দ্বিতীয় ইনিংসে ৩২৩ রান করে ডিক্লেয়ার করল বিরাট কোহলি অ্যান্ড কোং। আগামিকাল চলতি বিশাখাপত্তনম টেস্টের অন্তিম ও পঞ্চম দিন। জয়ের জন্য় দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্য়মাত্র ৩৯৫। ভারতের প্রয়োজন আর নয় উইকেট। স্পিনারদের ওপরেই ভারতের প্রথম টেস্ট জয় নির্ভর করছে। অন্য়দিকে টেস্ট ড্র করার জন্য়ই ঝাঁপাবে কুইন্টন ডি ককের দক্ষিণ আফ্রিকা।
শনিবার টেস্টের চতুর্থ দিনে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস থামে ৪৩১ রানে। ৭৪ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্য়াটিং শুরু করেছিল ভারত। লাঞ্চ পর্যন্ত ভারতের এক উইকেট হারিয়ে ৩৫ রান তোলে। গত ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকানো ভারতীয় ওপেনার ময়ঙ্ক আগরওয়ালকে ফিরতে হয়েছে মাত্র সাত রানেই। কেশব মহারাজের বলে ফাফ দু প্লেসিসের হাতে ক্য়াচ আউট হয়ে যান তিনি। এরপর এখান থেকে ভারতকে বড় রানের দিশা দেখান রোহিত শর্মা ও চেতেশ্বর পূজারা।
আরও পড়ুন: একক টেস্টে যমজ সেঞ্চুরি রোহিতের, ৪১ বছর পর প্রথম ভারতীয় ওপেনার হিসাবে নজির
রোহিত আবারও শতরান করলেন এদিন। রোহিত এদিন টেস্ট কেরিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরির স্বাদ পেলেন। ১৪৯ বলের ইনিংসে ১০টি চার ও সাতটি ছয়ের সৌজন্য়ে ১২৭ রান করেছেন। প্রথম ইনিংসে রোহিতের ব্য়াট থেকে এসেছিল ২৪৪ বলে ১৭৬ রান। ৪১ বছরে এই প্রথম সুনীল গাভাস্করের পর দ্বিতীয় ভারতীয় ওপেনার হিসাবে একক টেস্টে ব্য়াক-টু-ব্য়াক সেঞ্চুরি পেলেন হিটম্য়ান। ১৯৭৮-৭৯-তে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে এই নজির গড়েছিলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক।
এদিন মাত্র ১৯ রানের জন্য় পূজারাকে সেঞ্চুরি মাঠে রেখে আসতে হয়। ৮১ রানে ভার্নন ফিল্য়ান্ডারের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে যান তিনি। যদিও আউট হওয়ার আগে রোহিতের সঙ্গে যুগলবন্দিতে ভারতের লিড ২৫০ পার করিয়ে দেন। এরপর রবীন্দ্র জাদেজা ৩২ বলে ৪০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে কাগিসো রাবাদার বলে বোল্ড হয়ে যান। শেষ পর্যন্ত ভারতের ক্য়াপ্টেন বিরাট (৩১) ও ভাইস ক্য়াপ্টেন অজিঙ্ক রাহানে (২৭) ক্রিজে থেকে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে।
খারাপ আলোর জন্য় আগেই খেলা শেষের সিদ্ধান্ত নেন আম্পায়াররা। কিন্তু এর মধ্য়েই দক্ষিণ আফ্রিকা এক উইকেট হারিয়ে ফেলেছে ১১ রানের মাথায়। গত ইনিংসের সেঞ্চুরিকারী ডিন এলগার মাত্র ২ রানেই ফিরে যান। প্রোটিয়া ওপেনার এলবিডব্লিউ হয়ে যান জাদেজার বলে। ক্রিজে আছেন একে মারক্রম (৩) ও থিউনিস দে ব্রুইন (৫)