/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/04/mohun-bagan-super-giant-5-2025-08-04-10-38-27.jpg)
জয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে মরিয়া মোহনবাগান
Mohun Bagan Super Giant: কলকাতা ফুটবল লিগে (CFL 2025-26) শেষপর্যন্ত খেলল না মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। বুধবার (১৩ অগাস্ট) মেসারার্সের বিরুদ্ধে খেলার কথা ছিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের। যদিও আগেই তারা জানিয়ে দিয়েছিল, পর্যাপ্ত ফুটবলারের অভাবে এই ম্যাচে তারা খেলতে পারবে না। এমনকী, অনুরোধ করা হয়েছিল যে যদি এই ম্যাচ পিছিয়ে দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে তারা খেলতে পারবে। কিন্তু, আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত নিজের সিদ্ধান্তে একেবারে অনড় ছিলেন। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, ম্য়াচের সূচি পিছনো হবে না। শেষপর্যন্ত যা হওয়ার, সেটাই হল। ম্যাচ খেলার জন্য মেসারার্স উপস্থিত থাকলেও, খেলতে এল না মোহনবাগান।
Mohun Bagan Super Giant Win: পাঁচ গোলের মালা মোহনবাগানের, উড়ে গেল ডায়মন্ড হারবার এফসি
এই পরিস্থিতিতে বাগান সমর্থকদের একাংশ ভয় পাচ্ছেন, এই সিদ্ধান্তের কারণে মোহনবাগানকে কি বড়সড় কোনও শাস্তির মুখে পড়তে হবে? বেশ কয়েকটি সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, রাজ্যের ফুটবল নিয়ামক সংস্থা IFA কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই এখন দেখার। এই পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকটা সম্ভাবনার কথা উঠে আসছে। এক্ষেত্রে মেসারার্সকে ওয়াক ওভার দেওয়া হতে পারে। সেক্ষেত্রে ৩ পয়েন্ট তাদের ঝুলিতে তুলে দেওয়া হবে।
এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, বুধবারের ম্য়াচটা যে মোহনবাগান খেলতে পারবে না, সেকথায় আগেই ২ বার চিঠি লিখে জানিয়ে দিয়েছিল IFA-কে জানিয়েছিলেন বাগান কর্তারা। প্রথমবার গত ৮ অগাস্ট IFA-কে অনুরোধ করা হয়েছিল, ডুরান্ড কাপের পর যেন এই ম্যাচটা আয়োজন করা হয়। তাদের যুক্তি ছিল, চলতি ডুরান্ড কাপে মোহনবাগানের মোট ১৬ জন ফুটবলার খেলছেন। এরমধ্যে আবার ৯ জন নিয়মিতভাবে দলের প্রথম একাদশে খেলছেন। এদিকে, সেই ফুটবলাররাই আবার ২০২৫-২৬ কলকাতা ফুটবল লিগেও খেলছেন। খুব স্বাভাবিকভাবে এই ফুটবলারদের বিশ্রাম প্রয়োজন। কোনও ভাবেই একসঙ্গে দুটো প্রতিযোগিতায় খেলা সম্ভব নয়।
Mohun Bagan Super Giant: আদৌ ন্যায্য পেনাল্টি দেওয়া হয়েছে মোহনবাগানকে? কাঠগড়ায় ডুরান্ডের রেফারি
মঞ্চ ছিল প্রস্তুত, শুধু এল না মোহনবাগান
কিন্তু, মোহনবাবাগানের সেই অনুরোধ রাখেনি আইএফএ। এই সিদ্ধান্তের পিছনে অন্যতম সম্ভাব্য কারণ হল, দুর্গাপুজোর আগেই কলকাতা ফুটবল লিগ শেষ করতে চাইছে ইন্ডিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। সেক্ষেত্রে, তাদের কাছেও সূচি পিছনোর কোনও জায়গা আপাতত নেই। অন্যদিকে, মোহনবাগানও এদিন নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থেকে গেল। বুধবার নৈহাটি স্টেডিয়ামে মোহনবাগান বনাম মেসারার্স ম্য়াচের যাবতীয় মঞ্চ একেবারে প্রস্তুত ছিল। প্রস্তুত ছিলেন মেসারার্সের ফুটবলার, রেফারি, লাইন্সম্যান। কিন্তু, মোহনবাগান দল পাঠায়নি। ম্যাচের আগে দুই দলের যে তালিকা তৈরি হয়, সেখানে মোহনবাগানের দিকটি ফাঁকা রাখা হয়। এই ঘটনা বাংলার ফুটবলকে যে কালিমালিপ্ত করল, তা নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে।