Kolkata Derby 2025: শেষ হল মরশুমের প্রথম কলকাতা ডার্বি ম্য়াচ। গত কয়েকদিন ধরেই মোহনবাগান (Mohun Bagan Super Giant) বনাম ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal FC) লড়াই নিয়ে পারদ চড়তে শুরু করেছিল। শেষপর্যন্ত এই ঘটি-বাঙালের মহারণে জয়লাভ করল ইস্টবেঙ্গল। মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে তারা ৩-২ গোলে হারিয়ে দিয়েছে। যদিও দুটো দলই একাধিক গোলের সুযোগ মিস করেছে। তবে কলকাতা ফুটবল লিগের (CFL 2025-26) এই ম্য়াচে ডার্বির সেই চেনা উত্তেজনাটাই খুঁজে পেলেন না মোহনবাগানের প্রাক্তন ফুটবলার সংগ্রাম মুখোপাধ্যায়।
East Bengal wins Kolkata Derby 2025: ঘুচল যাবতীয় অপমানের জ্বালা, মরশুমের প্রথম ডার্বিতে জয় ইস্টবেঙ্গলের
ম্যাচের পর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে তিনি ফোন মারফৎ বললেন, 'বড় ম্য়াচে যে উত্তেজনা থাকে, সেটা একেবারেই পাওয়া গেল না। ইস্টবেঙ্গল জিতেছে, ঠিক আছে। বড় ম্য়াচে যে ধরনের খেলা হয় কিংবা যে উত্তাপ থাকে, সেটা একেবারেই বোঝা গেল না।'
East Bengal Goal: পোলা নয়, একেবারে আগুনের গোলা! জোড়া গোলে বাগান তছনছ করল ইস্টবেঙ্গল
এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, শনিবাসরীয় ডার্বি ম্যাচটি কল্যাণী স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হয়েছিল। খেলা শুরু হওয়ার সময় থেকেই লাল-হলুদ ফুটবলারদের দাপট চোখে পড়েছে। ম্য়াচের ৯ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে প্রথম গোলটি করলেন অধিনায়ক জেসিন টিকে। এরপর প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে (৪৫+৬) আসে দ্বিতীয় গোল। সায়নের গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় মশালবাহিনী। এই ম্য়াচের প্রথম ৪৫ মিনিটে মোহনবাগানকে কার্যত খুঁজেই পাওয়া যায়নি।
East Bengal Fan Viral: পিতৃবিয়োগের যন্ত্রণা ভোলাবে ইস্টবেঙ্গলের জয়, ধরাকাছা পরেই মাঠে হাজির লাল-হলুদ সমর্থক
তবে দ্বিতীয়ার্ধে মেরিনার্সরা কিছুটা হলেও কামব্যাক করার চেষ্টা করেছিল। লিওয়ান কাসান্থা এবং কিয়ান নাসিরি একটি করে গোল করেন। আর সেই সুবাদে মোহনবাগান এই ম্য়াচে সমতাও ফিরিয়ে এনেছিল। কিন্তু, ৬৯ মিনিটে ডেভিড লালনসাঙ্গার গোল যাবতীয় স্বপ্ন চুরমার করে দিল সবুজ-মেরুন সমর্থকদের। শেষপর্যন্ত ২২ বছর আগে আসিয়ান জয়ের সেই স্মৃতিকে উসকে দিয়ে আরও একবার জয়লাভ করল ইস্টবেঙ্গল।
Mohun Bagan vs East Bengal: রেয়াত নয় ইস্টবেঙ্গলকে, 'ডার্বি ইজ ডার্বি' হুঙ্কার দীপেন্দুর
একাধিক সুযোগের অপব্যবহার ম্যাচের ছন্দ নষ্ট করেছে: সংগ্রাম
কিন্তু, দুটো দলের খেলাই মনে ধরল না সংগ্রামের। তাঁর কথায়, 'বেশ কয়েকটা ভাল সুযোগ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু, সেগুলো শেষপর্যন্ত কাজে লাগাতে পারল না। এই ম্য়াচের প্রথমার্ধটা ইস্টবেঙ্গল খেলেছে, আর দ্বিতীয়ার্ধ মোহনবাগান। বড় ম্য়াচে এটা হতেই পারে। একটা সময় তো মোহনবাগান ২-২ গোলে সমতাও ফিরিয়ে এনেছিল। তবে ইস্টবেঙ্গল প্রতি আক্রমণে এসে ফের একটা গোল করে দিল। কিন্তু, সুহেল ভাট গোল করার দুটো সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু, সেগুলো কাজে লাগাতে পারল না। শেষবেলায় ডেভিডের সামনেও ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ এসেছিল। কিন্তু, সেখানেও ও সুযোগ মিস করল। সব মিলিয়ে এই ম্য়াচের চেনা উত্তেজনা আমি খুঁজে পাইনি।'