Mohun Bagan Club: গত ১ মাস নির্বাচনী আবহে বাগান চত্বর রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। অবশেষে সোমবার (৯ জুন) যবনিকা পতন হল। এদিন সচিব পদে মনোনয়ন জমা দেন সৃঞ্জয় বসু (Srinjoy Bose)। তবে মনোনয়ন পত্র জমা দেননি দেবাশিস দত্ত (Debasish Dutta)। আশা করা হচ্ছে, বাগানের আগামী সভাপতি পদে তাঁকে মনোনীত করা হতে পারে।
Mohun Bagan Election: ঝগড়া-অশান্তি সব শেষ, মোহনবাগানের স্বার্থে অবশেষে হাত মেলালেন দেবাশিস-সৃঞ্জয়
আসুন দেখে নেওয়া যাক, কে কোন পদের জন্য মনোনয়ন জমা দিলেন:
সচিব পদে সৃঞ্জয় বসু, সহ-সচিব সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়, কোষাধ্যক্ষ সন্দীপন বন্দ্যোপাধ্যায়, অর্থ-সচিব সুরজিৎ বসু, মাঠ-সচিব শাশ্বত বসু, ফুটবল-সচিব স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়, ক্রিকেট-সচিব সম্রাট ভৌমিক, হকি-সচিব শ্যামল মিত্র, টেনিস-সচিব সিদ্ধার্থ রায়, যুব ফুটবল-সচিব শিলটন পাল। কর্মসমিতির পদে মনোনয়ন দিয়েছেন মুকুল সিনহা, সোহিনী মিত্র চৌবে, সোমেশ্বর বাগুই, কাশীনাথ দাস, দেবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, সুদীপ্ত ঘোষ, দেবজ্যোতি বসু, রঞ্জন বসু, পার্থজিৎ দাস, সঞ্জয় মজুমদার এবং অনুপম সাহু।
Mohun Bagan Super Giant: রোনাল্ডোর এক কথায় খুশির ঢেউ মোহনবাগানে, আনন্দে লাফাচ্ছেন সবুজ-মেরুন সমর্থকরা
সাংবাদিক বিবৃতি দেবাশিস-সৃঞ্জয়ের
এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, সোমবার মোহনবাগান তাঁবুতে দেবাশিস দত্ত এবং সৃঞ্জয় বসু যৌথ প্রেস বিবৃতি দেন। সেখানে একটা কথা স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে যে মোহনবাগানের স্বার্থেই দুই যুযুধান গোষ্ঠী এক হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, আগামীদিনে যে কমিটি গঠন করা হবে, তাঁরা মোহনবাগান ক্লাবের ঐতিহ্য এবং সাফল্যকে আরও উপরে নিয়ে যেতে পারবেন।
Mohun Bagan Super Giant Updates: মোহনবাগানেই কেটেছে 'সেরা মরশুম', তারকা ডিফেন্ডার জিতলেন মেরিনার্সদের হৃদয়
সৃঞ্জয়ের কাছে আমি কৃতজ্ঞ, মন্তব্য দেবাশিসের
দেবাশিস দত্ত বললেন, 'মোহনবাগান ক্লাবের ভালর কথা ভেবেই দুটো শিবির লড়াই করতে নেমেছিল। ইতিপূর্বে, এমন কয়েকটি ঘটনার সাক্ষী আমরা হয়েছি যা মোহনবাগানের ঐতিহ্যের সঙ্গে একেবারেই খাপ খায় না। সৃঞ্জয় আমার অত্যন্ত ভাল বন্ধু। একসঙ্গে বহু কাল কাজ করেছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে দু’জনে বৈঠকে বসেছি। আমি সৃঞ্জয়ের কাছে কৃতজ্ঞ। ও-ও মোহনবাগানের স্বার্থের কথা ভেবেছে, আমিও তাই।'
Mohun Bagan Election News: শেষবেলায় 'মাস্টারস্ট্রোক' দেবাশিসের! অবাক সবুজ-মেরুন সমর্থকরা
গণতন্ত্র থাকা দরকার - সৃঞ্জয় বসু
অন্যদিকে সৃঞ্জয় বসু বললেন, 'আমি মনে করি যে প্রত্যেকটা জায়গাতেই একটা গণতন্ত্র থাকা দরকার। নির্বাচনী প্রচার করার সময় আমরা বহু সবুজ-মেরুন সমর্থকের সঙ্গে দেখা করেছি। তাঁদের থেকে অভিযোগ এবং সমস্যার কথা জানতে পেরেছি। সেই অভিযোগের কথা মাথায় রেখেই আমরা আগামী দিনে কাজ করব। এর আগেও আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি। আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান হয়েছে। আশা করছি, এবারও তেমনটাই হবে।'