Mehtab Hossain: শুক্রবার (২ মে) মাধ্যমিক পরীক্ষার (Madhyamik 2025 Result) ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এই পরীক্ষার পরই ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনে শুরু হয় এক নয়া অধ্যায়। আর জীবনের সবথেকে বড় পরীক্ষার কথা মনে থাকবে না, এমন মানুষজন খুব কমই রয়েছেন। সেই তালিকায় নাম রয়েছে বাংলার অন্যতম সেরা ফুটবলার মেহতাব হোসেন। মোহনবাগান (Mohun Bagan) এবং ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ফুটবল দলের অন্যতম স্তম্ভ ছিলেন তিনি। কিন্তু, স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, অঙ্কটা চিরকালই ভয় পেতেন।
মেহতাব-নবিদের সুপারিশ ইস্টবেঙ্গলে! কর্তাদের নজরে একাধিক আইলিগ তারকা
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে মেহতাব বললেন, 'ছোটবেলা থেকেই ফুটবল খেলার প্রতি প্রচন্ড ঝোঁক ছিল। সেকারণে পড়াশোনার দিকে খুব একটা বেশি নজর দিইনি। তবে বাড়িতে কড়া শাসন ছিল। জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে মাধ্য়মিকটা (madhyamik exam) অন্তত পাশ করতেই হবে। সেই ধাপটা অবশেষে টপকে ছিলাম।' এরপর তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, মাধ্য়মিকের বিষয়গুলোর মধ্যে কোনটা সবথেকে বেশি কঠিন লাগত? জবাবে মেহতাব বললেন, 'অঙ্ক বিষয়টা আমি চিরকালই ভয় পেতাম। ওটাই আমার কাছে সবথেকে বেশি কঠিন লাগত।'
Pahalgam Terror Attack: 'ইসলামের একরাশ লজ্জা, এঁরা মুসলিম নামে কলঙ্ক', জেহাদিদের কঠোরতম শাস্তির দাবি মেহতাবের
টিম ইন্ডিয়ার এই প্রাক্তন ফুটবলার আরও যোগ করেন, পড়াশোনার ব্যাপারে বাড়িতে কড়া শাসন ছিল। মনের মধ্যে ভয় ছিল যে রেজাল্ট (madhyamik result) খারাপ হলেই বাড়ির লোকজন পিটিয়ে পিঠের ছাল-চামড়া তুলে দেবে। যদিও এই ফুটবল খেলার জন্য ফুটবলের বহু ক্লাসই 'বাঙ্ক' করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
Mehtab Hossain on Mohun Bagan Win: শুভাশিসের হ্যান্ডবল ইচ্ছাকৃতভাবে এড়িয়ে গেলেন রেফারি? এবার মুখ খুললেন মেহতাব
দাপিয়ে ফুটবল খেলেছেন কলকাতা ময়দানে
এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, ২০০৩ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত মেহতাব মোহনবাগানের হয়ে খেলেছিলেন। এরপর ২০০৭ সালে তিনি ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে যোগ দিয়েছিলেন। তারপর বাকিটা ইতিহাস। লাল-হলুদ জার্সিতে তিনি ২০১৭ সাল পর্যন্ত খেলেছিলেন। ২৪৪ ম্য়াচে ইস্টবেঙ্গলের মিডিও জেনারেলের ভূমিকায় তাঁকে দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। ২০১৮-১৯ মরশুমে ফের মোহনবাগান ক্লাবে প্রত্য়াবর্তন করলেও, খুব বেশি ম্য়াচ খেলেননি তিনি।