প্রথম ম্যাচে বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের সাক্ষী রেখেছিলেন নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। দু-দিন পরে সেই পিচেই মাত্র ১৩২ রানে আটকে গেল নিউজিল্যান্ড। জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন মাত্র ১৩৩। নির্ধারিত ২০ ওভারে মাত্র ৫টে উইকেট হারালেও রান তোলার গতি বাড়াতে ব্যর্থ হয়ে স্কোরবোর্ডে দেড়শো-ও তুলতে পারল না কিউয়ি ব্যাটসম্যানরা।
নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ স্কোর ওপেনার গুপ্টিল ও স্টেইফার্টের (৩৩)। বাকিরা তিরিশের গণ্ডি টপকাতে পারেননি। অথচ ম্যাচের শুরুটা অন্যভাবে হয়েছিল। প্রথম ওভারেই শার্দুল ঠাকুরের ওভারে পরপর জোড়া ছক্কা হাকিয়েছিলেন গুপ্টিল। অন্যপ্রান্তে কলিন মুনরোও স্বভাবজাত ভঙ্গিতে শুরু করেছিলেন।
তবে শার্দুল ঠাকুরই নিউজিল্য়ান্ডের ওপেনিং পার্টনারশিপে ভাঙন ধরান। তুলে মারতে গিয়ে কোহলির হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন গুপ্টিল। সেই শুরু। তারপর শামি-বুমরা-জাদেজাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে খাপ খুলতে পারেননি কিউয়িরা।
কলিন মুনরো ২৬ করলেও ব্যর্থ রস টেলর (১৮), কলিন গ্র্যান্ডহোম (৩) এবং কেন উইলিয়ামসন (১৪)।
ভারতীয় বোলারদের মধ্য়ে জোড়া উইকেট নিয়েছেন জাদেজা। ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান খরচ করে জাদেজা ফিরিয়েছেন কেন উইলিয়ামসন ও কলিন গ্র্যান্ডহোমকে। দুই তারকা পেসার মহম্মদ শামি ও জসপ্রীত বুমরা ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।
এদিকে, ভারত ও নিউজিল্যান্ড দু-দলই প্রথম একাদশ অপরিবর্তিত রাখছে। আগের ম্যাচে ভারতীয় বোলাররা প্রত্য়াশামতো পারফর্ম না করার পরে মনে করা হয়েছিল বোলিং বিভাগে পরিবর্তন আসতে চলেছে। মহম্মদ শামি অথবা শার্দুল ঠাকুরের মধ্যে কোনও একজনকে বসিয়ে নভদীপ সাইনিকে খেলানো হতে পারে, এমনটা জানানো হয়েছিল। তবে ভারত জানিয়ে দল প্রথম ম্যাচের একাদশই থাকছে দ্বিতীয় ম্যাচে।
পন্থ আবারও বাদ থাকলেন। কোহলি আগেই বলে দিয়েছিলেন, লোকেশ রাহুলকে কিপিং করিয়ে মণীশ পাণ্ডেকে মিডল অর্ডারে খেলাবেন। সেই রণকৌশলই ভারত ধরে রাখল। যাইহোক, সহজ টার্গেট তাড়া করতে কোহলিরা কত ওভার নেন, সেটাই এখন প্রশ্ন।
ভারত প্রথম একাদশ- রোহিত শর্মা, লোকেশ রাহুল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আইয়ার, মণীশ পাণ্ডে, শিবম দুবে, রবীন্দ্র জাদেজা, যুজবেন্দ্র চাহাল, শার্দুল ঠাকুর, মহম্মদ শামি এবং জসপ্রীত বুমরা
নিউজিল্যান্ড প্রথম একাদশ- মার্টিন গুপ্টিল, কলিন মুনরো, কেন উইলিয়ামসন, কলিন ডে গ্র্যান্ডহোম, রস টেলর, টিম স্টেইফার্ট, মিচেল স্যান্টনার, টিম সাউদি, ইশ সোধি, ব্লেয়ার টিকনার এবং হামিশ বেনেট