Football Coach Death: ঘুমের মধ্যেই হৃদরোগে আক্রান্ত, প্রয়াত বাংলার তারকা ফুটবল কোচ

Coach Death: হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন। ছোট দলকে বড় সাফল্য এনে দেওয়া এই নামী কোচ কলকাতা ময়দানে কড়া ধাতের হেড স্যার হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

Coach Death: হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন। ছোট দলকে বড় সাফল্য এনে দেওয়া এই নামী কোচ কলকাতা ময়দানে কড়া ধাতের হেড স্যার হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
আপডেট করা হয়েছে
New Update
Football

Football: প্রতীকী ছবি।

Coach Death: প্রয়াত ছোট দলের বড় কোচ। নিজের বাড়িতেই প্রয়াত হলেন কলকাতা লিগের অন্যতম দল পাঠচক্রের কোচ পার্থ সেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি প্রয়াত হলেন। থাকতেন উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগরে। ঘটনার সময় তিনি ঘরে একাই ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে কলকাতা ময়দানে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। 

পাঠচক্রের সাফল্য

Advertisment

এবারের লিগে পাঠচক্র ৮ ম্যাচে ৫টিতে জয় পেয়েছে। হেরেছে ২টিতে। ড্র করেছে ১টিতে। এখনও পর্যন্ত মোট পয়েন্ট পেয়েছে ১৬। লিগে আপাতত পয়েন্ট তালিকায় ২ নম্বরে রয়েছে পাঠচক্র। ময়দানের বড় দলগুলোকে রীতিমতো নাকানিচোবানি খাইয়েছে এই দল। যার পিছনে মূল কৃতিত্ব কোচ পার্থ সেনের। এহেন কোচের মৃত্যুতে পাঠচক্র দলের মালিক তথা মামণি গ্রুপের কর্ণধার নাসিম আখতার রীতিমতো ভেঙে পড়েছেন। 

Partha Sen
Partha Sen: প্রয়াত পাঠচক্র দলের কোচ পার্থ সেন।
Advertisment

তিনি বলেন, 'ক্লাবটা অভিভাবকহীন হয়ে গেল। গত বছর অবধি যে ক্লাবকে কেউ চিনত না, জানত না, একটা ছোট ক্লাব হিসেবে মনে করত, সেই ক্লাবকে এবছর ময়দানের তিন প্রধানও সমীহ করছে। সেই জায়গায় তিনি ক্লাবকে পৌঁছে দিয়েছিলেন। এমন মানুষের চলে যাওয়া ফুটবল জগতের বড় ক্ষতি। মানুষ হিসেবেও অসাধারণ ছিলেন পার্থদা। ময়দানের পাঁচ জন ভালো লোকের মধ্যে একজন ছিলেন। কোনও লোভ, টাকা-পয়সার মোহ ছিল না। ফুটবল পাগল মানুষ ছিলেন।'

আরও পড়ুন- পিতৃহারা লিয়েন্ডার! দেশ হারাল অলিম্পিয়ানকে, চোখের জলে 'চিরবিদায়'!

নাসিম আখতার বলেন, 'আমাদের ক্লাবের সব ছেলেরাই অত্যন্ত গরিব ঘরের। একটা ছেলে খেলতে এসেছিল, বাড়ি যাওয়ার জন্য হাতে টাকা ছিল না। এই কোচ সেই সময় পকেট থেকে ৫০০ টাকা বের করে ওই ছেলেটিকে দিয়েছিলেন। যেটা কলকাতা ময়দানের বিরল ঘটনা। সবসময় তিনি ক্লাবের কর্তাদের বদলে খেলোয়াড়ের হয়েই গলা ফাটাতেন।'

আরও পড়ুন- বিপ্লবী থেকে ঋষি, কতটুকু জানেন শ্রীঅরবিন্দকে?

গতকাল (বুধবার রাতে) রাতে ঘুমের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। সাতসকালে এই খবর পাওয়ার সময় দলের কর্ণধার নাসিম আখতার ছিলেন হলদিয়ায়। সেখান থেকে তিনি ছুটে আসেন। তিনি জানান, পার্থ সেন অকৃতদার ছিলেন। বাড়িতে দাদা-বৌদি আছেন। পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে তিনি জানতে পেরেছেন যে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই দলের কোচের মৃত্যু হয়েছে। নাসিম আখতার বলেন, 'আজকে অনূর্ধ্ব-১৮ আই লিগে ইউনাইটেড দলের ট্রায়াল ছিল। সেখানে পার্থ সেনের থাকার কথা ছিল। কিন্তু, সকালে ঘরের দরজা না খোলায় তখন পরিবারের লোকজন দেখতে পান, উনি বিছানায় শুয়ে আছেন। একটা পা মাটিতে ঝুলে রয়েছে। শেষ সময়ে কাউকে সাহায্যের জন্য ডাকতেও পারেননি।'  

আরও পড়ুন- পাকিস্তানের হয়ে টেস্ট ডেবিউ করেছিলেন শচীন, তারপর টিম ইন্ডিয়ায় এন্ট্রি! জেনে নিন ইনসাইড স্টোরি

সম্প্রতি পাঠচক্র একটি ম্যাচে অত্যন্ত বাজেভাবে হেরেছে। তাই নিয়ে খেলোয়াড়দের বেশ বকাবকি করেছিলেন পার্থ সেন। অভিভাবকের মত ফুটবলারদের পাশে দাঁড়ালেও কোচ হিসেবে তিনি ছিলেন বেশ কড়া ধাতের।

আরও পড়ুন- জন্মাষ্টমী ২০২৫, কৃষ্ণের বাঁশি দিয়ে দূর করুন বাস্তু দোষ, আসবে শান্তি-সমৃদ্ধি

এই ব্যাপারে নাসিম আখতার বলেন, 'তিনি বেশ কড়া ধাতের মানুষ ছিলেন। সকাল ৭টার সময় প্র্যাকটিসের টাইম। কোনও খেলোয়াড় যদি ৭টা ৫-এ মাঠে আসত, তাঁকে নামতে দিতেন না। সে যত বড় খেলোয়াড়ই হোক না কেন। সেদিন মাঠে নামার জন্য ড্রেসই দিতে না। আবার, এই মানুষটাই কর্তাদের থেকে কোচিং করানোর জন্য একটা টাকাও কোনওদিন চাইতেন না। কর্তারা ওঁকে যেচে পয়সা দিতেন। আর, উনি বলতেন, যা দেবেন, দেবেন!'

Death coach