/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/18/mohun-bagan-5-2025-10-18-22-44-38.jpg)
আইএফএ শিল্ড জিতল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট
Mohun Bagan Super Giant: একটা ফাইনাল ডার্বিতে (Kolkata Derby) যে যে রসদ মজুত থাকা দরকার ছিল, শনিবার (১৮ অক্টোবর) কলকাতার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে তার প্রত্যেকটাই দেখতে পাওয়া গেল। প্রথমে পেনাল্টি মিস করে গোল করার সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। এরপর হামিদ আহদাদের গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল (East Bengal FC)। প্রথমার্ধের একেবারে শেষবেলায় মোহনবাগানের হয়ে সমতা ফেরান আপুইয়া রালতে। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ম্য়াচটি ১-১ গোলে ড্র হয়। এরপর অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় খেলা। সেখানেও কোনও দল গোল করতে পারেনি। যদিও মোহনবাগান বেশ কয়েকটা গোল করার সুযোগ হাতছাড়া করে। অবশেষে ম্য়াচ গড়ায় টাই-ব্রেকারে। আর সেখানেই হয় বাজিমাত। অবশেষে তারা ৫-৪ গোলে জয়লাভ করেছে।
Mohun Bagan Super Giant Goal: দুরন্ত গোল মোহনবাগানের, নায়ক হয়ে উঠলেন আপুইয়া
কী হল টাই-ব্রেকারে?
টাইব্রেকারে ইস্টবেঙ্গলকে ১-০ গোলে এগিয়ে দিলেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার মিগুয়েল ফেরেইরা। ব্রাজিলের জবাব দিলেন একজন ব্রাজিলিয়ানই। গোল করতে এলেন রবসন রবিনহো। তিনি ম্য়াচের স্কোরলাইন ১-১ করলেন। এরপর ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোল করতে আসেন আর্জেন্টিনার ফুটবলার কেভিন সিবিয়ে। তিনি লাল-হলুদ ব্রিগেডকে ২-১ গোলে এগিয়ে দিলেন। বাগানের হয়ে সমতা ফেরালেন মনবীর সিং। দেবজিৎজে উল্টোদিকে ফেলে দিয়ে তিনি গোল করেন।
ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোল মিস করেন জয় গুপ্তা
জমে ওঠে খেলা। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে তৃতীয় গোলটি করলেন নাওরেম মহেশ সি। ৩-২ গোলে এগিয়ে যায় লাল-হলুদ ব্রিগেড। মোহনবাগানের হয়ে সমতা ফেরালেন ভারতীয় ফুটবলার লিস্টন কোলাসো। অবশেষে গোল করতে আসেন জয় গুপ্তা। এবার কাইথের বিশালত্ব সামনে এল। আটকে দিলেন জয়ের গোল। ৩-৩ গোলে এখনও সমতা বজায় রাখল মোহনবাগান। এরপর গোল করতে এলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। তিনি গোল করতেই মোহনবাগান ৪-৩ গোলে এগিয়ে যায়। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে শেষ শট নিতে আসেন হিরোশি ইবুসুকি। তিনি ৪-৪ গোলে আবারও সমকা ফিরিয়ে আনে। বাগানের হয়ে শেষ গোল করতে আসেন মেহতাব সিং। হেলায় তিনি গোল করে ফেললেন। ১২৫ তম আইএফএ শিল্ড জয় করল মোহনবাগান।
Mohun Bagan Super Giant: মোহনবাগানকে নিয়ে দারুণ 'সুখবর', জানিয়ে দিলেন অধিনায়ক শুভাশিস
জোড়া গোল প্রথমার্ধে
২০২৫ আইএফএ শিল্ডের ফাইনাল ম্য়াচের প্রথম আধঘণ্টায় কোনও দলই গোল করতে পারেনি। অবশেষে ৩৬ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ব্যবধান বাড়িয়ে দিলেন মরোক্কোর ফুটবলার হামিদ আহদাদ। মাঠের বাঁ প্রান্ত থেকে মহেশকে লক্ষ্য করে বলটা বাড়িয়েছিলেন রশিদ। মহেশ বলটাকে নিয়ে ফাইনাল থার্ড পর্যন্ত যান। এরপর মহেশের একটি লো-ক্রসে লেখা ছিল আহদাদের ঠিকানা। মরক্কোর এই ফুটবলার নিশ্চিন্তে বাগানের জালে বলটাকে জড়িয়ে দেন। বলা ভাল, বাগানের রক্ষণ কার্যত ঘুমোচ্ছিল। মাত্র ২ মিনিটের মধ্যে দুটো দলই গোল করার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল। অবশেষে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোলের দরজা খুলে দিলেন হামিদ আহদাদ।
সমতা ফেরালেন আপুইয়া
একটা সময় মনে করা হচ্ছিল, ম্যাচের প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গল বোধহয় লিড নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারবে। কিন্তু, লাল-হলুদ সমর্থকদের সেই আশায় জল ঢেলে দিলেন আপুইয়া রালতে। প্রথামার্ধের সংযুক্তি সময়ের তৃতীয় মিনিয়ে মেরিনার্সদের হয়ে সমতা ফেরালেন রালতে। মাঠের ডান প্রান্ত ধরে সাহাল বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়েছিলেন। এরপর বাঁ-দিকে তিনি কোলাসোকে লক্ষ্য করে একটি পাস বাড়ান। কোলাসো আবার সেই বলে ঠিকানা লিখে দেন আপুইয়ার। আপুইয়া একেবারে পোস্টের সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাঁর শটটা নির্দ্বিধায় ইস্টবেঙ্গলের জালে জড়িয়ে যায়। আর সেইসঙ্গে কলকাতা ডার্বি ম্যাচে সমতা ফিরে আসে।