Mohun Bagan Super Giant: চলতি ডুরান্ড কাপের (Durand Cup 2025) গ্রুপ পর্বে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট যে খানিকটা অস্বস্তিতে ছিল, সেটা অস্বীকার করে লাভ নেই। কারণ গ্রুপ পর্বে তারা গোল পার্থক্যে ডায়মন্ড হারবার এফসি-র (Diamond Harbour FC) থেকে কিছুটা হলেও পিছিয়ে ছিল। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন, শনিবার (৯ অগাস্ট) কলকাতার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে যদি মেরিনার্সরা হেরে যায় কিংবা ড্র করে, তাহলে হয়ত নকআউট পর্বে যাওয়ার রাস্তাটা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কিন্তু, যাবতীয় আশঙ্কার দোলাচল কাটিয়ে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট কার্যত বিস্ফোরণ ঘটাল। যে ম্য়াচ নিয়ে সমর্থকরা এতটা আশঙ্কায় ছিলেন, সেই ম্য়াচেই তারা ৫-১ গোলে জয়লাভ করল।
Mohun Bagan on Bengali Language: 'শহিদের রক্ত, কবির নোবেল...', বাংলা ভাষার সম্মানে গর্জে উঠল মোহনবাগান
এই ম্যাচে শুরুর দিকে ডায়মন্ড হারবার এফসি খানিকটা দাপট দেখালেও, সেটা খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ১৯ মিনিটে প্রথম গোল করলেন অনিরুদ্ধ থাপা। যদিও ২৪ মিনিটের মধ্যেই সেই গোল পরিশোধ করে দিয়েছিলেন ডায়মন্ড হারবারের তারকা বিদেশি ফুটবলার লুকা মাজসেন। কিন্তু, এই সমতা তারা ধরে রাখতে পারেননি। ৩৫ মিনিটে আবারও মোহনবাগানকে লিড এনে দেন জেমি ম্যাকলারেন। প্রথমার্ধ শেষে যখন দুটো দল ড্রেসিংরুমে ফিরছিলেন, তখনও বাগানের ডিফেন্স নিয়ে কিছু ফিসফাস সমালোচনা শোনা যাচ্ছিল।
Mohun Bagan Super Giant: বিধ্বংসী থাপা, আগুন জেমি! প্রথমার্ধে জোড়া গোল দাগল মোহনবাগান
মলিনার পেপ টকেই বাজিমাত?
এরপর হেড স্যার হোসে মলিনা যে কী পেপটক দিলেন, সেটা একমাত্র ঈশ্বরই বলতে পারবেন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই মোহনবাগান একেবারে আগুন মেজাজে খেলা শুরু করল। ডায়মন্ড হারবার এফসি-র রক্ষণভাগে শানাতে শুরু করল একের পর এক আক্রমণ। আর সেই আক্রমণের ঝাঁঝ সামলাতে না পেরেই ভুলটা করে বসলেন ডায়মন্ড হারবারের ফুটবলার নরেশ। বক্সের মধ্যে তিনি লিস্টন কোলাসোকে ফাউল করে বসেন। সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত জানাতে কোনও দ্বিধাবোধ করেননি রেফারি। আর সেই সুযোগেই ২০২৫ ডুরান্ড কাপের চতুর্থ গোলটা করে ফেললেন লিস্টন কোলাসো। পাশাপাশি মোহনবাগানকে তিনি ৩-১ গোলে এগিয়ে দিলেন।
Mohun Bagan Super Giant: 'মোহনবাগান ভাল দল, ডিফেন্স নিয়ে চাপে থাকবে...', স্পষ্ট কথা নবির
কামিন্স গোল করতে না করতেই উচ্ছ্বাস মেরিনার্সদের
এই তৃতীয় গোলটি হজম করার পরই ডায়মন্ড হারবার এফসি কেমন একটা খোলসের মধ্যে নিজেদের গুটিয়ে নেয়। একে তো তারা ১০ জন মিলে লড়াই চালাচ্ছিল। তার উপর অমন আগুন ফর্মে ছিল মোহনবাগান। যেন তখনই তারা এই ম্য়াচের হাল ছেড়ে দিয়েছিল। যাইহোক, ৬৪ মিনিটে বাগানের হয়ে চতুর্থ গোলটি করলেন সাহাল আবদুল সামাদ। লিস্টন, কামিংস এবং সাহালের মধ্যে একটি দুরন্ত ত্রিফলা আক্রমণ দেখতে পাওয়া গেল। ডায়মন্ড হারবারের কাছে অবশ্য কোনও সুযোগও ছিল না। ৮০ মিনিটে ডায়মন্ড হারবার এফসি-র কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতলেন জেসন কামিন্স। বক্সের একেবারে প্রান্ত থেকে দুর্দান্ত একটি ফিনিশ দেখতে পাওয়া গেল। এই ম্য়াচে মোহনবাগান যে ফাইভ স্টার পারফরম্য়ান্স করল, তা বলা যেতেই পারে।