টের দলে চমকের পর চমক
সিমার অলরাউন্ডার হিসাবে দলে রাখা হয়েছিল শার্দুল ঠাকুরকে। নিজের নির্বাচনের পূর্ণ যোগ্যতা প্রমাণ করলেন তারকা। ক্যাপ্টেন রুটকে ফেরানোর পর অলি রবিনসনকেও (০) ফেরালেন তিনি। সিরাজ কিছুটা খরুচে হলেও ক্রিজে টিকে যাওয়া জ্যাক ক্রলিকে (২৭) আউট করেন।
শেষদিকে ১৬০/৯ হয়ে যাওয়ার পরে জেমস আন্ডারসনকে নিয়ে শেষ উইকেটে স্যাম কুরান (২৭ নটআউট) মূল্যবান ২৩ রান যোগ করে যান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারত দিনের শেষে বিনা উইকেটে ২১। রোহিত (৯) এবং কেএল রাহুল (৯) ভরসা জাগিয়ে শুরু করেছেন ভারতীয় ইনিংসের। ভারত আপাতত এখনো ১৬২ রানে পিছিয়ে রয়েছে প্রথম ইনিংসে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন