নাটকের পর নাটক। পরতে পরতে উত্তেজনা। ভারত-পাক মহাযুদ্ধের যাবতীয় মশলা নিয়ে হাজির হয়েছিল রবিবারের মেলবোর্ন। বিরাট কোহলি রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের শেষ বলের থ্রিলারে ভারতকে জয়ের সরণিতে পৌঁছে দেন।
তবে এই ম্যাচের পরেই টুইটারে ট্রেন্ডিং 'চিটার' শব্দবন্ধনী। সরাসরি কোহলিকে প্রতারক বলে দিতে দ্বিধা করছেন না পাক ক্রিকেট সমর্থকরা। কেরিয়ারের সম্ভবত সেরা ইনিংস খেলে কোহলি রবিবার নখ-কামড়ানো ম্যাচে ভারতকে জিতিয়ে দেন দুর্ধর্ষ রান চেজ করে। গোটা ক্রিকেট বিশ্ব যে ইনিংসে সম্মোহিত। ৫৩ বলে ৮২ রানের বিরাট-ইনিংস আপাতত মায়া-কাজল পরিয়ে দিচ্ছে ক্রিকেট মহলকে।
আরও পড়ুন: শাস্তি এড়াতে দুর্ধর্ষ প্ল্যানিং ভারতের! পাক ম্যাচে চমকে দেওয়া স্ট্র্যাটেজি নিয়ে হাজির রোহিতরা
তবে ম্যাচের শেষ ওভার যাবতীয় বিতর্ক নিয়ে হাজির হল। মহম্মদ নওয়াজের শেষ ওভারে কোহলি সরাসরি ছক্কা হাঁকিয়ে দেন। যে বল আম্পায়ার উচ্চতার কারণে নো বল দিতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বাবর আজমরা। যে ক্ষোভ পরে ছড়িয়ে যায় পাক সমর্থকদের মধ্যেও।
শেষ তিন বলে ভারতের জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৪ রান। সেই সময় নওয়াজের লোভনীয় ফুলটস বল কোহলি স্কোয়ার লেগের ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে দেন। এশিয়া কাপে সুপার-৪ ম্যাচে পাকিস্তানের হিরোর হাতেই শেষ ওভার বল তুলে দেন ক্যাপ্টেন বাবর আজম।
যাইহোক, নওয়াজের চতুর্থ বল ছক্কা হাঁকিয়ে উচ্চতার জন্যই কোহলি আম্পায়ারের কাছে নো বলের আবেদন করেন। কোহলির আবেদনে সাড়া দিয়ে আম্পায়ারও নো বলের নির্দেশ দেন। এরপরে মহম্মদ নওয়াজ, বাবর আজমরা আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও সেই সিদ্ধান্ত আর বদলায়নি। সেই ক্ষোভের আগুনে পুড়তে পুড়তেই পাক সমর্থকরা মনে করছেন তাঁরা প্রতারিত। কোহলি আবেদন করেছেন বলেই আম্পায়ার নো বলের নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পাক ম্যাচের শুরুতেই কেঁদে ফেললেন রোহিত, মেলবোর্নে হাজির বিরল দৃশ্য, দেখুন ভিডিও
নো বলের পরেও নাটকের শেষ নয়। ফ্রি হিটে কোহলি বোল্ড হয়ে যান। তবে বোল্ড হলেও দৌড়ে তিন রান নিতে সমস্যা হয়নি কোহলির। পঞ্চম বলে স্ট্যাম্পড হয়ে যান দীনেশ কার্তিক। শেষ বলে জয়ের জন্য দরকার ছিল দু-রান। অশ্বিন ছিলেন স্ট্রাইকিং এন্ডে। ওয়াইড করে নওয়াজ ড্র নিশ্চিত করেন। শেষ বলে অশ্বিনের জয়সূচক রান নিতে সমস্যা হয়নি।
আরও পড়ুন: নিশ্চিত ক্যাচ থেকে বঞ্চিত ভারত! পাক ম্যাচে তুমুল গালির বন্যা রোহিত-হার্দিকদের, রইল ভিডিও
যাইহোক, ১৬০ রান তাড়া করতে নেমে ভারত একসময় ৩১/৪ হয়ে গিয়ে ছিটকে গিয়েছিল ম্যাচ থেকে। রোহিত শর্মা দুই অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি। সূর্যকুমার যাদবও মাত্র ১৫ রান করে ফিরে যান। লোয়ার অর্ডারকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য অক্ষর প্যাটেলকে ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন দিয়েও লাভ হয়নি। তবে তারপরেই ভারতের হাল ধরেন হার্দিক পান্ডিয়া এবং বিরাট কোহলি। দুজনে পঞ্চম উইকেটে ১১৩ রান যোগ করে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেন। ৩৭ বলে ৪০ রান করে হার্দিকও ভারতের জয়ের অন্যতম স্থপতি।