/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/31/south-africa-2025-10-31-05-57-12.jpg)
South Africa cricket team: দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল।
South Africa Cricket Team: দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট দলকে আমরা সবাই 'প্রোটিয়া' নামে চিনি। কিন্তু জানেন কি, এই নামের সঙ্গে শুধুমাত্র ক্রিকেট নয়, জড়িয়ে রয়েছে এক গর্বিত জাতির ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং পরিচয়ের গল্পও।
‘প্রোটিয়া’ নামের উৎপত্তি
প্রোটিয়া (Protea) আসলে দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় ফুল— কিং প্রোটিয়া (King Protea)। এর বৈজ্ঞানিক নাম, প্রোটিয়া সিনারয়েডস (Protea cynaroides)। এই ফুল দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতীক। এটি এমন এক উদ্ভিদ, যা প্রতিকূল আবহাওয়াতেও টিকে থাকতে পারে। তাই দেশের ক্রিকেট দলও এই ফুলের মতই স্থিতিশীল, দৃঢ় এবং প্রতিকূলতার মাঝেও সুন্দর।
আরও পড়ুন- রিল নয়, একেবারে বাস্তবের নায়িকা! দুরন্ত শতরানে ভারতকে ফাইনালে তুললেন জেমিমা
ক্রিকেটে প্রোটিয়াজ (Proteas) নামের প্রয়োগ
১৯৯১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর যখন দেশটি আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে আসে, তখন ক্রিকেট বোর্ড সিদ্ধান্ত নেয়- দলের জন্য এমন এক প্রতীক দরকার যা জাতির ঐক্য এবং পুনর্জন্মকে চিহ্নিত করবে। তখনই বেছে নেওয়া হয় প্রোটিয়া ফুলকে, যা দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন গণতান্ত্রিক যুগের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ থেকে এই নামটি ব্যবহার শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন- টিম ইন্ডিয়ার 'ইতিহাস' থেকে মোহনবাগানের হুঙ্কার, দেখে নিন দিনের সেরা ৫ খেলার খবর
প্রোটিয়া — ঐক্যের প্রতীক
অ্যাপারথেইড যুগের অবসানের পর দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় প্রতীকগুলিকে পুনর্গঠিত করা হয়। তখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, দেশজ প্রকৃতির এমন কিছু বেছে নেওয়া হবে যা সব জাতি এবং সংস্কৃতির মানুষকে একত্র করে। ‘প্রোটিয়া’ ফুলকে বেছে নেওয়া হয় কারণ এটি বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের প্রতীক। প্রোটিয়া ফুলের বিভিন্ন রং, আকার এবং প্রজাতি যেমন ভিন্ন ভিন্ন হয়, ঠিক তেমনই দক্ষিণ আফ্রিকার মানুষের বৈচিত্র্যও প্রতিফলিত হয় এই প্রতীকে।
আরও পড়ুন- অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারত, ৫ উইকেটে জিতে গড়ল ইতিহাস
মহিলা দলের ঐতিহাসিক সাফল্য
২০২৩ সালে প্রথমবার দক্ষিণ আফ্রিকা মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনালে ওঠে। এটি শুধুমাত্র একটি ক্রিকেটীয় ক্ষেত্রে সাফল্য নয়, বরং প্রোটিয়াজ নামের মানে নতুনভাবে তুলে ধরে। যেটা হল— কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায় এবং সম্মিলিত আত্মবিশ্বাস।
আরও পড়ুন- এবার কোচের ভূমিকায় যুবরাজ সিং? সামলাবেন IPL-এর এই দলকে!
'প্রোটিয়াজ' মানে কী বোঝায়?
'প্রোটিয়াজ' শুধু একটি ডাকনাম নয়। এটি প্রতিটি দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটারের জন্য এক আবেগ এবং গর্বের প্রতীক। এটি মনে করিয়ে দেয় যে, যেমন ফুলটি প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ফোটে, তেমনই দক্ষিণ আফ্রিকার দলও প্রতিবার নতুন করে ফিরে আসে।
সংক্ষেপে ইতিহাসের টাইমলাইন
১৯৭০: অ্যাপারথেইডের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট দল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত হয়।
১৯৯১: নিষেধাজ্ঞা উঠে যায়, দল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে আসে।
১৯৯২: প্রথমবার ‘প্রোটিয়াজ’ নামে দল বিশ্বকাপে অংশ নেয়।
২০২৩: দক্ষিণ আফ্রিকা মহিলা দল প্রথমবার বিশ্বকাপ ফাইনালে পৌঁছয়।
'প্রোটিয়াজ' নামটি দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় পরিচয়, প্রকৃতি ও ঐতিহ্যের এক মিশেল। এটি শুধু ক্রিকেট দলের নাম নয়, বরং একটি জাতির প্রতীক— যাঁরা চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়েও গর্বের সঙ্গে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে জানে।
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
 Follow Us
 Follow Us