Mohammedan SC vs Diamond Harbour FC Highlights: এটাকে দূর্ভাগ্য ছাড়া আর কীই বা বলা যেতে পারে! সোমবার (২৮ জুলাই) চলতি ডুরান্ড কাপে (Durand Cup 2025) ডায়মন্ড হারবার এফসি-র বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব (Mohammedan Sporting Club)। গোটা ম্য়াচে সাদা-কালো ব্রিগেড দুর্দান্ত পারফরম্য়ান্স করে। অনেকেই ভেবেছিলেন যে ম্য়াচটা হয়ত ১-১ গোলে ড্র হবে। কিন্তু, শেষবেলায় লুকা মাজসেনের গোল যাবতীয় হিসেব ওলট-পালট করে দেয়। শেষপর্যন্ত দুর্দান্ত লড়াইয়ের পরও মহমেডানকে ২-১ গোলে পরাজয় স্বীকার করতে হয়েছে।
Mohammedan SC vs Diamond Harbour FC: অবিশ্বাস্য লড়াইয়ের পরও হল না শেষরক্ষা, শেষবেলায় হার মহমেডানের
খেলার শেষে এই ব্যাপারে মুখ খুললেন মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ফুটবল সচিব দীপেন্দু বিশ্বাস (Dipendu Biswas)। বললেন, 'আজ আমাদের ছেলেরা খুবই ভাল খেলেছে। মেহরাজকেও ক্রেডিট দিতে হবে। গোটা দলটাকে ও যেভাবে খেলাল, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। যে পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছিল, সেটা ১০০ শতাংশ বাস্তবায়িত করতে পেরেছে। এবার শেষ মুহূর্তের গোলে যদি কোনও দল হেরে যায়, তাহলে তো আর কিছু বলার থাকতে পারে না।'
FIFA Banned Mohammedan SC: ফের মহমেডানকে 'নির্বাসন' ফিফা-র, ডুরান্ডে আদৌ খেলবে তো ব্ল্যাক প্যান্থার্সরা?
এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, মহমেডান বনাম ডায়মন্ড হারবার এফসি ম্য়াচে ৯০ মিনিটের পর আরও ১০ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। আর লুকা মাজসেন ৯০+১০ মিনিটেই জয়সূচক গোলটি করেন। এই গোলের পর মেহরাজউদ্দিনের ছেলেদের কাছে প্রত্যাবর্তনের আর কোনও সুযোগ ছিল না।
FIFA Ban On Mohammedan Sporting Club: ফিফার নিষেধাজ্ঞা, সই করানো যাবে না ফুটবলার! চরম সমস্যায় মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাব
এই প্রসঙ্গে দীপেন্দু বললেন, 'এক্সট্রা টাইমে ১০ মিনিটের মাথায় গোলটা হয়েছে। এটা পুরোটাই কপালের ব্যাপার। তবে আজ আমাদের ছেলেরা যথেষ্ট ভাল খেলেছে। যথেষ্ট লড়াই করেছে। আগামী মোহনবাগান ম্য়াচে এই লড়াইটা আমাদের অক্সিজেন দেবে। আশা করছি, আগামী ম্য়াচে এই ছেলেরাই আরও ভাল পারফরম্য়ান্স করতে পারবে।'
ISL: Mohammedan vs Odisha: আইএসএল: ওড়িশার প্লে অফে ওঠার স্বপ্ন ভেঙেচুরে দিতে মরিয়া মহামেডান স্পোর্টিং
উল্লেখ্য, সোমবার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এই ম্য়াচের আয়োজন করা হয়েছিল। ম্যাচের প্রথমার্ধে যে মহমেডানের নামেই লেখা ছিল, সেটা আর আলাদা করে বলে দেওয়ার দরকার নেই। হাফটাইমে তারা ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে মাঠ ছেড়েছিলেন। মহমেডানের হয়ে একমাত্র গোলটি করেছিলেন আদিসন সিং। ৩৬ মিনিটে আদিসনের গোলেই এগিয়ে গিয়েছিল ব্ল্যাক প্যান্থার্সরা। তবে ৫১ মিনিটে ডায়মন্ড হারবারের হয়ে সমতা ফেরান রুয়াতকিমা। কর্নার কিক থেকে উড়ে আসা একটি বলে তিনি মাথা ঠেকান। আর বলটা কার্যত বুলেট গতিতে মহমেডানের জালে জড়িয়ে যায়। এরপর লুকা মাজসেনের গোলের কথা তো আগেই আলোচনা করা হয়েছে।
একাধিক সুযোগ তৈরি করেও কাজে লাগাতে ব্যর্থ মহমেডান
এই ম্য়াচে একাধিক গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল মহমেডান। কিন্তু, দূর্ভাগ্যের বিষয়, সেই সুযোগ তারা কাজে লাগাতে পারেনি। কাজে লাগাতে পারলে হয়ত ম্য়াচের ফলাফল আলাদা হতে পারত। এই ব্যাপারে দীপেন্দু বললেন, 'এটা একদম আমাদের ব্যাড লাক। গত বছর মনিতোষের শট এবং এই বছর সজলের শটটা একেবারে একই ছিল। কপালে না থাকলে তো কিছু আর করার নেই। কলকাতা ফুটবল লিগে আমাদের একটু সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু, ডুরান্ডের খেলাটা একেবারেই আলাদা। ডুরান্ডে যে ছেলেরা আজ খেলল, তারা যথেষ্ট অভিজ্ঞ। আগেও ভাল পারফরম্য়ান্স করেছে। সেকারণে আশা করছি, পরের দুটো ম্য়াচেও আমরা ভাল পারফরম্য়ান্স করতে পারব।'