/indian-express-bangla/media/media_files/2025/07/30/chima-okorie-2025-07-30-14-09-25.jpg)
সবুজ-মেরুন সমর্থকদের হৃদয় জয় করেছিলেন চিমা ওকোরি
Mohun Bagan: বাঙালির কাছে ফুটবল আবেগ মানেই মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল। শতাব্দী প্রাচীন এই দুটো ক্লাবে একাধিক বিদেশি ফুটবলার খেলে গিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কেউ হারিয়ে গিয়েছেন বিস্মৃতির অতলে, কেউবা আবার হৃদয়ের মণিকোঠায় ধ্রুবতারার মতো উজ্জ্বল হয়ে রয়েছেন। সেই ধ্রুবতারাদের তালিকায় অন্যতম হলেন চিমা ওকোরি (Chima Okorie)। নাইজেরিয়ার এই ফুটবলার ১৯৮৪ সালে ভারতে পা রাখেন। তবে ইস্টবেঙ্গলের (১৯৮৭-১৯৯০) ফুটবলার হিসেবে বাঙালি ফুটবল সমর্থকদের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন। কেউ ভাবতে পারেননি যে চিমার মতো একজন ফুটবলার কোনওদিন ইস্টবেঙ্গল ছেড়ে মোহনবাগান ক্লাবে যোগ দিতে পারেন! কিন্তু, সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছিল মোহনবাগান! কীভাবে? তাহলে বাকি প্রতিবেদনটাও আপনাদের পড়তে হবে।
Mohun Bagan Day: পরের জন্মে কী হতে চান, আবেগে ভেসে জানিয়ে দিলেন মোহনবাগান 'রত্ন' টুটু বোস
মোহনবাগান 'রত্ন' টুটু বসু
মঙ্গলবার অর্থাৎ ২৯ জুলাই মোহনবাগান দিবস পালন করা হয়। এই উপলক্ষ্যে কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হয় এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের। সেই অনুষ্ঠান মঞ্চে ক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি টুটু বসুর (Tutu Bose) হাতে 'মোহনবাগান রত্ন' সম্মান তুলে দেওয়া হয়। সম্মান পেয়ে আর চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি তিনি। যাইহোক, কথায় কথায় স্মৃতির ক্যানভাসে আঁচড় টানতে শুরু করেন বাগানের প্রাক্তন সভাপতি। আর তখনই উঠে আসে চিমা ওকোরির নাম। আসলে, চিমাই প্রথম বিদেশি ফুটবলার যিনি মোহনবাগান ক্লাবের জার্সিতে খেলেছিলেন।
Mohun Bagan Day 2025: মোহনবাগান না ইস্টবেঙ্গল, কোন ক্লাবের সমর্থক মমতা? এতদিনে ফাঁস গোপন কথা
টুটু বসু বললেন, 'মোহনবাগান ক্লাবের আইন ছিল, কোনও বিদেশি ফুটবলার খেলানো যাবে না। আমি সেই আইনের কাগজটা ছিঁড়ে ফেলেছিলাম। অঞ্জনকে (মিত্র) বললাম, জেলে যেতে হলে আমার কোনও অসুবিধে নেই। কিন্তু, বিদেশি ফুটবলার আমি সই করাবই। এরপরই আমি মোহনবাগানের ঘরে চিমাকে নিয়ে এসেছিলাম।'
/filters:format(webp)/indian-express-bangla/media/media_files/2025/07/30/tutu-bose-mohun-bagan-ratna-2025-07-30-14-11-50.jpg)
এরপর তিনি একটি হাসির কথা শেয়ার করলেন। বললেন যে কীভাবে চিমাকে সই করিয়েছিলেন তিনি। ব্যাপারটা অবশ্যই যথেষ্ট ঝকমারি ছিল। টুটু বসুর কথায়, 'চিমা সেইসময় ক্যাথি নামে কলকাতার এক মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন। চিমা আমাকে আস্তে আস্তে বলল, আমি তো নাইজেরিয়ান। তুমি একটু ক্যাথির সঙ্গে টাকা-পয়সার ব্যাপারে কথাবার্তা বলো। তখন ক্যাথি রান্নাঘরে ছিল। আমি তখন রান্নাঘরে গিয়েই বসে গেলাম। সামনে দাঁড়িয়ে রইল চিমা। ক্যাথির সঙ্গে টাকাকড়ির ব্যাপারে যাবতীয় কথাবার্তা হল।'
Mohun Bagan Canteen: ফিশ ফ্রাই-মাটন কষার ভুবনভোলানো স্বাদ, ভারতসেরা হল মোহনবাগানের ক্যান্টিন
এরপর তিনি বললেন, 'কথাবার্তার মাঝপথে চিমা উঠে গেল। আর ওর ছেলেটাকে বসিয়ে দিয়ে গেল আমার কোলে। কথা শেষ হওয়ার আগেই চিমার ছেলে আমার কোলে এত প্রস্রাব করল, আমার পুরো প্যান্ট ভিজে গেল। এরপর যখন বাড়ি ফিরলাম, তখন আমার স্ত্রী গোটা ঘটনার কথা শুনল। সঙ্গে চিমার ছেলের ব্যাপারটাও আমি বললাম। সব শুনে বলল, বেশ হয়েছে। টুম্পাই আর টুবলাই যদি তোমার কোলে বসত, তাহলে কী তুমি বসতে দিতে? এখন তোমার সঙ্গে যা হয়েছে, তাতে ভগবান একেবারে উচিত কাজ করেছে।' এই গল্পটা শোনার পরই গোটা স্টেডিয়াম হাসিতে ফেটে পড়ে এবং ভরে যায় করতালিতে।