/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/08/mohammedan-sporting-club-supporter-2025-08-08-16-59-24.jpg)
বিক্ষোভে গর্জে উঠলেন মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সমর্থকরা
Mohammedan Sporting Club: সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি (AIFF) কল্যাণ চৌবে ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, চলতি মরশুমে সুপার কাপ এবং ইন্ডিয়ান সুপার লিগ - জোড়া টুর্নামেন্টই আয়োজন করা হবে। এই প্রতিশ্রুতির পর দেশের বাকি ক্লাবগুলো কিছুটা স্বস্তি পেলেও, মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বর্তমান পরিস্থিতি আপাতত অথৈ জলে। আগামী ISL টুর্নামেন্টে সাদা-কালো ব্রিগেড আদৌ অংশগ্রহণ করতে পারবে কি না, তা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ একটাই। এখনও পর্যন্ত কোনও ইনভেস্টর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আর সেকারণেই মহমেডান সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখতে পাওয়া গিয়েছে। এমনকী, তাঁরা ক্লাব কর্তাদের পদত্যাগও দাবি করেছেন।
কলকাতার ফুটবল বলতে মূলত তিনটে ক্লাবকেই বোঝানো হয়। এই তিনটে ফুটবল ক্লাবের মধ্যে মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল ইতিমধ্যে আইএসএল টুর্নামেন্টে ভিত শক্ত করলেও, গত বছরই (২০২৪-২৫) আত্মপ্রকাশ করেছিল মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাব। কিন্তু, প্রথম বছর থেকেই আর্থিক অসন্তোষে জর্জরিত হয়ে পড়ে ক্লাব। অভিযোগ, টুর্নামেন্টের মাঝপথেই বিনিয়োগকারী সংস্থা শ্রাচী গোষ্ঠী মহমেডানের হাত ছেড়ে দেয়। এরপর টুর্নামেন্ট যত সামনের দিকে এগোতে শুরু করে, ততই একের পর এক ঝামেলায় জড়াতে থাকে কলকাতার এই শতাব্দীপ্রাচীন ফুটবল ক্লাব। শেষের দিকে তো পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে দাঁড়িয়েছিল, টাকা না পেয়ে বিদেশি ফুটবলাররা জানিয়ে দিয়েছিল যে তারা অনুশীলন করবে না। এরপর কোনওক্রমে তারা টুর্নামেন্ট শেষ করে।
ইতিমধ্যে ফুটবলারদের বেতন বকেয়া থাকার কারণে মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবের উপর নেমে এসেছে নির্বাসনের খাঁড়া। ফিফা ব্যানের পাশাপাশি সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনও তাদের নির্বাসিত করেছিল। এই পরিস্থিতিতে নতুন ইনভেস্টর এসে যদি আগেকার বকেয়া না মেটান, তাহলে আইএসএল টুর্নামেন্ট খেলতে পারবে না মহমেডান। কিন্তু, ইনভেস্টর কই?
জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মহমেডান কর্তারা এই ব্যাপারে বেশ কয়েকবার আলোচনা করলেও, এখনও পর্যন্ত কোনও সুরাহা বেরোয়নি। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার (৭ অগাস্ট) কিশোরভারতী স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেই কার্যত ক্ষোভ উগড়ে দিলেন মহমেডান সমর্থকরা। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, যদি ক্লাবে কোনও ইনভেস্টর না আসে, তাহলে কোনও ভোটও দেওয়া হবে না।
Mohammedan SC vs Diamond Harbour FC: অবিশ্বাস্য লড়াইয়ের পরও হল না শেষরক্ষা, শেষবেলায় হার মহমেডানের
বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন সমর্থকদের একাংশ
মহমেডানের একজন সমর্থক বললেন, 'আমাদের আবেদনে ক্রীড়ামন্ত্রী কোনও সাড়া দেয়নি। যদি এই সমস্যার সমাধান না হয়, তাহলে আমরাও ভোট দেব না। অন্য ক্লাবের জন্য দিদির হাত বাড়াতে যখন একটুও সময় লাগে না, তখন মহমেডান ক্লাবের জন্য এত দেরি কেন হচ্ছে? আমরা কি বানের জলে ভেসে এসেছি? নাকি আমরা শুধুমাত্র ভোটব্যাঙ্ক? আমরা ভোটব্যাঙ্ক হতে চাই না। আমাদের এত পুরনো ক্লাব আমাদের কাউকে লাগে না। আমাদের আধিকারিকরা যদি ঠিক থাকত, তাহলে দিদিরও প্রয়োজন হত না।'
সঙ্গে ওই সমর্থক আরও যোগ করেছেন, 'যা করব, ক্লাবের জন্যই করব। নিঃস্বার্থভাবে করব। এটা আগের প্রজন্ম নয়। আমরা নতুন প্রজন্ম। আমরা মুখ বুজে সহ্য করব না। এক বললে, দুই বলব। কিন্তু, আমরা কেউ ছাড়ব না। আমাদের ধমকে-চমকে কোনও লাভ হবে না। ক্লাবকে যদি ভালবেসে আমরা আসতে পারি, তাহলে এই ক্লাবের জন্য রক্ত ঝরাতেও প্রস্তুত।'