Kolkata Derby 2025: মরশুমের প্রথম ডার্বিতে (CFL 2025-26) জয়লাভ করেছে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal FC)। শনিবার (২৬ জুলাই) কল্যাণী স্টেডিয়ামে এই ম্য়াচের আয়োজন করা হয়েছিল। এই ম্য়াচে লাল-হলুদ ব্রিগেড ৩-২ গোলে জয়লাভ করে। তবে খেলা শেষ হওয়ার পর একটি অপ্রীতিকর ঘটনার সাক্ষী হল বাংলার ফুটবল। একজন সবুজ-মেরুন (Mohun Bagan Super Giant) সমর্থক অভিযোগ করেছেন, একদল ইস্টবেঙ্গল ফ্যান নাকি তাঁর উপরে শারীরিক হামলা চালিয়েছে। এই ঘটনায় মারাত্মকভাবে জখম হয়েছেন মোহনবাগানের ওই সমর্থক। ফেটে গিয়েছে মুখ এবং ঠোঁটও! কী হয়েছে গোটা ঘটনাটি, আসুন সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক।
East Bengal vs Mohun Bagan: ডার্বি শেষ হতেই 'অসভ্যতা' ইস্ট-মোহন সমর্থকদের, কল্যাণী স্টেশনে বইল রক্তগঙ্গা!
সুমন দেবনাথ। বাড়ি নৈহাটিতে। একটি মোবাইল ফোনের দোকান চালান। শনিবার মরশুমের প্রথম ডার্বি ম্য়াচ দেখতে কল্যাণী স্টেডিয়ামে এসেছিলেন সুমন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর দাদা ভানু ঘোষ। অভিযোগ খেলা শেষ হওয়ার পর তাঁরা দুজনেই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। সুমনের কথায়, 'মোহনবাগান গ্যালারিটা যেখান থেকে শুরু হয়েছে, ওই জায়গাটা বেশ খানিকটা অন্ধকারাচ্ছন্ন ছিল। জনা দশেক ইস্টবেঙ্গল সমর্থক আনন্দ-উল্লাস করতে করতে আসছিল। তাদের মধ্যে ২-৩ জন আবার মদ্যপ অবস্থায় ছিল। ওরাই আসলে আমাকে মেরেছে।'
Kolkata Derby 2025 Updates: 'যদি আবারও দরকার পড়ে...', পেত্রাতোস প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন সায়ন
১ টাকার কয়েন ছুঁড়ে মারে ইস্টবেঙ্গল ফ্যানেরা, অভিযোগ ওই সমর্থকের
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে সুমন বললেন, 'প্রথমে ওরা আমার দিকে ১ টাকার কয়েন ছুঁড়ে মারে। এমনকী, আমাকে ভিখারি মাচা বলে সম্বোধন করে। আমি প্রথমে কিছু বলিনি। কিন্তু, এখানেই থামেনি ওরা। এরপর আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করে। এই গালাগালির বিরুদ্ধে আমি প্রতিবাদ করেছিলাম শুধুমাত্র। এরপর ওরা সবাই মিলে আমাকে ছেঁকে ধরে। এরপর ছিঁড়তে যায় আমার জার্সি। আমার দাদাকে জুতোপেটা করতে শুরু করে। ওখানে আর কোনও মোহনবাগান সমর্থক ছিল না। এমন সময় একজন ইস্টবেঙ্গল সমর্থক আমার পিছন থেকে আসে এবং হাতের বালা দিয়ে ঠোঁটে মারে। আর তারপর আমার মুখটা ফেটে যায়। এখনও পর্যন্ত মোট আটটা সেলাই পড়েছে। কথা বলতে খুব কষ্ট হচ্ছে।'
Kolkata Derby 2025 Highlights: ডার্বিতে হার মোহনবাগানের, কী বললেন সবুজ-মেরুনের প্রাক্তন ফুটবলার?
বাগান সমর্থকরা ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করেছেন
এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, শনিবারের ডার্বিতে জয়ের পর ইস্টবেঙ্গল ৫ ম্য়াচে মোট ৮ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। উঠে এসেছে পাঁচ নম্বরে। অন্যদিকে, মোহনবাগান এখনও পর্যন্ত তিন নম্বরেই দাঁড়িয়ে রয়েছে। তারা ৬ ম্য়াচে মোট ১০ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। কিন্তু, ম্য়াচের শেষে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের এই আচরণকে কেন্দ্র করে বাগান সমর্থকরা ইতিমধ্যে ফুঁসতে শুরু করেছে। শেষকালে সুমন বললেন, '২০০৪-০৫ সাল থেকে কলকাতা ময়দানে আমি যাচ্ছি। আমরাও তো অনেক ডার্বি ম্য়াচে জয়লাভ করেছি। কিন্তু, কখনই কোনও ইস্টবেঙ্গল সমর্থকের গায়ে হাত দেওয়া তো দুরের কথা, গালাগালি পর্যন্ত করিনি। এই সংস্কৃতিকে আমি ঘেন্না করি। গতকাল রাতেই কল্যাণী থানা থেকে আমাকে ফোন করেছিল। যেহেতু কথা বলতে পারছি না, সেকারণে আমার স্টেটমেন্ট ওরা এখনও নিতে পারেনি। পুলিশের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে, আমি সুস্থ হওয়ার পর এই ব্যাপারে অ্যাকশন নেওয়া হবে।'