'আর্ন ধরে রাখল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু রবিবার দ্য় ওভালে অ্যাশেজের ফাইনাল টেস্টে ১৩৫ রানে হারতে হল তাদের। সিরিজ শেষ হল ২-২ ব্য়বধানে। কিন্তু এই অ্যাশেজ চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে ক্রিকেট ফ্য়ানেদের মনে। সৌজন্য়ে স্টিভ স্মিথ। ১৬ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্য়াবর্তন করলেন তিনি।
অ্যাশেজ বুঝে গেল শতাব্দীতে এক-দু'বার তাঁর মতো ব্য়াটসম্য়ানরা আসেন। স্মিথ প্রকৃত অর্থেই ক্রিকেটের দীর্ঘতম ফর্ম্য়াটের একচ্ছত্র অধিপতি। যা রেকর্ড তিনি করলেন তা এককথায় ভাবাই যায় না। অ্যাশেজের প্রথম টেস্ট খেলতে নেমে গ্য়ালারির টিটকিরি শুনতে হয়েছিল তাঁকে। ইংল্য়ান্ডের ফ্য়ানেরা স্মিথকে 'প্রতারক' বলতে দু'বার ভাবেনি। অথচ স্মিথ যখন ওভাল টেস্টের চতুর্থ দিনে ২৩ রান করে ড্রেসিংরুমে ফিরে যাচ্ছিলেন, তখন গোটা গ্য়ালারি উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দিল। এটাই স্মিথ। এই প্রজন্মের অন্য়তম সেরা তিনি।
আরও পড়ুন: ভিডিও: ব্যাটিংয়ের পরে এবার ফিল্ডিং, দেখুন স্মিথের অসাধারণ ক্যাচ
# স্মিথ অ্যাশেজে সাত ইনিংস মিলিয়ে করলেন ৭৭৪ রান। তাঁর গড় ১১০.৫৭। ওভালের শেষ ইনিংস বাদ দিয়ে স্মিথ একবারও ৫০-এর নিচে রান করেননি। তাঁর রান ছিল যথাক্রমে ১৪৪, ১৪২, ৯২, ৮০ ও ২৩।
# ১৯৯৪ সালের পর একক টেস্ট সিরিজে স্মিথই সবচেয়ে বেশি রান করার নজির গড়লেন। ২৫ বছর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ব্রায়াল লারা ৭৭৮ রান করেছিলেন। চলতি শতকে স্মিথেরই একক টেস্ট সিরিজে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ছিল। ২০১৪-১৫ মরসুমে ভারতের বিরুদ্ধে ৭৬৯ রান করেছিলেন তিনি।
# স্মিথ চলতি বছরে ইংল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে পরপর ১০ বার ফিফটি প্লাস রান করলেন ইংল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে। এর আগে কোনও ব্য়াটসম্য়ান কোনও দলের বিরুদ্ধে এই নজির গড়েননি। পাকিস্তানের ইনজামাম-উল-হক ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ন'বার ফিফটি প্লাস রান করেছিলেন।
আরও পড়ুন: স্মিথকে সকলে প্রতারক হিসাবেই মনে রাখবে: স্টিভ হার্মিসন
# অ্যাশেজের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকদের তালিকায় স্মিথ এলেন পাঁচে। ১৯৮৯-এর পর কোনও ব্য়াটসম্য়ান এত রান করলেন। তালিকায় প্রথম চারে রয়েছেন ডন ব্র্য়াডম্য়ান (৯৭৪ রান, ১৯৩০ সিরিজ), ওয়ালি হেমন্ড (৯০৫ রান, ১৯২৮-২৯ সিরিজ), মার্ক টেলর (৮৩৯ রান ১৯৮৯ সিরিজ), ব্র্য়াডম্য়ান (৮১০ রান ১৯৩৬-৩৭ সিরিজ)
# ব্র্য়াডম্য়ান, সুনীল গাভাস্কর, লারা, এভার্টন উইকেস, গ্য়ারি সোবার্সের পর স্মিথই একমাত্র ক্রিকেটার যিনি একক টেস্ট সিরিজে একের বেশিবার ৭০০-র বেশি রান করলেন।