/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/18/apuia-ralte-goal-2025-10-18-20-02-53.jpg)
গোল করার পর আপুইয়ার উল্লাস
Mohun Bagan Super Giant: শেষ হল মোহনবাগান বনাম ইস্টবেঙ্গল প্রথমার্ধের খেলা। কলকাতার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এই ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছে। ম্যাচের প্রথমার্ধে হামিদ আহদাদের (Hamid Ahadad) গোলে ইস্টবেঙ্গল এফসি (East Bengal FC) এগিয়ে গেলেও, একেবারে শেষবেলায় সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের হয়ে সমতা ফেরালেন আপুইয়া (Apuia) রালতে। আপাতত এই ম্য়াচটা ১-১ গোলে দাঁড়িয়ে রয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধের লড়াই যে আরও হাড্ডাহাড্ডি হবে, তা নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে।
East Bengal FC Goal: আগুন গোল আহদাদের, পেনাল্টি মিস করে তোপের মুখে কামিন্স
লিড নিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল
২০২৫ আইএফএ শিল্ডের (IFA Shield 2025) ফাইনাল ম্য়াচের প্রথম আধঘণ্টায় কোনও দলই গোল করতে পারেনি। অবশেষে ৩৬ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ব্যবধান বাড়িয়ে দিলেন মরোক্কোর ফুটবলার হামিদ আহদাদ। মাঠের বাঁ প্রান্ত থেকে মহেশকে লক্ষ্য করে বলটা বাড়িয়েছিলেন রশিদ। মহেশ বলটাকে নিয়ে ফাইনাল থার্ড পর্যন্ত যান। এরপর মহেশের একটি লো-ক্রসে লেখা ছিল আহদাদের ঠিকানা। মরক্কোর এই ফুটবলার নিশ্চিন্তে বাগানের জালে বলটাকে জড়িয়ে দেন। বলা ভাল, বাগানের রক্ষণ কার্যত ঘুমোচ্ছিল। মাত্র ২ মিনিটের মধ্যে দুটো দলই গোল করার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল। অবশেষে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোলের দরজা খুলে দিলেন হামিদ আহদাদ।
Mohun Bagan Super Giant: মোহনবাগানকে নিয়ে দারুণ 'সুখবর', জানিয়ে দিলেন অধিনায়ক শুভাশিস
সমতা ফেরালেন আপুইয়া
একটা সময় মনে করা হচ্ছিল, ম্যাচের প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গল বোধহয় লিড নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারবে। কিন্তু, লাল-হলুদ সমর্থকদের সেই আশায় জল ঢেলে দিলেন আপুইয়া রালতে। প্রথামার্ধের সংযুক্তি সময়ের তৃতীয় মিনিয়ে মেরিনার্সদের হয়ে সমতা ফেরালেন রালতে। মাঠের ডান প্রান্ত ধরে সাহাল বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়েছিলেন। এরপর বাঁ-দিকে তিনি কোলাসোকে লক্ষ্য করে একটি পাস বাড়ান। কোলাসো আবার সেই বলে ঠিকানা লিখে দেন আপুইয়ার। আপুইয়া একেবারে পোস্টের সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাঁর শটটা নির্দ্বিধায় ইস্টবেঙ্গলের জালে জড়িয়ে যায়। আর সেইসঙ্গে কলকাতা ডার্বি ম্যাচে সমতা ফিরে আসে।
পেনাল্টি মিস কামিন্সের
তবে প্রথম ৪৫ মিনিটে যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনার সাক্ষী রইল সল্টলেক স্টেডিয়াম, সেই তালিকায় অবশ্যই শীর্ষে থাকবে জেসন কামিন্সের পেনাল্টি মিস। ৩২ মিনিটে সাহালের থেকে বলটা পেয়ে প্রতিপক্ষের দূর্গে ঢুকে পড়েন মোহনবাগানের অজি ফরোয়ার্ড জেমি ম্য়াকলারেন। জেমিকে বক্সের মধ্যে আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন লাল-হলুদের ডিফেন্ডার আনোয়ার আলি। কিন্তু, ট্যাকলটা যথেষ্ট রাফ হয়। সেকারণে আনোয়ার আলি হলুদ কার্ড তো দেখলেনই, উলটে পেনাল্টি পায় মোহনবাগান।
৩৪ মিনিটে স্পট-কিক নেওয়ার জন্য এগিয়ে আসেন জেসন কামিন্স। কিন্তু, তাঁর শট নেটের অনেকটা উপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। গিল ডান দিকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন বটে, কিন্তু তাঁকে কোনও সমস্যার মুখেই পড়তে হয়নি। এই সুযোগটা বাগান কাজে লাগাতে পারলে এতক্ষণে তারা ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থাকতে পারত।