Advertisment

ম্যাঞ্চেস্টার কেলেঙ্কারিতে ভিলেন শাস্ত্রী-কোহলি! ক্ষোভে ফুঁসছে সৌরভের বোর্ড

ম্যাঞ্চেস্টার টেস্ট বাতিলের পরেই বিতর্কের কেন্দ্রে রবি শাস্ত্রী এবং বিরাট কোহলির ভূমিকা। দুজনের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ বোর্ড।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

পঞ্চম টেস্ট বাতিল হয়ে গিয়েছে। গোটা ক্রিকেট বিশ্ব আপাতত তোলপাড়। দফায় দফায় বৈঠক করছেন ইসিবি এবং বিসিসিআই কর্তারা। আর টেস্ট ম্যাচ যেভাবে ভণ্ডুল হল তাতে রবি শাস্ত্রী এবং ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলিকেই তোপের মুখে পড়তে হচ্ছে।

Advertisment

বোর্ডের স্বাস্থ্য প্রোটোকলকে তোয়াক্কা না করে নিজের বই লঞ্চ করেছিলেন শাস্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন একের পর এক বাইরের অতিথি। বিরাট কোহলি সহ গোটা ভারতীয় দলই হাজির হয়েছিল সেই অনুষ্ঠানে। অভিযোগ সেই ইভেন্টে মাস্কের কোনও বালাই ছিল না। এমনিতে ব্রিটেনে এই মুহূর্তে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকায় বিধিনিষেধের উপর শিথিলতা রয়েছে।

আরও পড়ুন: বাতিল টেস্টে জয়ী কে! বেনজির ঝামেলায় জড়ালো ভারত-ইংল্যান্ড বোর্ড

ঘটনা হল এই বই প্রকাশ অনুষ্ঠানের পরেই ভারতীয় শিবিরে একের পর এক করোনা হানা। শাস্ত্রীর অনুষ্ঠান কার্যত হয়ে দাঁড়ায় করোনার সুপারস্প্রেডারে। প্রথমে শাস্ত্রী নিজে। তারপরে বোলিং কোচ ভরত অরুণ, ফিল্ডিং কোচ আর শ্রীধর, ফিজিও নীতিন প্যাটেল সেই আক্রান্তের তালিকায় নাম লেখালেন।

আর পরিস্থিতি সবথেকে খারাপ অবস্থায় পৌঁছয় ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টের ঠিক একদিন আগে সহকারী ফিজিও যোগেশ পারমার করোনা আক্রান্ত হওয়ায়। তারপরেই আইপিএলের কথা মাথায় রেখে ভারতীয় দল মাঠে নামতে অস্বীকার করে।

আরও পড়ুন: ইংল্যান্ডকে ডুবিয়ে দিল ভারত! বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সৌরভ-কোহলিদের তুলোধোনা ভনের

জানা গিয়েছে, শাস্ত্রীর বই প্রকাশ অনুষ্ঠানের জন্য বোর্ডের কোনও অনুমতিও নেয়নি শাস্ত্রী অথবা কোহলি। বোর্ডের এক আধিকারিক সংবাদসংস্থাকে বলে দিয়েছেন, "বোর্ডের প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় অথবা সচিব জয় শাহের কাছ থেকে লন্ডনের টিম হোটেলে বই প্ৰকাশ ইভেন্টের জন্য কোনও লিখিত অনুমতি নেয়নি শাস্ত্রী অথবা কোহলি। হয়ত ওঁরা ভেবেছিল ইংল্যান্ডের নিয়ম কানুন শিথিল হয়ে যাওয়ায়, অনুমতির প্রয়োজন নেই।"

আর গোটা ঘটনায় ভারতীয় দলের ম্যানেজার গিরিশ ডংরের নাম উঠে এসেছে। ম্যানেজার হওয়ায় দলের সমস্ত প্রোটোকল মানা হচ্ছে কিনা, প্রয়োজনে লিখিত নির্দেশ সমস্ত কিছুর দায়িত্ব ছিল তাঁর ওপরে। নিজের দায়িত্ব ঠিকমত পালন করেননি বলেই বোর্ড সূত্রে খবর। বোর্ডের সেই আধিকারিক জানাচ্ছেন, "গোটা ঘটনায় শাস্ত্রী এবং কোহলিকে শাস্তি দেওয়া এই মুহূর্তে সম্ভব নয়। কারণ সামনেই টি২০ বিশ্বকাপ। হয়ত ডংরেকে শো কজ করা হবে।"

আরও পড়ুন: ম্যাঞ্চেস্টার টেস্ট বাতিলে কোটি কোটি টাকার ক্ষতি ইংল্যান্ডের! চরম ক্ষিপ্ত ইসিবি

জানা গিয়েছে, বিরাট কোহলিই ভারতের প্রত্যেক ক্রিকেটারকে মাঠে না নামার বিষয়ে নেতৃত্ব দেন। আর ম্যাচ বাতিলে জোরাজুরি করতে থাকেন। বিসিসিআই ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলেও রাজি করাতে পারেননি। ইসিবির প্রধান কার্যনির্বাহী টম হ্যারিসন কোহলিকে বোঝাতে গিয়ে ব্যর্থ হন।

বোর্ডের সেই কর্তা ফাঁস করেছেন, "বোর্ড চেয়েছিল ক্রিকেটাররা খেলুক। তবে ক্রিকেটারদের মধ্যে উদ্বেগ এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল যে মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে আবার চিন্তা শুরু করে বোর্ড। আরও ১০ দিনের বাবল জীবন এবং আইসোলেশন মেয়াদ কাটাতে কোনওভাবেই চাইছিলেন না কোহলিরা। কিন্তু প্রশ্ন হল, শাস্ত্রীর বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় কেন স্বাভাবিক বিচার বুদ্ধি ওঁরা প্রয়োগ করল না? যেখানে বাইরের অতিথিরা হাজির থাকছেন!"

ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের পরেই ঋষভ পন্থ করোনা আক্রান্ত হন। তারপরই সচিব জয় শাহ চিঠি দিয়ে সফররত শিবিরের প্রত্যেককে ইউরো বা উইম্বলডনের মত বড়সড় জমায়েতে যেতে নিষেধ করেছিলেন। বোর্ড সচিবের বক্তব্য মোটেই ধর্তব্যের মধ্যে আনেননি কোহলিরা।

সেই কর্তা বলেছেন, "ব্রিটেনে এই মুহূর্তে বিধিনিষেধের কড়াকড়ি নেই। তা সত্ত্বেও ইভেন্টের এই জমায়েত এড়ানো যেত। এঁরা জমায়েতে স্বেচ্ছায় গেল। তারপরে শিবিরের একের পর এক ব্যক্তি আক্রান্ত হওয়ার পরে ভয় পেয়ে গেল!"

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Virat Kohli BCCI Ravi Shastri
Advertisment