/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/06/mehtab-hossain-durga-pujo-2025-09-06-19-42-59.jpg)
বাড়িতে দুর্গাপুজোর অনুষ্ঠানে মেহতাব এবং মৌমিতা
Mehtab Hossain: হাতে আর খুব বেশিদিন সময় বাকি নেই। ঢাকে কাঠি পড়তে আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। চলতি মাসের গোধূলিবেলায় আসছেন মা দুর্গা (Durga Puja 2025)। শরতের নীল আকাশে ইতিমধ্যে তুলোর মতো পেঁজা-পেঁজা মেঘ এদিক থেকে ওদিক যাতায়াত করছে। কর্পোরেট দুনিয়ার যুগে এখনও পর্যন্ত গ্রামেগঞ্জে কাশফুল দুলতে দেখা যাচ্ছে। সবমিলিয়ে একটা উৎসবের আমেজ যে ইতিমধ্য়ে তৈরি হয়ে গিয়েছে, সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু, এই আনন্দের মধ্যেও বিষাদের সুর বিসমিল্লার সানাইয়ের মতো বেজে চলেছে বাংলার ফুটবলার মেহতাব হোসেনের পরিবারে।
সালটা ২০২১। স্ত্রী মৌমিতার ইচ্ছাপূরণেই বাড়িতে দুর্গাপুজোর আয়োজন করেছিলেন ভারতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন মিডফিল্ড জেনারেল মেহতাব হোসেন। তারপর থেকে কখনও বাদ পড়েনি শারদীয়ার আহ্বান। নিউটাউনের 'নির্মলা ম্য়ানসন'-য়ে প্রতি বছরই আশ্বিনের মাঝামাঝি বাজনা বেজে উঠেছে। এমনকী মেহতাব নিজেও জানিয়েছিলেন, 'সবার ওপরে মানুষ সত্য। আর তাই এই পুজোর আয়োজন করেছি। সবাই মিলে হইহই করে আনন্দ করছি। সেটাই আসল কথা।' কিন্তু, এই বছর মেহতাবের বাড়িতে আর ঢাকের বোল শুনতে পাওয়া যাবে না। হবে না সন্ধি পুজোর মন্ত্রোচ্চারণও।
Mehtab Hossain Exclusive: রাজনীতি ঢুকেই অন্ধকারে ভারতীয় ফুটবল? ফিফা ব়্যাঙ্কিং নিয়ে বিস্ফোরক মেহতাব
এই কারণেই মেহতাবের বাড়িতে হচ্ছে না দুর্গাপুজো
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে দুরভাষ মারফৎ মেহতাব বললেন, 'এই বছর আমাদের বাড়িতে দুর্গাপুজো হচ্ছে না। আসলে আমার বাবা প্রয়াত হয়েছে। সেইসঙ্গে ছোট শ্যালকের ক্যানসার ধরা পড়েছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতিতে একেবারেই দুর্গাপুজোয় আনন্দ করার অনুকূল নয়। সেকারণেই এই বছরটা বাদ রাখছি।' মেহতাবের বাড়ির এই দুর্গাপুজোয় বাংলার নামীদামি ফুটবলার অতিথি হয়ে আসতেন। ঠাকুর দেখার পথে ঢুঁ মেরে যেতেন সমর্থকরাও। এই বছর তাঁরা যে কিছুটা হলেও হতাশ হবেন, তা বলা যেতেই পারে।
এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, বাংলার তিন প্রধান ফুটবল ক্লাবের (মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল এবং মহমেডান) হয়েই দাপটের সঙ্গে ফুটবল খেলেছেন মেহতাব হোসেন। যদিও লাল-হলুদ সমর্থকদের থেকে তিনি ভালবাসাটা তুলনামূলক অনেকটাই বেশি পেয়েছেন। এর পাশাপাশি ইন্ডিয়ান সুপার লিগেও তিনি পারফরম্য়ান্স করেছেন। আর ভারতীয় ফুটবল দলের হয়ে খেলেছেন টানা ১০ বছর - ২০০৫ থেকে ২০১৫ সাল। সবমিলিয়ে মেহতাবের ফুটবল কেরিয়ার যে যথেষ্ট বর্ণাঢ্য, তা বলা যেতেই পারে। আশা করা যায়, মেহতাবের পরিবারে এই বিষাদের ছন্দ শীঘ্রই কেটে যাবে। সূচনা হবে এক নতুন ভোরের। আগামী শারদীয়ায় নিশ্চয়ই তাঁর বাড়িতে ফের ঢাকের বাদ্যি শোনা যাবে।