Mohammed Siraj changed his phone wallpaper before match: ক্রিকেট মাঠে জিততে গেলে শুধুমাত্র দক্ষতা নয়, কখনও কখনও খেলোয়াড়েরা বিশ্বাস করেন ভাগ্য, মনের জোর, কিংবা ছোটখাটো টোটকার উপরও। ঠিক এমনই এক টোটকার জোরেই ওভালের মাটিতে ভারতের জয় এনে দিলেন মহম্মদ সিরাজ (Mohammed Siraj)। এমন জয়, যেখানে ইংল্যান্ডকে নিজেদের ঘরের মাঠেই হাঁসফাঁস করতে হল, এমনকি চোট পাওয়া ক্রিস ওকসকেও মাঠে নামতে হয়েছিল। কিন্তু কিছুই কাজে এল না। কারণ, সিরাজের টোটকা তখন পুরো দমে কাজ করছিল।
পঞ্চম টেস্টের (IND vs ENG) পঞ্চম দিনে, ইংল্যান্ডের দরকার ছিল মাত্র ৩৫ রান, হাতে চার উইকেট, এবং উইকেটে ছিলেন সেট ব্যাটার জেমি স্মিথ। কিন্তু তখনই নিজের জাদু দেখান সিরাজ। ভারতীয় এই পেসার এক ওভারে স্মিথকে আউট করে শুরু করেন প্রতিরোধ। এরপর জেমি ওভার্টনকেও প্যাভিলিয়নে ফেরান তিনি। এরপর প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ জশ টংকে আউট করে দিলে ম্যাচ আরও জমে ওঠে। তখন ইংল্যান্ডের দরকার ছিল মাত্র ১৭ রান। গাস অ্যাটকিনসন একটি ছয় মেরে রান কমিয়ে আনেন ১১-তে। কিন্তু সিরাজ শেষ কথা বলেন, অ্যাটকিনসনকে ক্লিন বোল্ড করে ভারতকে ৬ রানের রোমাঞ্চকর জয় এনে দেন।
আরও পড়ুন 'সিরাজ কোনওদিন ভারতকে ডোবায়নি', ওভালের কীর্তিমানকে প্রশংসায় ভরালেন সৌরভ
সিরাজের জয়ের টোটকা কী ছিল?
ম্যাচের পর সিরাজ জানিয়েছেন, “আমি সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজেকে বলেছিলাম, আজ আমাকে ম্যাচটা জেতাতেই হবে, আমি পারব।” সেই আত্মবিশ্বাস আরও দৃঢ় করতে সিরাজ নিজের ফোনের ওয়ালপেপার বদলে দেন। সেখানে তিনি লিখে রাখেন, “আমি এটা করতে পারব”। এবং ঠিক সেটাই হয়। সিরাজ নিজের প্রথম ওভারেই উইকেট নিয়ে প্রভাব ফেলেন এবং ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন।
আরও পড়ুন বিশ্বাসে মিলায় জয়, ওভালে দেখিয়ে দিলেন সিরাজ, এক ফুলটসেই শেষ ইংল্যান্ডের জারিজুরি
সিরিজের আসল নায়ক
সিরিজের (India vs England) শুরুটা সিরাজের পক্ষে খুব একটা ভাল ছিল না। লিডস টেস্টে ইংল্যান্ড ৩৭২ রান তাড়া করে জিতে গেলে সিরাজের বোলিং নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। কিন্তু এরপর সিরাজ নিজেকে বদলে ফেলেন। বাকি চারটি টেস্টে দুর্দান্ত ছন্দে ফিরে আসেন তিনি। সিরিজে সর্বোচ্চ ২৩টি উইকেট তুলে নেন ৩২.৪৩ গড়ে।
যদিও ম্যান অফ দ্য সিরিজ নির্বাচিত হয়েছেন অধিনায়ক শুভমান গিল, কিন্তু প্রকৃত অর্থে সিরিজের আসল নায়ক ছিলেন মহম্মদ সিরাজ। ভারত যখন ২-২ ফলাফলে সিরিজ শেষ করে ইংল্যান্ড থেকে ফিরছে, তখন সবচেয়ে বড় স্মৃতি হয়ে থাকছে সিরাজের লড়াকু বোলিং এবং তাঁর সেই একরাশ আত্মবিশ্বাস, যা শুরু হয়েছিল একটি ফোনের ওয়ালপেপার বদল দিয়ে।
আরও পড়ুন ওভালে ব্রিটিশদের বুকে ছুরি! সিরাজ-কৃষ্ণের আগুনে বোলিংয়ে রুদ্ধশ্বাস জয় ভারতের
এই জয় কেবল একটি ম্যাচের ফলাফল নয়, এটি একটি মনের জয়ের গল্প, একজন পেসারের আত্মবিশ্বাস এবং দেশের জন্য ‘সবকিছু উজাড় করে দেওয়ার’ প্রেরণামূলক উপাখ্যান।